সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:১৫ অপরাহ্ন
শাকিল ইসলাম- ক্রাইম প্রতিনিধিঃ
মাদরাসা কমিটিতে নাম না থাকায় ৫০ হাজার টাকা চাঁদা চেয়ে না পাওয়ায় সুপারকে লাঞ্ছিত ও প্রতিবাদ করায় চাঁদখানা ইউপি চেয়ারম্যান হাফিজার রহমান হাফির ছেলে হাসানুর রহমান সান্টু ও তার সহযোগীদের বিরুদ্ধে মারধরের অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় আহত শিক্ষককে কিশোরগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার সকালে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার চাঁদখানা বুড়িরহাট এ ইউ দাখিল মাদরাসায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে- চাঁদখানা বুড়ির হাট এ ইউ দাখিল মাদরাসায় একটি নিয়মিত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটিতে নাম না রাখায় চাঁদখানা ইউপি চেয়ারম্যানের ছেলে সান্টু ও তার গ্যাং সদস্যরা মাদরাসা সুপার আবু বক্কর সিদ্দিকের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে।
দাবিকৃত টাকা দিতে না চাওয়ায় ওই শিক্ষকের ওপর অতর্কিত হামলা করে তাকে লাঞ্ছিত করে। এ ঘটনায় ওই দিনই মাদরাসা সুপার সান্টুসহ আটজনকে অভিযুক্ত করে থানায় একটি চাঁদাবাজির অভিযোগ করেন।
মাদরাসার ইবতেদায়ি শাখা প্রধান আবু মুসা মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের অভিযোগ- বৃহস্পতিবার সকালে মাদরাসায় এসে অফিস রুমে বসেছিলাম। এ সময় হাসানুর রহমান সান্টুর সাথে ৯ থেকে ১০ জন লোক এসে অফিস রুমে সুপারের কাছে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে। আমি এর প্রতিবাদ করায় তারা আমাকে অফিস রুম থেকে ডেকে নিয়ে পাঞ্জাবির কলার ধরে টানাহেচড়া করে মাদরাসা মাঠ থেকে বের করার চেষ্টা করে।
এতে আমার সহকর্মীরা বাধা দিলে সান্টু গ্যাংরা অন্য শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সামনে গাছের ডাল দিয়ে আমার মাথায় সজোরে আঘাত করে। এ সময় আমার চোখ অন্ধকার হয়ে আসে। আমার সহকর্মীরা তার কবল থেকে আমাকে উদ্ধার করে কিশোরগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।’
মাদরাসা সুপার আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, সান্টুর পরিবার ১৯৮১ সালে মাদরাসা এমপিওভুক্ত হওয়ার পর থেকে ধারাবাহিকভাবে কমিটিতে ছিলেন। এবার মাদরাসা কমিটিতে অভিভাবকরা নতুনত্ব নিয়ে এসেছে। এ কারণে ক্ষিপ্ত হয়ে ৫০ হাজার টাকা চাঁদা দাবি করে তারা। এ সময় জোর করে পকেট থেকে দুই হাজার টাকা বের করে নেয়।
প্রধান অভিযুক্ত হাসানুর রহমান সান্টুর সাথে কথা বললে তিনি চাঁদা দাবির অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন- ওই শিক্ষকের সাথে শুধু কথা কাটাকাটি হয়েছে।
অভিযোগের তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই আক্কেল আলী বলেন, ঘটনাটি মূলত কমিটি নিয়ে তবে শিক্ষককে মারপিটের ঘটনা দুঃখজনক। এ ঘটনায় আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে।
মাদরাসার কমিটির সভাপতি শফিকুল ইসলাম বলেন- চেয়ারম্যানের ছেলে সান্টু মাদরাসার ক্লাস চলাকালীন ইবতেদায়ি শিক্ষককে মাঠের মাঝখানে নিয়ে মারধর করেছে। এর আগে গত মঙ্গলবার চাঁদা দাবি করে না পেয়ে মাদরাসা সুপারকেও লাঞ্ছিত করে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার নুর-ই আলম সিদ্দিকী বলেন- বিষয়টি খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয়ও ব্যবস্থা নেয়া হবে।