সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন
মোঃ সোহাগ- ময়মনসিংহ জেলা প্রতিনিধিঃ
২৪/০৯/২০২২ তারিখ রাত অনুমান ০২.৩০ ঘটিকায় ময়মনসিংহ জেলার নান্দাইল বাজারে দু’টি জুয়েলারি ও একটি ফলের দোকানে ডাকাতি করে একদল অজ্ঞাত ডাকাত ১৭ ভরি স্বর্ণালংকার, ৯০ ভরি রূপার অংলকার, দুইটি মোবাইল সেট ও নগদ ৪,৬২,০০০/-টাকা লুণ্ঠন করে। নান্দাইল মডেল থানার মামলা নং-১৯, তারিখ-২৬/৯/২২খ্রিঃ, ধারা-৩৯৫/৩৯৭ পেনাল কোড রুজু হয়।
পুলিশ সুপার, ময়মনসিংহ মাছুম আহাম্মদ ভূঞা, পিপিএম মহোদয় জেলা গোয়েন্দা শাখা, ময়মনসিংহকে তদন্ত গ্রেফতার ও উদ্ধার কাজে নিযুক্ত করেন।
ধারাবাহিক অভিযান পরিচালনা করে ১৮/১০/২২ তারিখ ডিএমপি, ঢাকার দারুসসালাম থানার দ্বীপনগর এলাকা হতে ডাকাত সর্দার ১। হাসমত বেপারী @ হাসমত খান @ আচমত আলী খান @ কালাম (৪৩) ও ২। জসিম ওরফে মুন্না (৩৯) দ্বয়কে গ্রেফতার করে। ডাকাত হাসমত ও মুন্নাকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা দুইটি জুয়েলারি ও একটি ফলের দোকানে ডাকাতি করেছে বলে স্বীকার করে।ডাকাত হাসমত ও মুন্নার দেয়া তথ্যমতে ১৮/১০/২২ তারিখ সকাল ০৭.১৫ ঘটিকায় ঢাকা আদাবর থানাধীন সুনিবিড় হাউজিং এর ইকবালের জুয়েলারি দোকান হতে লুন্ঠিত ১১ আনা স্বর্ণাংলকার ও ৭০ ভরি রূপার অংলকার উদ্ধার করে আসামী ৩। ইকবাল হোসেন (৩৫) গ্রেফতার করা হয়। ইতোপূর্বে হাসমত-এবাদুল-মোশারফ এর আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য ১। জসিম বেপারী (৩৫), ২। শামছুদ্দিন মোল্লা (৩৫), ৩। আসাদুল (২৫), ৪। শেখ সুজন (৩৩)গণদের গ্রেফতার করে ৭ দিনের পুলিশ রিমান্ডের আবেদনসহ ১০/১০/২২ তারিখ বিজ্ঞ আদালতে সোর্পদ করা হয়েছে।
ডাকাত হাসমত বেপারী @ কালাম মোশারফকে সাথে নিয়ে গত ১১/০৯/২২ তারিখ নান্দাইল থানা এলাকায় শ্বশুর বাড়ীতে বেড়ানোর অজুহাতে এসে রাতভর সিরিজ ডাকাতির পরিকল্পনা চূড়ান্ত করতে নান্দাইল বাজার রেকি করে। ককটেল, ডাকাতির সরঞ্জাম ও দেশীয় ধারালো অস্ত্রশস্ত্র, রশি, লোহার রড, রামদা, সাবল সহ এসে ২৪/৯/২২ তারিখ রাত অনুমান ০২.৩০ ঘটিকার সময় ডাকাতরা নান্দাইল বাজারের নৈশ প্রহরায় থাকা ৭ জন প্রহরীকে অবরুদ্ধ করে। ডাকাতরা দুটি জুয়েলারি দোকান ও একটি ফলের দোকানে ডাকাতি করে ১৭ ভরি স্বর্ণাংলকার, ৯০ ভরি রূপার অংলকার, দুটি মোবাইল সেট এবং নগদ ৪,৬২,০০০/-টাকা লুণ্ঠন করেছে বলে স্বীকার করে।গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা আন্তঃজেলা ডাকাত দলের সদস্য।
গ্রেফতারকৃত ডাকাত হাসমত বেপারী (৪৩) ও পলাতক ডাকাত এবাদুল ১৬ জনের ডাকাতদল নিয়ে আসে।ডাকাত হাসমত এর বিরুদ্ধে শরীয়তপুর, ডিএমপি ঢাকা ও রাজবাড়ী জেলার বিভিন্ন থানায় ৪টি ডাকাতি, ১টি বিস্ফোরক, ১টি অস্ত্র আইন, ১টি চুরিসহ মোট ১১টি মামলা রয়েছে। পলাতক ডাকাত এবাদুল এর বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ডাকাতি, খুন, ধর্ষণ ও অস্ত্র আইনের ১৩টি মামলা রয়েছে। পলাতক অন্যান্য ডাকাতদের গ্রেফতার, অবশিষ্ট স্বর্ণালংকার ও নগদ টাকা উদ্ধারের জন্য একাধিক টিম নিরলসভাবে অভিযান পরিচালনা করছে।