রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:২৫ অপরাহ্ন
নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর শিক্ষা নগরী খ্যাত সৈয়দপুরে চলছে মাদকের রমরমা ব্যবসা। মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর লোক দেখানো অভিযানে বহাল তবিয়তে রয়েছে মাদক সিন্ডিকেট অভিযোগ সচেতন মহলের। শিক্ষা নগরী সৈয়দপুরে রয়েছে ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড স্কুল, ক্যান্টনমেন্ট পাবলিক স্কুল এন্ড কলেজ, সরকারী বিজ্ঞান কলেজ, ল্য়ন্স স্কুল এন্ড কলেজ, সানফ্লাওয়ার স্কুল এন্ড কলেজ, মহিলা কলেজ, সৈয়দপুর সরকারী কলেজ, আদর্শ কলেজ, পাইলট বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, তুলসীরাম উচ্চ বিদ্যালয়, ইসলামিয়া হাই স্কুল, বাংলা হাইস্কুল, মুসলিম হাই স্কুল, কামারপুকুর কলেজ, রেলওয়ে হাই স্কুলসহ একাধিক ভকেশনাল কলেজ ও স্কুল। সর্বশেষ সৈয়দপুর আর্মি ইউনিভার্সিটিও যোগ হয়েছে এই শহরে।
এই ইউনিভার্সিটির কার্যক্রম শুরু হওয়ার পর থেকে শহরের ক্যান্টমেন্ট এলাকা থেকে চৌমুহনি এলাকার প্রত্যন্ত গ্রামও শহরে পরিনত হয়েছে। শহরে ছাত্রদের আধিক্য বাড়ার কারনে বসে নেই মাদক কারবারীরা। তারাও কোমর বেঁধে নেমেছে, তারা একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট করে শহরের প্রতিটি পাড়া মহল্লা, কলেজ ক্যাম্পাস, রেষ্টুরেন্ট এমনকি সড়কেও চালাচ্ছে তাদের অবৈধ মাদকের কারবার।
সৈয়দপুরে ক্যান্টনমেন্ট রোড, ১নং রেলওয়ে ঘুমটি সংলগ্ন ফুল বাগান, ১১০নং বাংলো পিকআপ ষ্ট্যান্ড, সিএসডি মোড়, ফাইভ ষ্টার মাঠ, ক্যান্টমেন্ট পাবলিক স্কুলের সামনে বুচারী গেট, পার্বতীপুর রোডের মোড়, আদানী মোড়, জুম্মাপাড়া, লায়ন্স স্কুলের গলি, একাউন্টস অফিসের গলি, হাতিখানা গোরস্থান গেট, কদমতলী, মহুয়া গাছ, মুন্সীপাড়া, ইসলামিয়া স্কুলের গলিসহ আশেপাশের এলাকাগুলির মাদক নিয়ন্ত্রন করে সরকার দলীয় কথিত এক যুবলীগ নেতা। তিনি মুন্সীপাড়া থেকে তার পোষা ক্যাডার ও ক্যাম্পবাসী অবাঙ্গালী হকারদের মাধ্যমে এই সমস্ত এলাকায় মাদক সরবরাহ করেন। তাদের টার্গেট হলো স্কুল কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া ঐ শিক্ষার্থীরা।
তাদের সাথে নানানভাবে সখ্যতা তৈরী করে বিভিন্ন স্পটসহ মাদকের হোম ডেলিভারীর ব্যবস্থাও করছে ফলে শিক্ষানগরী খ্যাত সৈয়দপুর পরিনত হচ্ছে মাদকের নগরীতে। মাদক সম্রাট কথিত যুবলীগ নেতা তার পোষা বাহিনীর মাধ্যমে সারাদিন মাদকের ব্যবসা করেন এবং তিনি নিজে সারাদিন ঘুমিয়ে কাটান। রাত ১০ টার পরে দামী অভিজাত গাড়িতে চড়ে বের হয়ে মুন্সীপাড়া থেকে পার্বতীপুর মোড় হয়ে ক্যান্ট পাবলিক স্কুল থেকে রেল গুমটি পর্যন্ত গভীর রাত অবধি মাদক বিক্রির টাকা একত্রিত করে বাড়ি ফেরেন। স্থানীয় পৌর আওয়ামীলীগ তার এই কুকর্মের কারনে তাকে দল থেকে বহিস্কার করলেও মাদকের অবৈধ ব্যবসার মজা সে ছাড়তে পারেনি। তা এই অবৈধ ব্যবসা পরিচালানার জন্য সে মোটা অংকের উৎকোচ মাদকদ্রব্য অধিদপ্তর ও প্রশাসনসহ দলীয় অসৎ নেতাদের দিয়ে থাকে।
মাঝে মাঝে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রন অধিদপ্তর লোক দেখানো অভিযান পরিচালনা করে কিছু মাদকসেবী ও খুচরা বিক্রেতাকে ধরে গডফাদারদের আড়াল করছেন। এব্যাপারে একাধিক আওয়ামীলীগ নেতা ও সুধী সমাজের কথা বললে তারা বলেন গ্রাম পর্য়ায়ে মাদক সম্রাট মোন্নাফ ডাকাত এবং শহরে মাদক সম্রাট কথিত যুবলীগ নেতা, এদের বৈধ কোন ব্যবসা নেই তারা মাদক ব্যবসা করেই এখন বিলাস বহুল জীবন যাপন করছেন।