শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৭ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
ব্যাটালিয়ন (র্যাব) প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতিকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। র্যাব নিয়মিত ভাবে সফলতার সহিত জঙ্গী, সস্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, পর্নোগ্রাফি, প্রতারক চক্র, হ্যাকার, ছিনতাইকারী, কালোবাজারী, আন্তঃ জেলা চোর চক্র, মাদক’সহ অস্ত্রধারী অপরাধীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এর’ই ধারাবাহিকতায় র্যাব কক্সবাজার জেলাকে মাদক এবং সন্ত্রাসমুক্ত করণে বলিষ্ঠ অবস্থান গ্রহণ করেছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গতকাল শনিবার ২১শে মে ২০২২ইং তারিখ গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে র্যাব-১৫’র আভিযানিক দল জানতে পারে যে, কতিপয় অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী কক্সবাজার জেলার সদর থানাধীন কক্সবাজার পৌরসভার ১২নং ওয়ার্ডস্থ “হোটেল সিগ্যাল” এর পশ্চিম পাশে ঝাউবাগানের ভিতর অস্ত্রসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের উদ্দেশ্যে অবস্থান করছে।
এই তথ্যের ভিত্তিতে আভিযানিক দল আনুমানিক ৫টা ১০ ঘটিকার সময় উক্ত স্থানে পৌঁছালে র্যাবের উপস্থিতি বুঝতে পেরে একজন সন্দেহভাজন ব্যক্তি দৌড়ে পালানোর চেষ্টা করে। ওই সময় পালানোর চেষ্টাকালে মোঃ একরাম মিয়া (৩৮), পিতা- মৃত এখলাচ মিয়া, মাতা- ময়শা বেগম, সাং- সোনাদিয়া, ৮-নং কুতুবজোম ইউপি, ০২-নং ওয়ার্ড, থানা- মহেশখালী, জেলা- কক্সবাজারকে গ্রেফতার করে।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে উপস্থিত সাক্ষীদের সম্মুখে ধৃত ব্যক্তির দেহ তল্লাশী করে যথাক্রমে, (ক) ১টি ওয়ান শুটারগান, (খ) ২ রাউন্ড তাজা কার্তুজ উদ্ধারমূলে জব্দ করা হয়। আসামী মোঃ একরাম মিয়ার বিরুদ্ধে ইতি পূর্বে ২টি ডাকাতি/ডাকাতির প্রস্তুতি, ৩টি অস্ত্র আইন, ১টি অপহরণ/চাঁদাবাজি, ২টি মারামারি/শ্লীলতাহানী, ১টি পরিবেশ আইনে মামলা রয়েছে।
এ ঘটনায় গ্রেফতারকৃত আসামীর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নিমিত্তে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। আজ রবিবার ২২শে মে ২০২২ইং র্যাব- ১৫ কতৃক এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে গণমাধ্যম কর্মীদের বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়েছে।
ইতোমধ্যেই র্যাবের পক্ষ থেকে অপরাধীদের কঠোর হুশিয়ারী দিয়ে জানানো হয়- দেশের সার্বিক শান্তি শৃঙ্খলা বজায়ের লক্ষ্যে অবৈধ অস্ত্র-মাদকদ্রব্য উদ্ধার থেকে শুরু করে সকল প্রকার অরাজকতাকে রুখে দিতে র্যাব বদ্ধপরিকর। এ ছাড়াও র্যাপিড এ্যাকশন ব্যাটালিয়নের জিরো টলারেন্স ঘোষণার পাশাপাশি অপরাধীদের বিরুদ্ধে তাদের অভিযান গুলো চলমান রেখেছেন।