সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ১১:৫৭ অপরাহ্ন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
নতুনধারা বাংলাদেশ এনডিবির চেয়ারম্যান মোমিন মেহেদী মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেছেন, মিয়ানমার-বাংলাদেশ সীমান্ত সমস্যা সমাধানে ব্যর্থ বেফাঁসকথার রাজা ঘুমন্ত পরররাষ্ট্রমন্ত্রীকে কেন পদে রেখেছেন? কার স্বার্থে-কাদের স্বার্থে জনগণ জানতে চায়।
সীমান্ত সমস্যা সমাধানের দাবিতে ২১শে সেপ্টেম্বর সকাল সাড়ে ৯ টায় তোপখানা রোড অনুষ্ঠিত পথসভায় তিনি উপরোক্ত কথা বলেন। তিনি আরো বলেন, আপনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, আপনার কোন ভুল মানায় না, পররাষ্ট্র মন্ত্রীর মত একটা কালকেউটেকে বসিয়ে বসিয়ে বেতন-প্রটোকল-সুযোগ-সুবিধা দেয়া আর একটা সাপকে দুধ-কলা দিয়ে পুষে রাখা একই কথা, অনতিবিলম্বে তাকে অপসারণ করে মন্ত্রী পরিষদকে কিছুটা হলেও অথর্বমুক্ত করা এখন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে, বাংলাদেশের স্থপতির মেয়ে হিসেবে আপনার গুরু দায়িত্ব। সভায় বক্তব্য রাখেন প্রেসিডিয়াম মেম্বার বীর মুক্তিযোদ্ধা ফজলুল হক, রাশেদা চৌধুরী, সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান শান্তা ফারজানা, ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব নিপুন মিস্ত্রী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ এনডিবির যুগ্ম আহবায়ক কামাল আহমেদ প্রমুখ।
মোমিন মেহেদী এসময় সরকার পরিচালনায় ব্যর্থতার প্রমাণ দিয়ে বলেন- খাদ্য ও বাণিজ্য মন্ত্রী এবং সচিবরা তেলের দাম কমাতে ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছে, আপনি তাদের পক্ষে সাফাই গেয়েছেন, বিদ্যুৎ প্রতিমন্ত্রী বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে, তার স্বজনদের দ্বারা কোটি কোটি টাকা লোপাট করছে, আপনি তাকে প্রশ্রয় দিচ্ছেন, সর্বশেষ সামাণ্য ডিমের দাম স্থিতিশীল রাখতে ব্যর্থ হওয়ার পর ডিমের দাম যখন ৯০ টাকা থেকে ডজনে ১৫০ টাকা হলো, তখনও আপনি তা ঢাকতে তাদের পক্ষেই কথা বলছেন, নাগরিকদের কিন্তু চোখ আছে, তারা দেখতে পায়, তারা রেকর্ড করে রাখছে। জনগণের বিরুদ্ধে পদক্ষেপ নেয়া বন্ধ করুন। দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল করুন, সীমান্ত রক্ষা করুন।
নেতৃবৃন্দ এসময় বলেন- মিয়ানমার সমস্যাই শুধু নয়, আমাদের দেশ স্বাধীন হওয়ার পর থেকে ভারত-বাংলাদেশের ৪ হাজার ৯৬ কিলোমিটার সীমান্ত এলাকায় ৩ হাজার ২ মানুষ হত্যার শিকার হয়েছে। কিশোরী ফালানী, শিক্ষার্থী মিনারুলসহ অসংখ্য মানুষ সীমান্তে হত্যার শিকার হচ্ছে। সমাধানে পতাকা বৈঠক হয় ঠিকই, কিন্তু সমাধান থেকে যায় হিমঘরে। এভাবে বাংলাদেশে সীমান্ত অরক্ষিত থাকার দায় কেবল বর্ডার গার্ডের নয়; আমাদের পররাষ্ট্র, স্বরাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী-সংসদীয় কমিটি, সচিব এবং সংশ্লিষ্ট সকল কর্মকর্তা-কর্মচারির।