সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:০৮ অপরাহ্ন
মাসুদ রানা- সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সিরাজগঞ্জে বীর মক্তিযোদ্ধা সাবেক সেনাসদস্য মোঃ নরুল ইসলামের কৃষি জমির মাটি জোরপূর্বক ভাবে কর্তন করে নিয়েছেন কলেজ শিক্ষক সহ ৪ জন প্রভাবশালী।
সদর উপজেলার রতনকান্দি ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামের আর,এস দাগ নাম্বার- ৮১৮২ রকম ফসলী ১৯ শতক জমির মাটি গত ২৮জানুয়ারি রবিবার জোরপূর্বক ভাবে কর্তনকরে কলেজ শিক্ষকের বসত বাড়ি ভড়াট করেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, রতনকান্দি ইউনিয়নের কুড়ালিয়া গ্রামের বীর মক্তিযোদ্ধ নরুল ইসলাম তার পৈতৃক সম্পত্তির ১৯ শতক ফসলি জমি ২০১২ সালে প্রসেস মিলের ব্যাবসা করার জন্য ২০বছর মেয়াদে ১৪জনের কাছে ২লক্ষ টাকায় ভাড়া দেওয়ার চুক্তি বন্ধ হয়ে নগত ১লক্ষ টাকা বুঝিয়ে নেন।এবং অবশিষ্ট ১লক্ষ টাকা চুক্তির সময়কাল হতে ১বছর অতিক্রম হওয়ার পরবর্তী মাসের এক সাপ্তাহের মধ্যে জমির মালিকে বুঝিয়ে দিবেন বলে চুক্তি পত্র দাখিল করেন ভাড়াটিয়ারা।
সেই মোতাবেক জমির মালিক নরুল ইসলাম তাদের জমি ভাড়া নেয়ার চুক্তিপত্রে রাজি হয়ে যায়।
পরবর্তীতে এক বছর অতিক্রম হওয়ার পরেও ভাড়াটিয়ারা তাদের ভাড়া নেওয়া সম্পত্তির চুক্তিপত্র অনুযায়ী বাকি ১লক্ষ টাকা জমির মালিককে পরিষদ না করেই তাদের ব্যাবসা চালিয়ে যায়। এ অবস্থায় দীর্ঘ তিন বছর তাদের প্রসেস মিলের ব্যাবসা চালানোর পর ব্যাবসা বন্ধ দেন ভাড়াটিয়ারা।
এদিকে চুক্তিপত্র অনুযায়ী বাকি ১লক্ষ টাকা জমির মালিককে বুঝিয়ে না দিয়েই জোরপূর্বক ভাবে ১২ বছর যাবত সেই ফসলি জমি ভোগকরে আসছিলেন ভাড়াটিয়ারা।
এরই একপর্যায়ে গত ২৮ জানুয়ারি সেই ফসলি জমি জোরপূর্বক ভাবে ভোগকার অবৈধ ১৪জন ভাড়াটিয়াদের মধ্যে সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার বাগবাটি ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক আসাদুজ্জামান আসাদ, তাঁত ব্যবসায়ী বাদসা ফকির,শহিদুল ইসলাম,মুরগী ব্যবসায়ী রিপন জোরপূর্বক ভাবে সেই ফসলি জমির মাটি কর্তন করে নিয়ে প্রভাষক আজাদের বসতবাড়ি ভরাট করেন।
এ বিষয়ে প্রভাষক আসাদুজ্জামান আসাদ বলেন- প্রসেস মিল করার আগে আমার জমি থেকে মাটি কেটে মিলে ফেলেছিলাম। মিল বন্ধ হলে আমার মাটি কেটে নিয়েছি।