শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৪:৩৫ পূর্বাহ্ন
মুন্না শরীফ- মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য আনোয়ার হোসেন বলেছেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশে মদকে নিষিদ্ধ করেছিলেন।কিন্তু জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পরে বাংলাদেশে আবার মদের লাইসেন্স চালু করেছে।বিএনপি ক্ষমতায় থাকায় বাংলাদেশের মানুষ ভাতে, কাপুড়ে, বিভিন্ন নির্যাতনে হয়ে মরেছে। এরপরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ক্ষমতায় আসার পরে বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থানে ঘুরে ঘুরে অবহিত মানুষের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এবং তাদেরকে আবার নতুন করে স্বপ্ন দেখার পথ দিছেন। তিনি আছেন বলে দেশের লোক ভালো আছেন, উন্নয়ন হচ্ছে। তিনি না থাকলে দেশের উন্নয়ন তো দূরের কথা মানুষ না খেয়েই মরে যেতে হতো।
বুধবার ১৫ই মার্চ সন্ধ্যায় মাদারীপুর সদর উপজেলার হাজির হাওলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মাঠে বিএনপির নৈরাজ্য সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ এবং সাম্প্রদায়িকতা দুর্নীতি ও মাদক মুক্ত উন্নত সমৃদ্ধ স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ার লক্ষ্যে আয়োজিত বিশাল জনসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
আনোয়ার হোসেন বলেন- জননেত্রী শেখ হাসিনা একজন আদর্শ নারী। তার এই সাহসিকতার কারণে আজ বাংলাদেশের উন্নয়ন এগিয়ে চলছে। বাংলাদেশের এই উন্নয়নকে এগিয়ে যাওয়াকে ধরে রাখতে হলে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নৌকা মার্কায় ভোট দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন- আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এমপি মনোনয়ন প্রত্যাশী। আগামী জাতীয় নির্বাচনে জননেত্রী শেখ হাসিনা সরকার আমাকে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে মনোনয়ন দেন তাহলে নির্বাচনে জয়যুক্ত হয়ে আমি আপনাদের সেবা করবো এই অঙ্গীকার দিলাম।আপনারা সবাই প্রধানমন্ত্রী নৌকার পক্ষে ভোট দিয়ে তাকে আবারও জয়যুক্ত করবেন।
দলের নেতারা জানান- সম্ভাব্য প্রার্থীকেই এলাকায় গিয়ে কাজ করতে বলেছেন শেখ হাসিনা। এখন আওয়ামী লীগের সামনে অন্যতম লক্ষ্য আগামী নির্বাচনে জয়ী হওয়া। রাজনৈতিক দল বিএনপি কী করলো বা করবে তার সঙ্গে আওয়ামী লীগের কর্মসূচির কোনো সম্পর্ক নেই। সবাই যে যার রাজনীতি করে। বিএনপি বিএনপির রাজনীতি করে আওয়ামী লীগ আওয়ামী লীগের রাজনীতি করে।
আওয়ামী লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও ঘটমাঝি ইউপি চেয়ারম্যান এ্যাড বাবুল আকতার হাওলাদার এর সভাপতিত্বে ও আ‘লীগের প্রচার সম্পাদক মাদুদুর রহমান বাবু শরীফ এর সঞ্চালনায় জনসভায় উপস্থিত ছিলেন- কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্য ইকবাল হোসেন অপু এমপি, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ইরশাদ হোসেন উজ্জ্বল, জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মোঃ ইলিয়াস হাওলাদার, জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য আবদুল লতিফ হাওলাদার, কৃষক লীগের সভাপতি জাকির হোসেন হাওলাদারসহ আওয়ামী লীগ, যুবলীগ, ছাত্রলীগ, স্বেচ্ছাসেবক সহ অঙ্গসংগঠনের বিপুল সংখ্যক নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন।