রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৫৫ অপরাহ্ন
দুলাল হোসেন- পটুয়াখালী জেলা প্রতিনিধিঃ
দেশের সিংহভাগ তরমুজ চাষ হয় দক্ষিণাঞ্চলে। দক্ষিণাঞ্চল যেন তরমুজ চাষের অভাশ্রম তাই অধিকাংশ তরমুজ চাষীদের ভরসা দক্ষিণাঞ্চল। অধিক লাভের আশায় গত কয়েক বছর ধরেই তরমুজ চাষে বেশ আগ্রহী হয়েছেন চাষিরা।
পলি মাটি ও মিষ্টি পানি তরমুজ চাষের জন্য অনুকূল থাকায় এই অঞ্চলে সফলতা পাচ্ছেন তারা। প্রতি বছরের মতোই এ বছরও সম্ভাব্য লাভজনক এই ফল চাষের প্রতিযোগিতা চলছে কৃষকের মধ্য।
পটুয়াখালী জেলার, রাঙ্গাবালী, গলাচিপা, দশমিনা ও বাউফল উপজেলায়, উপযোগী ও অনাবাদি, কয়েক’শ হেক্টর জমিতে গড়ে উঠেছে তরমুজের আবাদ।
তবে চৈত্রের শুরু থেকেই, দক্ষিণা বাতাসে আবহাওয়ার পরিবর্তন ও কালবৈশাখী ঝড়ের আশঙ্কায় আতঙ্কে চাষিরা,বাউফল উপজেলার কালাইয়া, শৌলা, বগা ও চন্দ্রদ্বীপ ধূলিয়া ইউনিয়নের তরমুজ চাষিরাসহ দুশ্চিন্তায় প্রহর কাটাচ্ছেন বিভিন্ন অঞ্চল থেকে আসা তরমুজ চাষীরা।
এদিকে গত কয়েক দিন ধরে দেশের বিভিন্ন জায়গায়, শিলা ও হালকা মাঝারি বৃষ্টি হলেও বাউফলে হালকা বৃষ্টি হয়েছে। এতে বড় ধরণের কোন ক্ষতি হয়নি বলে জানিয়েছেন বাউফলে কৃষকরা।
রাঙ্গাবালী থেকে আগত তরমুজ চাষী বাবুল দাস বলেন- কিছু তরমুজ বিক্রি করেছি তাতে খরচ টাকাও পাইনি যদি কালবৈশাখী ঝড় আসে অথবা বৈরী আবহাওয়া হয় তাহলে ভীষণ ক্ষতির সম্মুখীন হতে হবে।
এছাড়াও ভোলার চরফ্যাশনের নুরাবাদ থেকে আগত কৃষক নুর হোসেন ও জলিল মাঝী বলেন- আমাদের কিছু গাছে ফল ১০-১২ কেজি, কিছু গাছে মাত্র ফল আসতে শুরু করেছে এখন যদি কালবৈশাখী ঝড় ও শিলা বৃষ্টি হয়ে, জমিতে পানি জমাট বাঁধে তাহলে তরমুজ নষ্ট হবে এবং গাছ গুলো মরে যাবে।
এদিকে বিভাগীয় আবহাওয়া অফিস সূত্রে জানা গেছে- বরিশাল বিভাগের বিভিন্ন জেলায় +২৪…+২৬ ডিগ্রী তাপমাত্রায়৪ থেকে ৫ মিলিমিটার বেগে হতে পারে শিলা বৃষ্টি।
এব্যপারে উপজেলা, কৃষি কর্মকর্তা কামরুল ইসলাম বলেন- বড় ধরনের কোন দুর্যোগ হলে তো আমাদের কিছু করার থাকবে না। আর ছোটখাটো ঝড় বৃষ্টি হলে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রেখে ক্ষেত তৈরি করা হয়েছে। প্রতিটি ক্ষেতের মাঝে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে শীলা বৃষ্টি হলে ফসলের ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা আছে।