রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:০০ অপরাহ্ন
মাসুদ রানা বাচ্চু- সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
নিয়োগের পূর্বে ৪ পদে ৪ জন প্রার্থী চূড়ান্ত করা হয়েছে। নিয়োগের আগে প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ায় এলাকায় চলছে সমালোচনার ঝড়। এছাড়াও ৪ টি পদে নিয়োগ কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবের বিরুদ্ধে ৪ টি পদে ৪০ লাখ টাকা নিয়োগ বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি ঘটেছে উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্নিমাগাঁতী ইউনিয়নের গয়হাট্রা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ে।
তথ্যানুসন্ধানে জানা যায়, উল্লাপাড়া উপজেলার পূর্নিমাগাঁতী ইউনিয়নের গয়হাট্রা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ে বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর ২০২৩ইং) সকাল ১০টায় ৪ টি পদ- অফিস সহায়ক, নিরাপত্তাকর্মী, আয়া ও পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। কিন্ত নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই অফিস সহায়ক পদে কোনাগাঁতী গ্রামের হানেফ আলীর পুত্র রুবেল, নিরাপত্তা কর্মী পদে চন্দ্রগাঁতী গ্রামের আব্দুল মজিদের পুত্র রাশেল, পরিচ্ছন্নতা কর্মী পদে কয়ড়া গ্রামের মৃতঃ আবুল হোসেনের পুত্র হাসান আলী ও আয়া পদে পারকুল গ্রামের মীর মোঃ নাসির উদ্দীন নয়নের স্ত্রী পাপিয়া সুলতানাকে চূড়ান্ত করা হয়েছে। প্রার্থী চূড়ান্ত হওয়ায় এলাকা চলছে সমালোচনার ঝড়।
এলাকাবাসীর অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, নিয়োগ অনুষ্ঠিত হওয়ার আগেই ৪ টি পদে ৪০ লাখ টাকা উৎকোচ গ্রহন করেছেন গয়হাট্রা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, পুর্নিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আল-আমিন সরকার ও প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম।
এব্যাপারে গয়হাট্রা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মোঃ শহিদুল ইসলাম মুঠো ফোনে জানান, নিয়োগ বানিজ্যের বিষয়টি সম্পন্ন মিথ্যা। কোন প্রার্থীর নিকট থেকে অর্থনৈতিক লেনদেন হয়নি। এ অভিযোগ আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। স্বচ্ছতার সাথে নিয়োগ পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে গয়হাট্রা সালেহা ইসহাক উচ্চ বিদ্যালয়ের সভাপতি, পূর্নিমাগাঁতী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ আল-আমিন সরকার মুঠো ফোনে বলেন, চুড়ান্ড প্রার্থী সিলেক্ট হয়নি। স্বচ্ছভাবে নিয়োগ হবে। নিয়োগের বাণিজ্যের অভিযোগ মিথ্যা। যারা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হবে তাদেরকে নিয়োগ দেওয়া হবে।
এব্যাপারে উল্লাপাড়া উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার শামসুল হক জানান, নিয়োগ বানিজ্যের ব্যাপারে আমার কিছু জানা নেই। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।