রবিবার, ১৬ মার্চ ২০২৫, ০৪:৩০ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতিকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে।
র্যাব নিয়মিত ভাবে সফলতার সহিত জঙ্গী, সস্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, পর্নোগ্রাফি, প্রতারক চক্র, হ্যাকার, আন্তঃ জেলা চোর চক্র, ছিনতাইকারী, কালোবাজারী, অস্ত্রধারী অপরাধী’সহ মাদক কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এর’ই ধারাবাহিকতায় গতকাল মঙ্গলবার ২৪শে মে ২০২২ইং তারিখে র্যাব-১৫ এর আভিযানিক দল কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন কক্সবাজার পৌরসভাস্থ বক্ষব্যাধি ক্লিনিক এর গেইটের সামনে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অবগত হয়ে অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে। অভিযান চলাকালীন আনুমানিক দিবাগত-রাত ০৯ ঘটিকায় র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে কতিপয় ব্যক্তি পালানোর চেষ্টা করে।
ওই সময় পলায়নের চেষ্টাকালে গ্রেফতারকৃত আসামীরা হলো- যথাক্রমে, ১। অলি আহম্মদ(৩৯), পিতা- মৃত আলী আহাম্মদ, মাতা- মৃত খতিজা বেগম, সাং- গোদারবিল (আলী আহাম্মদের বাড়ী) ৭নং ওয়ার্ড, সদর ইউপি, থানা- টেকনাফ, জেলা- কক্সবাজার, ২। মোঃ শফি আলম(৪০), পিতা- মৃত রশিদ আহমদ, মাতা- মৃত ফাতেমা বেগম, সাং- পূর্বদ্বীপ, ফতেখারকুল (বদুর বাপের বাড়ী), ১নং ওয়ার্ড, সদর ইউপি, থানা- রামু, জেলা- কক্সবাজার, ৩। আনোয়ার ছাদেক(২৫) (রোহিঙ্গা), পিতা- নুরুল হক, মাতা- আনোয়ারা বেগম, সাং- মোছনী, ক্যাম্প নং-২৬, ব্লক নং-সি, থানা- টেকনাফ, জেলা-কক্সবাজার।
পরবর্তীতে উপস্থিত সাক্ষীগণে সম্মুখে গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারিদের দেহ তল্লাশী করে ৭,৮০০ (সাত হাজার আটশত) পিস ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ধৃত ব্যক্তিরা জানায়, তারা দীর্ঘদিন যাবৎ মাদক ব্যবসার সাথে জড়িত। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, জব্দকৃত মাদকদ্রব্য ইয়াবা গুলো তারা বিক্রির উদ্দেশ্যে উক্ত স্থানে অবস্থান করছিল।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত মাদক কারবারি আসামীদের বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার জেলার সদর থানায় লিখিত এজাহার দাখিল করা হয়েছে। পাশাপাশি আসামীদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ শেষে থানা পুলিশ হস্তান্তর করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই র্যাবের পক্ষ থেকে অপরাধীদের কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে জানানো হয়- দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র-মাদকদ্রব্য উদ্ধার থেকে শুরু করে সকল প্রকার অরাজকতাকে রুখে দিতে র্যাব বদ্ধপরিকর। এ ছাড়াও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের জিরো টলারেন্স ঘোষণার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান গুলো চলমান রেখেছেন।