শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৭ অপরাহ্ন
৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্ক.
রংপুরে আওয়ামী লীগ চক্র কর্তৃক তথ্য ও সম্প্রচার উপদেষ্টা নাহিদ ইসলামের মতবিনিময় অনুষ্ঠানে বিশৃঙ্খলাকারীদের আইনের আওতায় নিয়ে বিচার ও শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন।
শনিবার (১৯ অক্টোবর) রাত ৯ টায় রংপুর নগরীর একটি কমিউনিটি সেন্টারে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন রংপুরের সমন্বয়কারি সাংবাদিক এস.এম জাকির হুসাইন এর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সমন্বয়কারি শরিফা বেগম শিউলী, শিল্পী আক্তার, রবিন চৌধুরী রাসেল ও আতিকুর রহমান আতিক।
গত (১২ অক্টোবর) বিকেল সাড়ে ৩টায় রংপুর সার্কিট হাউজে সাংবাদিকদের সঙ্গে তথ্য উপদেষ্টার মতবিনিময় অনুষ্ঠানে সৃষ্ট অনাকাঙ্খিত ঘটনায় প্রেসক্লাব রংপুরের বিশৃঙ্খলাকারী বর্তমান ফ্যাসিষ্ট কমিটির সাথে রাজনৈতিক ছত্রছায়া ছিল কী না, তা খতিয়ে দেখারও জোর দাবী জানান বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক নেতারা।
তারা বলেন, প্রেসক্লাব রংপুরের গত ৩৩ বছরে ক্ষমতার অপব্যবহার, অবৈধ কমিটির অনিয়ম, দুর্নীতি ও দলবাজির তথ্য প্রমান, বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলন তথ্য উপদেষ্টার সামনে যেন তুলে ধরতে না পারে একারনেই তারা অনাকাঙ্খিত ঘটনার সৃষ্টি করে। যা অত্যন্ত দু:খজনক ও ফ্যাসীজমের বহিঃপ্রকাশ। এদিকে ফ্যাসিস্ট কমিটি নিজেদের দোষ ঢাকতে সংবাদ সম্মেলন করে ও কয়েকজনকে চায়ের দাওয়াত দিয়ে ৭ সংগঠনের নাম ভাঙ্গিয়ে ৬ সাংবাদিককে অযৌক্তিক অবাঞ্ছিত ঘোষণা করে। এতে ৬ সংগঠনসহ সুশীল সমাজে ও সামাজিক মাধ্যমে তীব্র নিন্দা ও সমালোচনা সৃষ্টি হয়েছে।
আরো জানা যায়, রাত ৮ টার দিকে প্রেসক্লাব রংপুরের সামনে বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের সহসমন্বয়ক ও দৈনিক মাতৃভূমির প্রতিনিধি শহিদুল ইসলামকে অতর্কিত আক্রমণ করে মেরিনা লাভলীর স্বামী সাব্বির হোসেন।
এ ব্যাপারে শহিদুল ইসলাম বলেন, সংবাদ সম্মেলনে আসার আগে প্রেসক্লাবের সামনে ফ্যাসিস্ট কমিটির সাধারণ সম্পাদক মেরিনা লাভলীর স্বামী সাব্বির হোসেনসহ অজ্ঞাত আরো কয়েকজন মিলে আমাকে হুমকি ধামকি দেয়। এবং প্রেসক্লাবের উপরে উঠানোর জন্য টানাহেঁচড়া করে। এসময় জীবন বাঁচানোর তাগিদে মটরসাইকেল রেখে আমি আমার জীবন নিয়ে ছিটকে পালিয়ে আসি। আমি শহিদুল ইসলাম প্রশাসনের কাছে এহেন কর্মকান্ডের সুষ্ঠ তদন্ত সাপেক্ষে আক্রমনকারীদের বিচারের দাবি জানাচ্ছি।
“আবু সাঈদের রংপুরে বৈষম্যের কোন ঠাঁই নাই হবে না “হুসিয়ারী দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে অনতিবিলম্বে সমাজসেবা অধিদপ্তর কর্তৃক ১৯৯১ সালের (১৪ জুলাই) অনুমোদিত প্রেসক্লাব রংপুরের প্রকৃত গঠনতন্ত্র অনুযায়ী রংপুর জেলায় কর্মরত সকল গনমাধ্যম কর্মীদের সদস্যপদ প্রদানে ও বৈষম্যমুক্ত করতে প্রেসক্লাব রংপুরে প্রশাসক নিয়োগসহ প্রেসক্লাব রংপুরের প্রায় ৩’শ দোকান থেকে প্রাপ্ত আয় সাংবাদিকদের কল্যানে ব্যয় করার দাবী জানান তারা।