বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৪৬ অপরাহ্ন
রাশেদুল ইসলাম- কুড়িগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রাম জেলার রাজারহাট উপজেলার ছিনাই ইউনিয়নে মীরেরবাড়ি এলাকায় সরকারি জায়গায় অদৃশ্য শক্তির জোরে স্থাপনা উঠিয়ে দীর্ঘদিন যাবত ব্যবসা করে যাচ্ছে মাহাবুবার রহমান নামের এক ব্যাক্তি। এমন অভিযোগ তুলে বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ পত্র দায়ের করেন ঐ এলাকার আব্দুল গনি।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়- রাজারহাটের পাঙ্গাহাট সংলগ্ন ৮০ থেকে ১০০ গজ উত্তরে পাকা রাস্তার দক্ষিণে যাহার এস এ দাগ নং ২২২৩, আর এস দাগ নং ২৬৫৫ দাগে ০.২০ একর জমিতে অবৈধ ভাবে পাকা স্থাপনা নির্মান করেছে মোঃ মাহাবুবার রহমান। মাহাবুবার রহমানকে অভিযুক্ত করে মোঃ আব্দুল গনি মিয়া অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক ( রাজস্ব), কুড়িগ্রাম বরাবর ২৭/৩/২২ অভিযোগ দায়ের করেন।
ঐ অভিযোগের সূত্র ধরে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সংশ্লিষ্ট উপজেলায় দায়িত্ব প্রদান করেন। পরে উপজেলার দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ইউনিয়ন ভূমি অফিসে দায়িত্ব প্রদান করলে ছিনাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কার্ত্তিক চন্দ্র সরকার লিখিত প্রতিবেদনে জানায় উক্ত জায়গা শচীন্দ্র নারায়ন কোঙর পরিবারের ১০০ বিঘার উর্দ্ধে জমি থাকার কারনে পিও ৯৮/৭২ অধ্যাদেশ জারীর পর ২২২৩ দাগস্থ জমি সহ অন্যান্য জমি আর,এস রেকর্ডে ২৬৫৫ দাগে রুপান্তর হয়ে ১ নং খতিয়ানে রেকর্ড ভুক্ত না হয়ে ভ্রমাত্নকভাবে জেলা প্রশাসক মহোদয়ের ১/১ খতিয়ানে রেকর্ডভূক্ত হয়েছে । সেই পরিপ্রেক্ষিতে ২৬৫৫ দাগস্থ ঐ জমির ০.২০ একর জমিতে সরকারি স্বার্থ জড়িত আছে।
ঐ দাগেই ০.২০ একর সরকারি স্বার্থযুক্ত জমিতে মৃতঃ এ কে এম আলাউদ্দিনের ছেলে মাহাবুবার রহমান অবৈধ ভাবে স্থাপনা তৈরী করে দীর্ঘদিন যাবত আইনের তোয়াক্কা না করে দিব্বি ব্যবসা করে যাচ্ছে।
অভিযোগকারী মোঃ আব্দুল গনি সাংবাদিকদের বলেন ঐ জমি সরকারি, সেটা তহশিলদারের তদন্ত রিপোর্টের লিখিত প্রতিবেদনে প্রমান হয়েছে। তহশিলদার উপজেলা বরাবর সরকারি খাস খতিয়ানে অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদেরর জন্য প্রতিবেদন দাখিল করেছে।
কিন্তু কোন এক অদৃশ্য শক্তির জোরে স্থাপনাটি উচ্ছেদ হচ্ছে না। আমরা এলাকাবাসী চাই অতি তারাতারি এই সরকারি খাস জমির উপর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হোক আর এই অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আমি জেলা প্রশাসক, কুড়িগ্রাম মহোদয় থেকে শুরু করে বিভিন্ন মন্ত্রনালয়ে এবং সব শেষ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে অভিযোগ দায়ের করি।
এই বিষয়ে ছিনাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কার্ত্তিক চন্দ্র তার লিখিত প্রতিবেদনে বলেন উক্ত জমি ১/১ খতিয়ানে নথিভুক্ত । ওই জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের জন্য আমি রাজারহাট উপজেলার সহকারী কমিশনার ( ভুমি) বরাবর লিখিত প্রতিবেদন দাখিল করেছি। আশা করছি অতি তারাতারি ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।
এই বিষয়ে অভিযুক্ত ব্যক্তি মাহাবুবার রহমান ছিনাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কার্ত্তিক চন্দ্রের তদন্ত প্রতিবেদনে বলেন কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক মহোদয়কে বিবাদী করে ৬৩/২২ নং মামলা দায়ের করেছি। যা বিজ্ঞ আদালতে চলমান আছে।
উক্ত বিষয়ে ছিনাই ইউনিয়ন ভূমি সহকারী কর্মকর্তা কার্ত্তিক চন্দ্র সরকার তার লিখিত প্রতিবেদনের শেষের লাইনে উল্লেখ করে বলেন সরকারি স্বার্থ ক্ষুন্ন করার জন্য মাহাবুবার রহমান উক্ত জমির উপর মামলা করেছে। এমতাবস্থায় উক্ত ব্যক্তি (মাহাবুর রহমান) এর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহন করা যেতে পারে।