বুধবার, ১৪ মে ২০২৫, ১০:১৯ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
কৃষি ব্যাংকে ভুয়া ‘জিয়া পরিষদ’ ঘিরে তোলপাড় কুমিল্লায় মাদক সহ র‌্যাবের হাতে গ্রেপ্তার-১ রংপুরের পীরগাছায় কাভার্ড ভ্যানের ধাক্কায় পথচারী নিহত লক্ষ্মীপুর পৌরসভায় মশক নিধন কার্যক্রম শুরু কুষ্টিয়ায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ নড়াইলে সালমান হত্যা মামলা আসামি গ্রেপ্তার কুষ্টিয়ায় স্বাস্থ্যসেবার অনিয়মে পেশাজীবী পরিষদের মানববন্ধন পিরোজপুরের আলোচিত কুখ্যাত সন্ত্রাসী নাছির কারাগারে রংপুরে গৃহবধূ নির্যাতনে গর্ভপাত- মামলা তুলে নেয়ার হুমকি কুমিল্লায় র‌্যাবের অভিযানে মাদক সহ আটক ২ ফুলবাড়ীতে জমিজমার বিরোধ মারপিট আহত-১ ফুলবাড়ী থানার পুলিশ অভিযান চালিয়ে মাদক সহ আটক-১ নড়াইলে সেনাবাহিনীর অভিযানে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার ৩ পুঠিয়ায় রাজশাহী পূর্ব জেলা মজলিসে সুরা অধিবেশন পীরগঞ্জে আ’লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ ধুনটে অবৈধভাবে গাছ কর্তনের অভিযোগ ধুনটে কৃষক দলের কমিটি গঠন উপলক্ষে আলোচনা সভা নড়াইলে যুবকের মরদেহ উদ্ধার নড়াইলে দুই ইউপি চেয়ারম্যান সহ গ্রেপ্তার ৪ ধুনটে প্রাথমিক বিদ্যালয় গুলোতে মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টর বিতরণ

কুলাউড়ায় তিন ভাষাসৈনিকের বাড়ী ও জমি অবৈধ দখলের অভিযোগ

তিমির বণিক- মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
যে ভাষার জন্য প্রাণ দিয়েছে হাজারো বাঙ্গালী যাদের রক্তের বিনিময়ে আমরা এ ভাষার স্বাদ গ্রহন করছি। আর এ ভাষা আন্দোলনের অন্যতম তিন ভাষা সৈনিক ছিলেন, তারা হলেন ছালেহা বেগম, রওশন আরা বাচ্চু ও হোসনে আরা বেগম। একই মায়ের গর্ভের তিন কন্যা বাবার অনেক আদরের ছিলেন।

বড় বোন রওশন আরা বাচ্চু ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী হিসাবে ছাত্র রাজনীতি ও তখনকার চলমান মাতৃভাষা আন্দোলনের সাথে তিনি প্রত্যক্ষভাবে সম্পৃক্ত ছিলেন। মেজো বোন হোসনে আরা বেগম ১৯৪৮ইং সালে পিরোজপুর আরবান গার্লস স্কুলে দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন। জিন্নাহ ঢাকায় এসে উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার ঘোষণার প্রতিবাদে ১৯৪৮ইং-এর ১১ই মার্চ স্কুল থেকে ধর্মঘটের আহ্বান করায় অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

ছোট বোন সালেহা বেগম ১৯৫২ইং সালে ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস হাই স্কুলের দশম শ্রেণির ছাত্রী ছিলেন- যখন ১৯৫২ইং সালে ময়মনসিংহ মুসলিম গার্লস হাই স্কুলেও কালো পতাকা উড়ানো হলে, যার নেতৃত্ব দিয়েছিলেন ছালেহা বেগম একাই। সকলের বাধা বিপত্তি উপেক্ষা করে কালো পতাকা ওড়ালেন। ফলে ছালেহা বেগমকে স্কুলের নিয়ম শৃঙ্খলা ভঙ্গের কঠিন শাস্তিস্বরূপ তিন বছরের জন্য স্কুল থেকে বহিষ্কার ঘোষণা করা হয়। আর এর ফলশ্রুতিতে বাংলাদেশ পেয়েছে বাংলাভাষা, নিশ্বাসের মাতৃভাষা।

মৌলভীবাজার জেলার কুলাউড়া উপজেলার ঊছলাপাড়া গ্রামে জন্ম এ তিন ভাষা সৈনিকদের বাবার দেওয়া প্রাপ্ত সম্পত্তি গুলো স্থানীয় কিছু ভূমিদস্যু গ্রাস করার পায়েতারা করছে এর মধ্যে শতবর্ষ পুরনো ঐতিহ্যবাহী বাড়ি ও পুকুর রয়েছে। উত্তরাধিকারীদের অনেকেই রাজধানী ঢাকা এবং দেশের বাইরে অবস্থান করছেন এ সুযোগ কিছু স্থানীয় ভূমিদস্যু বর্তমান সরকারের নাম বিক্রি করে দখলের পায়তারা করছে।

করোনাকলীন সময়ে ভাষা সৈনিকদের ওয়ারিশগণের চলাচল সীমিত ছিল বলে এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে সেখানে লুটপাট করার চেষ্টা করছে ভূমিদস্যুরা। এই বংশের অন্যতম উওরাধিকারী জালাল মোঃ আজরফ ও আর এক উত্তরাধীকারী ভাষাসৈনিক ছালেহা বেগমের বড় ছেলে সৈয়দ শাকিল আহাদ এই প্রতিনিধিকে জানান- ভাষাসৈনিক তিন বোনের ঐতিহ্যে সম্ভৃদ্ধে শতবর্ষী এই বাড়ীর ও পুকুরের সংরক্ষন এ প্রশাসন ও স্থানীয় জনগনের সহায়তা চেয়েছেন পরিবারের সদস্যরা।

যাতে তিন ভাষা সৈনিকদের নামে ভাষা অডিটরিয়াম ও জনসাধরনের জন্য জনমিলন কেন্দ্র সহ বিভিন্ন ধরনের শিক্ষামূলক ও জন কল্যানমুলক স্থাপনা তৈরী করার ইচ্ছা পোষন করেছেন অধিকাংশ উত্তরাধিকারগণ।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com