শুক্রবার, ০৩ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
নাসির উদ্দীন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতের সহকারী হাই কমিশনার (রাজশাহী) সঞ্জীব কুমার ভাটী বলেছেন, বিদেশিদের ই-টুরিস্ট ভিসা প্রদানে আমরা প্রস্তুতি গ্রহন করছি। অতিদ্রুত এই কার্যক্রম শুরু করা হবে।
নিউ জলপাইগুড়ি থেকে ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট মিতালি এক্সপ্রেসের চলাচলের যে সম্ভাব্য তারিখগুলো ছিল তা আপাতত স্থগিত রাখা হয়েছে। মিতালী এক্সপ্রেস নিয়ে বাংলাদেশের সাথে আলোচনা করেছি আমরা। রেল মন্ত্রনালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মিতালি এক্সপ্রেস চলাচল আপাতত স্থগিত করা হয়েছে। যেহেতু কিছু প্রস্ততি বাকী রয়েছে, সেগুলি সম্পন্ন করে দ্রুত ট্রেনটি চালু করা হবে।
বুধবার ২৩শে মার্চ দুপুর ১২টায় নীলফামারী শহরে অবস্থিত সনাতন ধর্মের শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালিমন্দির নির্মাণ কাজের পরিদর্শন শেষে উপস্থিত সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
এসময় উপস্থিত ছিলেন শ্রী শ্রী আনন্দময়ী কালি মন্দির পরিচালনা কমিটির সভাপতি অক্ষয় কুমার রায়, সহসভাপতি দেবাষিশ মজুমদার বাবলা, সাধারণ সম্পাদক তাপস রায়, সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দীপক চক্রবর্তী, নারী ভাইস চেয়ারম্যান শান্তনা চক্রবর্তী প্রমুখ।
অপর দিকে একাধিক সুত্রে জানা যায়- ভারত সরকার আগামী ২৭শে মার্চ থেকে বিদেশিদের ই-টুরিস্ট ভিসা প্রদান চালু করতে যাচ্ছে। করোনা ভাইরাসের জেরে ২০২০ইং সালের ১৫ই মার্চ থেকে বন্ধ রয়েছে কলকাতা-ঢাকা মৈত্রী এক্সপ্রেস ও কলকাতা-খুলনা বন্ধন এক্সপ্রেস। নতুন করে ভিসা প্রক্রিয়া চালু হলে এই দু’টি ট্রেন পুনরায় চলাচল শুরু করবে। তবে মিতালি এক্সপ্রেসের চলাচল নিয়ে আপাতত কোন সিদ্ধান্ত হয়নি। ট্রেনটির চাকা যাত্রাপথে গড়াবে কবে, তা নিশ্চিত নয়। দুই দেশের পরাষ্টমন্ত্রনালয় থেকে চূড়ান্ত অনুমোদন মেলেনি মিতালি এক্সপ্রেস নিয়ে। তবে বাংলাদেশের রেলমন্ত্রনালয় ট্রেনটির ভাড়া নির্দিষ্ট করে সময়সূচী পর্যন্ত বিজ্ঞপ্তি আকারে ঘোষনা করে দিয়েছে।
বাংলাদেশের রেলমন্ত্রনালয়ে অতিরিক্ত মহা পরিচালক (অপারেশন) সরদার সাহাদার আলী বলেছেন, ভারত বাংলাদেশিদের সড়কপথে ভিসা দিলেই ট্রেন চলানোর বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। ২০২০ইং সালের ২৭শে মার্চ দুই দেশের ভারত ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদী ও শেখ হাসিনা উদ্বোধন করেছিলেন ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট-নিউ জলপাইগুড়ি জংশন মিতালি এক্সপ্রেসের। কিন্তু ট্রেনটির চাকা আর গড়ায়নি। বাংলাদশের রেলমন্ত্রনালয়ের তরফে যে ভাড়া নির্দিষ্ট করা হয়েছে, তা নিয়ে সাধারণের মধ্যে প্রশ্ন থাকলেও ট্রেনটি নিয়ে উৎসাহ কম নেই দুই বাংলার মানুষের।
আগামী ২৬শে মার্চ ট্রেনটির চলাচল শুরু হওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিলেও তা যে হচ্ছে না, তা স্পষ্ট। কেননা, ২৭শে মার্চ থেকে টিকিট দেওয়া কথা জানিয়েছিল বাংলাদেশের রেলমন্ত্রনালয়। কিন্তু ওই দিন থেকেও ট্রেনটি না চলার সম্ভাবনা বেশি। কিন্তু ট্রেনটির চাকা যাত্রাপথে গড়াবে কবে তা সু-নির্দিষ্টভাবে এখনও চুড়ান্ত করা হয়নি। তবে অপর একটি সুত্র জানায় আগামী এপ্রিল মাসেই মিতালির চাকা ঘুরবে।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের ব্যুরো অফ ইমিগ্রেশনের তরফে জানানো হয়েছে, আগামী ২৭শে মার্চ থেকে ১৫৬টি দেশের পর্যটককেই ই-টুরিস্ট ভিসা দেওয়া হবে। যার মেয়াদ হবে পাঁচ বছর। তবে ফের মহামারি বা এমন কোনও পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে যে তা বাতিল করে দেওয়া হবে, সে কথাও স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এর আগে ২০২০ সালের ২১ মার্চ সমস্ত ভিসা বাতিল করে দেওয়া হয়েছিল।