বুধবার, ২৯ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৪ পূর্বাহ্ন
মোঃ আলম- কক্সবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দালাল কর্তৃক দুর্নীতিতে প্রভাবিত। তথ্যসূত্রে, সাখাওয়াত নামে এক দালালকে এক ভুক্তভোগী ১০ হাজার টাকা দিয়েও কাঙ্খিত পাসপোর্ট হাতে পাননি।
ভুক্তভোগীর একটি ভিডিও গোয়েন্দা সংস্থার হাতে এসেছে। কয়েকদিন সরজমিনে কক্সবাজার আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস ঘুরে এমন তথ্য মিলেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে- অফিস সহকারী শাখাওয়াত হোসেন ও নিরাপত্তা কর্মীরা ছাড়া পাসপোর্ট প্রত্যাশীদের আবেদনপত্রের ফাইল নড়ে না। তাদের সাথে রয়েছে সাঈদ, মনির, মাসুদসহ ১০ সদস্যের একটি সংঘবদ্ধ দালাল চক্র। অফিস সহকারী শাখাওয়াত ও দালালদের মধ্যে রয়েছে সখ্য।
দালাল চক্র কন্ট্রাকে পাসপোর্ট নিয়ে ফাইলের উপর একটি সংকেত চিহ্ন বসিয়ে দেওয়া হয়। আর সেই সংকেত চিহ্ন দেখেই ফাইল জমা নিয়ে নেন অফিস সহকারী শাখাওয়াত হোসেন। আর যারা সরাসরি পাসপোর্ট আবেদন ফাইল জমা দিতে যান তাদের পাসপোর্ট আটকে দেওয়ার হুমকি ধমকি ও দেন শাখাওয়াত।
পাসপোর্ট করতে আসা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক যুবক জানান, মঙ্গলবার নতুন পাসপোর্ট আবেদন ফরম নিয়ে জমা দিতে যান ১০১নং কক্ষে তার ফাইলে সব কাগজপত্র ওকে ছিল।
কিন্তু কোন মাধ্যম ছাড়া পাসপোর্ট করতে যাওয়া আমার ফাইলটি তিন দিন ধরে ফেরত দেওয়া হয়। অবশেষে চতুর্থ দিন গেলে শাখাওয়াত ধমক দিয়ে বললো ফাইলটি আর গ্রহণ করা হবে না। নানা অজুহাত দেখি সব কাগজপত্র মূল কপি আনতে হবে বলে তাড়িয়ে দেয়। পর সেখানের এক কর্মকর্তার মাধ্যমে ২ হাজার টাকার বিনিময়ে অবশেষে আবেদন ফাইলটি জমা নেন।
অনুসন্ধানে জানা যায়- নতুন পাসপোর্টের আবেদন দালাল চক্র মাধ্যমে না গেলে নানা অজুহাতে জমা নেন না শাখাওয়াত। আর দালাল মধ্যমে দিলে গুনতে হয় অতিরিক্ত ৫—১০ হাজার টাকা যার একটি অংশ পৌঁছে যায় সংঘবদ্ধ দালাল চক্র মাধ্যমে অফিস কর্মকর্তাদের হাতে।
আর পুরনো আর দালাল মধ্যমে দিলে গুনতে হয় অতিরিক্ত ৫—১০ হাজার টাকা যার একটি অংশ পৌঁছে যায় সংঘবদ্ধ দালাল চক্র মাধ্যমে অফিস কর্মকর্তাদের হাতে। আর পুরনো পাসপোর্ট রিনিউ করতে লাগে ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা। এদিকে পরিচয় গোপন সাইদ নামে এক দালালের সঙ্গে একটি নতুন পাসপোর্ট করে দেওয়া নিয়ে কথা হয়।
তিনি জানান- সরকারি নির্ধারিত ফি জমা দেওয়ার পর তাকে দিতে তাকে দিতে হবে। ৫ হাজার টাকা এতে ১ সপ্তাহের মধ্যে মিলবে ভোগান্তি ছাড়া পাসপোর্ট।
এসব অভিযোগের বিষয়ে সোমবার কক্সবাজার পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক মাহাবুব রহমান ও অফিস সহকারী কম্পিউটার শাখাওয়াত হোসেন ও মুঠোয় ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ চেষ্টা করেও তারা কেউ ফোন রিসিভ না করায় তাদের বক্তব্য পাওয়া যায়নি।
জেলা প্রশাসক মোঃ শাহীন ইমরান বলেন- বিষয়টি উদ্বেগজনক। সেবার বিনিময়ে কেউ টাকা নিয়ে থাকলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেওয়া হবে। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নেওয়া হবে।