শনিবার, ২২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০১:০৫ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
ধুনট বাজার ব্যবসায়ী ঐক্য পরিষদের সাধারণ সভা পাবনায় শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের উদ্যোগে শহীদ দিবস পালন তারাগঞ্জ ফুটবল একাডেমীর নব-গঠিত কমিটির পরিচিতি উপলক্ষে প্রীতিম্যাচ নড়াইলে ভাষা শহীদদের শ্রদ্ধায় জেলা পুলিশের পুষ্পস্তবক অর্পণ পাবনার সাঁথীয়ায় যুবকের হাতের কবজি কেটে বিচ্ছিন্ন করেছে দুর্বৃত্তরা প্রতিপক্ষের হামলায় আহত-১ নড়াইলে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার- ১ ভাঙ্গুড়ায় বইপড়া কর্মসূচি ও পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান শান্তি-শৃঙ্খলা উন্নয়নে যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের সচেতনতামূলক অনুষ্ঠান রাজশাহীতে প্রাথমিক বিদ্যালয় গোল্ডকাপ ফুটবল টুর্নামেন্ট শুরু র‌্যাব-১১, সিপিসি-২’র অভিযানে ইয়াবাসহ মাদক কারবারী গ্রেফতার নড়াইলে হিন্দু বৃদ্ধা শুভা রাণী বিশ্বাস’র জমি দখল ও ঘরবাড়ি ভাঙচুর পীরগঞ্জে সাধক কবি হেয়াত মামুদ (রঃ)’র মৃত্যুবার্ষিকী পালিত পুঠিয়ায় বইমেলা পরিদর্শনে রাজশাহীর অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার পাবনায় এটিএম আজহারুল ইসলামের মুক্তি দাবিতে বিক্ষোভ রাণীশংকৈলে ভ্রাম্যমাণ আদালতে মাদকসেবীর কারাদণ্ড নির্বাহী আদেশে এটিএম আজহারকে মুক্তি দিতে হবে- আব্দুল হালিম ধুনটে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে যুবদলের ঝটিকা মিছিল রংপুরে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু, থানায় মামলা রাণীশংকৈলে হিমাগারে আলুর বস্তার ভাড়া বৃদ্ধি- প্রতিবাদে মানববন্ধন

নীলফামারীতে স্বস্তির বৃষ্টিতে কৃষকের মুখে হাসি

শাহীন আহমেদ- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
আমন চাষ বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। বৃষ্টি না হওয়ায় চরম হতাশ হয়ে পড়েছিলেন কৃষকেরা। ভরা বর্ষায় প্রচণ্ড তাপদাহের পর নীলফামারীতে দেখা মিলেছে বৃষ্টির। বৃষ্টির পানি পেয়ে জমিতে লাগানো আমন ধানের চারা জীবন ফিরে পেয়েছে। পাশাপাশি নতুন চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকরা।

স্থানীয় কৃষকেরা জানান, আমন আবাদের শেষ মৌসুমেও বৃষ্টি না হওয়ায় অনেকটা দুশ্চিন্তায় পড়েছিলাম আমরা। শুক্রবার (৪ঠা আগষ্ট-২৩ইং) রাতে হঠাৎ মুসলধারে বৃষ্টি নামায় চিন্তা মুক্ত আমরা। এক রাতের বৃষ্টিতে খেতগুলো প্রাণ ফিরে পেয়েছে। তবে এরকম বৃষ্টি আরও দুইদিন হওয়া প্রয়োজন।

সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায় রাতের টানা বৃষ্টিতে খাল-বিল ও আমনের জমি ভরে গেছে। এতোদিন পড়ে থাকা জমিগুলোতে ধানের চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন চাষিরা। বৃষ্টির কারণে সেচের খরচ বেঁচে যাবে বলে খুশি কৃষকেরা।

সদর উপজেলার কুন্দপুকুর ইউনিয়নের উত্তর পাটাকমুড়ি এলাকার কৃষক সোহরাফ হোসেন বলেন, গেল বছরের তুলনায় এবার বৃষ্টির পরিমাণ অনেক কম। বৃষ্টি না থাকায় সেচ দিয়ে চারা লাগাতে হয়েছিল। তবুও প্রচন্ড তাপদাহে ধানের চারাগুলো নেতিয়ে যায়। গত রাতে বৃষ্টিতে মনে হচ্ছে প্রাণ ফিরে পেয়েছে চারাগুলো। আরো দুইদিন এরকম বৃষ্টি প্রয়োজন।

পলাশবাড়ী ইউনিয়নের ধোরধোরা পাড় এলাকার কৃষক গোলাম রাব্বী বলেন, সেচ দিয়ে ধান আবাদ করা খুবই কঠিন। এখন বৃষ্টি হওয়ায় সেচের বাড়তি খরচ থেকে বাঁচা গেল। আর কয়েকদিন দিন এমন বৃষ্টি হলে আর সেচ দেওয়া লাগবে না।

সৈয়দপুর বিমান বন্দর আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র অবজারভার (এসও) মঞ্জুর রহমান বলেন, শুক্রবার রাতে ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এটাই এ মাসের এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ বৃষ্টিপাত।

জেলা কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি আমন মৌসুমে নীলফামারীতে ১ লাখ ১৩ হাজার ১০৫ হেক্টর জমিতে ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। এতে সেচসহ বৃষ্টিতে অর্জিত জমির পরিমাণ ৫০ হাজার ৭৮৫ হেক্টর। এতে উৎপাদনের লক্ষ্যমাত্রা ধরা হয়েছে ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৪২৮ মেট্রিক টন চাল।

নীলফামারী সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা আতিক আহমেদ বলেন, আমন চাষ বৃষ্টির ওপর নির্ভরশীল। বৃষ্টি না থাকায় এ বছর ডিজেলচালিত শ্যালো মেশিনে ভূ-গর্ভস্থের পানি দিয়ে চাষ করতে হচ্ছে। লাগাতার বৃষ্টি না হওয়ায় ফলন নিয়ে দুশ্চিন্তায় ছিলেন কৃষকেরা।

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতরের উপ-পরিচালক ডঃ এসএম আবু বকর সাইফুল ইসলাম বলেন, গতকাল রাতে জেলায় প্রায় ৩৩ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। এই বৃষ্টিপাতে কৃষকের সংকট কেটে গেছে। দেরিতে হলেও আশানুরূপ বৃষ্টি হওয়ায় চাষিরা পুরোদমে চারা রোপণে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com