সোমবার, ১০ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:০৮ অপরাহ্ন
নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
উত্তর জনপদের সীমান্তবর্তী নীলফামারী ডিমলা উপজেলার সর্বগ্রাসী তিস্তা নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত ৭নং খালিশা চাপানী ইউনিয়নের বাইশ পুকুর এলাকার বসবাসরত হাজারো পরিবারের একটাই আকুতি আমরা বাঁধ চাই, বাঁচার মত বাঁচতে চাই।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায় পূর্ব পাশ পুকুর এলাকার “আর” বাঁধ নামক একটি বাঁধ যা খণ্ড-খণ্ড করে কেড়ে নিয়েছে তিস্তা নদী। যার ফলে পথে বসেছে হাজারো পরিবার। তাদের প্রাণের দাবি বাঁধটি পুনরায় নির্মাণ করা হলে আমরা ফিরে পাব বাপ-দাদার পুরনো বসতভিটে ও হারানো সম্পদ ।সেই সঙ্গে আমরা ও আমাদের প্রতিবেশী ইউনিয়ন ৮নং ঝুনাগাছ চাপানী ছাতুনামা ও ভেন্ডাবাড়ী এলাকায় যারা বসবাস করে আছে তাদেরকে আমাদের মত পথে বসতে হবে না।
এ ব্যাপারে কথা হয় বাঁধের কবলে ক্ষতিগ্রস্ত নুরবানু ও তহিদা বেগমের সঙ্গে তারা বলেন এখানে যে বাঁধটি ছিল তা ভেঙ্গে গেল আমাদের আবাদি ফসল, জমি জায়গা চোখের সামনে তিস্তা নদী কেড়ে নিয়ে যায়। যার দরুন দুইদিন না খেয়ে ছিলাম। এসময় আরও কথা হয় নুর হোসেন, নুরুল হক ও আব্দুল মান্নান এর সঙ্গে তারা বলেন বাংলাদেশ সরকারের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জন নেত্রী শেখ হাসিনা ও স্থানীয় সরকার এবং পানি উন্নয়ন বোর্ডে এর কাছে আমাদের প্রাণের দাবি বাঁধটি নির্মাণ করে আমাদের বাঁচান।
এতে আরও কথা হয় ৭নং খালিশা চাপানী ইউপি চেয়ারম্যান সহিদুজ্জামান সরকার এর সঙ্গে তিনি বলেন বাঁধ ভেঙ্গে বড় বড় পুকুর হয়ে গেছে। বন্যা আসার আগে যদি বাঁধটি নির্মাণ করা না হয়, তাহলে পূর্ব বাইশ পুকুরের প্রায় ৪ থেকে সাড়ে চার শত পরিবারকে রক্ষা করা সম্ভব হবে না।
আমি পানি উন্নয়ন বোর্ড প্রকৌশলীর সঙ্গে কথা বলেছি তিনি আমাকে আশ্বস্ত করেছেন। আশাকরি ওনার মাধ্যমে কাজটি হবে। এদিকে আমাদের স্থানীয় এমপি মহোদয়, উপজেলা প্রশাসন এর সঙ্গে কথা বলেছি সকলের সহযোগিতা পেলে আমরা দ্রুত কাজ শুরু করবো ইনশাল্লাহ।
এ সময় কথা হয় ডালিয়া পানি উন্নয়ন বোর্ড বাপাউবো-১ এর কর্মকর্তা উপবিভাগীয় প্রকৌশলী অমিতাভ চৌধুরীর সঙ্গে তিনি বলেন আমি কিছুদিন আগে আমি আমার উপসহকারী প্রকৌশলীকে সঙ্গে নিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধটি পরিদর্শনে গিয়েছিলাম। এতে বাড়তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শীঘ্রই এর ব্যবস্থা নেয়া হবে।