মঙ্গলবার, ০৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৩১ অপরাহ্ন
৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্কঃ
জানুয়ারির মধ্যেই সব শিক্ষার্থী নতুন বই পেয়ে যাবে—আশ্বাস দিয়েছিল জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ড (এনসিটিবি)। কিন্তু সেই আশ্বাস পূরণ করতে পারেনি সরকারি সংস্থাটি। এখনো বই পায়নি অনেক শিক্ষার্থী। কারণ হিসেবে বই ছাপানোর কার্যাদেশে দেরি ও কাগজ সংকট তো আছেই, সেইসঙ্গে অল্প কয়েকটি প্রতিষ্ঠানকে সক্ষমতার বাইরে বই ছাপানোর দায়িত্ব দেওয়া এবং তাদের কাছ থেকে নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বই আদায়ে এনসিটিবির ব্যর্থতাকে দূষছেন সংশ্লিষ্টরা।
এদিকে, শিক্ষার্থীরা নতুন বই না পেলেও চড়া দামে সেগুলো বিক্রি হচ্ছে রাজধানীর বাংলাবাজার, নীলক্ষেতসহ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সংলগ্ন লাইব্রেরিগুলোতে। শ্রেণি কার্যক্রমে সন্তান যাতে পিছিয়ে না পড়ে, সেজন্য অনিচ্ছা সত্ত্বেও ফুটপাত থেকে এসব পাঠ্যবই কিনছেন অভিভাবকরা।
গত সোমবার রাজধানীর নীলক্ষেত বই মার্কেটে গিয়ে দেখা যায়- ফুটপাতের ওপর চার-পাঁচটি দোকানে বোর্ড বই বিক্রি হচ্ছে। দোকানগুলোর সামনে সাজিয়ে রাখা হয়েছে ২০২২ শিক্ষাবর্ষের পুরোনো বই। তাদের কাছে নতুন শিক্ষাক্রমের ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বই আছে কিনা জানতে চাইলে কয়েকজন নেই বলে জানান। এই ‘না’ এর পেছনে ছিল সামনে দাঁড়িয়ে থাকা পুলিশ। তবে, একটি দোকানে বইয়ের কথা জিজ্ঞেস করতেই তিনি দাম হাঁকানো শুরু করলেন।
ষষ্ঠ শ্রেণির এক সেট বইয়ের দাম হাঁকালেন ২ হাজার টাকা। মার্কেটের ভেতরে গিয়ে আরেকটি দোকানের অস্তিত্ব পাওয়া গেল, যেখানে সরকারি পাঠ্যপুস্তক বিক্রি করা হয়। খোঁজ নিয়ে জানা গেল, সরাসরি গেলে তারা বোর্ড বই দেন না। সেজন্য বিকল্প পদ্ধতি ব্যবহার করতে হলো। মাধ্যম ব্যবহার করে জানা গেল, ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির বোর্ড বই পুরো সেট তারা বিক্রি করছেন ৯০০ করে ১৮শ টাকায়।
বাংলাবাজারে গিয়ে দেখা যায়- রাস্তার পাশেই বিক্রি হচ্ছে বোর্ড বই। এখান থেকে ষষ্ঠ, সপ্তমসহ সব শ্রেণির বই সেট আকারে কেনা যায়। এর মধ্যে ষষ্ঠ ও সপ্তম শ্রেণির প্রতি সেট বই ৬৫০ টাকা করে বিক্রি করছেন তারা। নীলক্ষেতের মতো তারাও এসব বই দোকানে রাখেন না। কেউ কিনতে আগ্রহী হলে মার্কেটের ভেতর থেকে এনে দেন।
রাজধানীর মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের মুগদা শাখার অনেক শিক্ষার্থী এখনো বোর্ড বই পায়নি। স্কুলের ষষ্ঠ শ্রেণির শিক্ষার্থী আরহাম খানের বাবা জাকির হোসেন কালবেলাকে বলেন- গত সপ্তাহ পর্যন্ত স্কুল থেকে আমার ছেলেকে কোনো বই দেয়নি। মঙ্গলবার কয়েকটি বই দেওয়া হয়েছে। এখনো সব বই দেওয়া হয়নি। অথচ স্কুলের পাশের লাইব্রেরিতেই সেট করে সব শ্রেণির বই বিক্রি হচ্ছে।
সূত্রঃ কাল বেলা ।