সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৫ পূর্বাহ্ন
লক্ষ্মীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বিদেশ থেকে বোনের জামাই শালার কাছে ফোন দেয়া না দেয়াকে কেন্দ্র করে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বারের পিটুনিতে নারী বৃদ্ধসহ ৯ জন আহত হয়। ঘটনাটি লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলার তোরাবগঞ্জ ইউনিয়নের আব্দুল লতিফের বাড়িতে ঘটে।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা গেছে-আসমা আক্তারের স্বামী মালয়েশিয়া প্রবাসী সালাউদ্দিন তার শালা মোসলেহ উদ্দিনের কাছে ফোন দেয়া না দেয়াকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে স্থানীয় ইউপি সদস্য কামাল মেম্বারের কাছে নালিশ দেয়া হয়। কামাল হোসেন ওরফে ইটভাটার কামাল মাঝি আসমা আক্তারের মামা শশুর হয়। কামাল মাঝিও তর্কবিতর্কের এক পর্যায়ে উত্তেজিত হয়ে আব্দুল লতিফের বাড়িতে সঙ্গীয় নুরুল হুদা, নুর উদ্দিন, নুর করিম, আবুল বাশার, আরিফ হোসেন, জহির, শিরি বেগম, শিরি আখতার, আসমা বেগম পারভিন বেগম, মিনারা ও সালেহা বেগমসহ লাঠি সোটা, লোহার রড ও দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে মারধর করে।
কামাল মেম্বারের বেধড়ক পিটুনিতে আব্দুল মালেক, মোসলেউদ্দিন, আসমা আক্তার, কুলসুমা আক্তার, নিশু আক্তার, আমেনা বেগম, আশরাফের নেসা, মোঃ আজাদ, রিনা আক্তার আহত হয়। তাদের আত্মচিৎকারে আশেপাশের লোকজন এসে উদ্ধার করে লক্ষ্মীপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করে।
ভুক্তভোগীরা জানিয়েছেন- কামাল মেম্বার প্রবাসী আব্দুল মালেকের কাছে টাকা চেয়েছেন। টাকা না দেয়ায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে বাড়িতে এসে মারধর করে কামাল মেম্বার ও তার সঙ্গীয় বাহিনী। শুধু তাই নয়, মিথ্যা উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে উল্টো মামলা দিয়ে মোসলেউদ্দিনকে পুলিশে ধরিয়ে দেয় কামাল মেম্বার।
স্থানীয় একাধিক নারী জানিয়েছেন-কামাল মেম্বার প্রবাসী সুন্দরী নারীদের দিকে কুনজর দিয়ে খারাপ কাজের প্রস্তাব দেয়। এই নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে চেয়ারম্যান নিজেই কয়েকবার সালিশ দরবার করেছেন। এতে কামাল মেম্বার লোক লজ্জায় ইউনিয়ন পরিষদ কার্যালয়ে উঠতে পারছেন না বলেও জানা গেছে।
আহতরা কামাল মেম্বারের বাহিনীর ভয়ে আতঙ্কে রয়েছেন। যেকোনো সময় তারা আবারও বাড়ীতে এসে হামলা করতে পারেন বলেন এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন তারা।
স্থানীয় ওয়ার্ডের আরো অনেকে নাম প্রকাশ না করার শর্তে কামাল মেম্বারের নারী কেলেঙ্কারির ফিরিস্তি তুলে ধরেছেন সাংবাদিকদের কাছে। কেউ তার ভয়ে মুখ খুলতে পারছেন না। কামাল মেম্বার প্রবাসীদের বউ ও মেয়ের দিকে কুনজর দেন। খারাপ কাজের প্রস্তাব দেন। রাতবিরাতে দরজা জানলায় টোকা দিয়ে বাহিরে আসতে বলেন।
উক্ত অভিযোগের আলোকে কামাল মেম্বারের বক্তব্য নিতে তার বাড়িতে গেলে তাকে পাওয়া যায়নি। তবে একাধিকবার কল দেয়ার পরে মুঠোফোনে বলেন- ‘আপনারা আমার কাছে আসেন, সামনাসামনি কথা বলি। মোবাইলে কোনো কথা বলবো না’ বলেই লাইন কেটে দেন।
এ বিষয়ে স্থানীয় তোরাবগঞ্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ রাসেল বলেন- কামাল মেম্বারের নারী গঠিত বিষয় আমি জেনেছি, একটা সালিশও করেছি। আব্দুল লতিফের বাড়িতে গিয়ে মারামারির ঘটনাটি শুনেছি। কেউ আমার কাছে আসেনি। তারা আদালতে মামলা করেছে বলে জানতে পেরেছি।