শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৩০ অপরাহ্ন
মাজেদুর রহমান- রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরোচীফঃ
পুঠিয়া উপজেলার বিরালদহ সৈয়দ করম আলী দারুছ-ছুন্নাত ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রাসার শিক্ষক সেলিম হোসেন দীর্ঘদিন দেশের বাইরে থেকেও নিয়মিত বেতন ভাতা তুলছেন।
মাদ্রাসা সূত্রে জানাগেছে, শিক্ষক সেলিম হোসেন গত (১২ ফেব্রুয়ারি) ২০২৩ইং ইংল্যান্ড গেছেন। একাধিক শিক্ষকের অভিযোগ মাদ্রাসার অধ্যক্ষের যোগসাজোসে তার বেতন ভাতা উত্তোলন করা হচ্ছে। এতে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে মাদ্রাসা এলাকাবাসী ও ছাত্র-ছাত্রীরা।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, উপজেলা বানেশ্বর ইউনিয়নের বিরালদহ সৈয়দ করম আলী দারুছ-ছুন্নাত ফাজিল (ডিগ্রী) মাদ্রসার প্রভাষক (জীববিজ্ঞান) সেলিম হোসেন গতবছর ছুটির জন্য আবেদন করলে ছুটি নামঞ্জুর করে মাদ্রাসা কর্তৃপক্ষ।
উক্ত শিক্ষক সেদিকে তোয়াক্কা না করেই চলে যায় দেশের বাইরে। অনেকের অভিযোগ, প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ উক্ত শিক্ষকের সাথে অবৈধ আর্থিক লেনদেনের মাধ্যমে তার বেতন বিল ব্যাংক একাউন্টে পাঠাচ্ছেন এবং যথারীতি বেতন ভাতা উত্তোলন করছেন। প্রভাষক সেলিম হোসেনর অনুপস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ক্ষতি ও দাপ্তরিক শৃঙ্খলা ভঙ্গ হচ্ছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে।
এছাড়াও উক্ত প্রতিষ্ঠানের অধ্যক্ষ হাবিবুর রহমান নিজেও প্রতিষ্ঠানে নিয়মিত আসেন না। আসলেও আগাম স্বাক্ষর করে চলে যান। বিভিন্ন দুর্নীতি ও অনিয়মের কারণে ২০১১ সাল থেকে এই পর্যন্ত অধ্যক্ষ নিজেও তিনবার বরখাস্ত হন।
আরবি বিভাগের প্রভাষক হাবিবুল্লাহ বলেন, আমি এই প্রতিষ্ঠানে নতুন যোগদান করেছি। যোগদানের পর থেকেই দেখছি আমাদের সহকর্মী(শিক্ষক) সেলিম ও অধ্যক্ষের উপর বিভিন্ন দুর্নীতির অভিযোগ- শিক্ষকদের সঙ্গে অসৎ আচরণ, বিভিন্ন খাতের অর্থ আত্মসাৎ, নিয়মিত মাদ্রাসায় না আসা। স্যারের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিষয়ে আমরা শিক্ষা অফিসার বরাবর একটা লিখিত অভিযোগ দিয়েছি।
প্রতিষ্ঠানের কমিটির সভাপতি (ভারপ্রাপ্ত) সাজ্জাদ হোসেন সজল বলেন, আসলে এগুলা বিষয় ঘটেছে সাবেক সভাপতি সময়। আর্থিক বিষয়গুলো যৌথ একাউন্টের মাধ্যমে অধ্যক্ষ স্যার দেখাশোনা করে।
এ বিষয়ে উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা লাইলা জাহান বলেন, গতবছর এ বিষয়ে আমি তদন্ত করে রিপোর্ট আমাদের উর্ধ্বতন দপ্তরে পাঠিয়েছি। মাদ্রাসার গর্ভানিং বডির সর্বময় ক্ষমতা রয়েছে। গর্ভানিং বডির সভাপতি এসব বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে পারে।