শনিবার, ১২ Jul ২০২৫, ০৩:৫০ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
নড়াইলে খুলনার রেঞ্জ ডিআইজিকে ফুলেল শুভেচ্ছা রাণীশংকৈলে ৭৫ জন গ্রাম পুলিশ পেলেন বাই-সাইকেল ও পোশাক আজকের গাছ- আগামীর নিঃশ্বাস- বৃক্ষরোপনে ইউএনও রুবেল রানা ইছামতী নদীতে থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার কিশোরগঞ্জকে গ্রীন ও ক্লিন কিশোরগঞ্জ গড়তে চাই- নবাগত ইউএনও নীলফামারীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইমারত নির্মাণ তারাগঞ্জে একই ব্যক্তির ৬ গরু চুরি নড়াইলে এক গৃহবধূর তিন সন্তান জন্ম ধুনটে বসতভিটা অবৈধ দখল চেষ্টায় থানায় অভিযোগ আবু সাঈদের রক্তের সাথে বেইমানী করবেন না- এটিএম আজহার ফুলবাড়ীর দৌলতপুরে জমি জমার বিরোধে মারপিট ১৭ বছর পর রংপুরে জামায়াতে ইসলামীর জনসভা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা জুলাই বিপ্লবী শহীদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ ও আলচনা ত্রিশালে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ মিলল পুকুরে জলঢাকায় এক শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল দিলেন ইউএনও কর্মীবান্ধব সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন জাহিদ হোসেন তারাগঞ্জে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে টিন ও চেক বিতরণ কুমিল্লায় র‌্যাবের হাতে মাদক সহ গ্রেপ্তার ২ ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গাসহ গ্রেপ্তার ১

রংপুরে মামলাবাজের হাতে জিম্মি শিক্ষক পরিবার

হারুন-অর-রশিদ- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রংপুর মহানগরীর ৩০নং ওয়ার্ড নাছনিয়া আমবাড়ী এলাকার মৃতঃ আব্দুস সাত্তারের স্ত্রী হাছনে আরা এবং তার দুই কন্যা রশিদা ও রাশিদা গত ২০১০ইং সালে উত্তরাধিকার সূত্রে মৌখিক বাটোয়ারার মাধ্যমে ৯১ শতাংশ সম্পত্তির মালিক হন।

তৎকালীন সময় রাষ্ট্রীয় বিধি মোতাবেক সেই সম্পত্তি সমসাময়িক বাজার দর অনুযায়ী ১৩ লাখ পঞ্চাশ হাজার টাকার বিনিময়ে হাছনে আরা এবং তার দুই কন্যা রশিদা ও রাশিদা বিক্রি করে দেন আব্দুস সালাম মাস্টারের নিকট।

দীর্ঘ এক যুগেরও অধিক সময় ধরে বর্তমান মালিক আব্দুস সালাম মাস্টার উক্ত জমি ভূমি আইনানুযায়ী খাজনা ও খারিজ করে ভোগ দখল করে আসছে। ইতোমধ্যে আব্দুস সালাম মাস্টার মারা যাওয়ার পর কিছুদিন ধরে হাছনে আরা গং উক্ত জমির উপর নিজ মালিকানা দাবী করছে এবং বিভিন্নভাবে মৃতঃ সালাম মাস্টারের স্ত্রী রওশন আরা বেগম ও তার পরিবারের নিকট জমি ছেড়ে দেয়ার জন্য চাপ সৃষ্টি করছে, ভাড়াটে লোকজনের মাধ্যমে ও জামাতা দিদারের কুটকৌশলে রওশন আরা বেগম ও তার পরিবারের সদস্যদের উপর প্রাণ নাশের হুমকীসহ মিথ্যা মামলা আনয়ন করে হেনস্তা করার কাজে লিপ্ত আছে।

সরেজমিনে গিয়ে এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা গেছে- হাছনে আরা, তার দুই কন্যা ও ছোট মেয়ের স্বামী সকলেই মামলাবাজ ব্যক্তি বটে। তারা এলাকায় সন্ত্রাস ও অশান্তি সৃষ্টি করেই চলেছে। তারা এলাকায় সামাজিকভাবে কারো সাথে মিলেমিশে চলতে পারে না।এলাকাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, উক্ত জমি বাজারমূল্যে ক্রয় করেছেন সালাম মাস্টার এবং আমরা এলাকাবাসী স্বাক্ষী হিসেবে আপনাদের জানাচ্ছি।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন- হাছনে আরার জামাতা ছোট মেয়ে রশিদার স্বামী দিদারের হীনস্বার্থ চরিতার্থের জন্যই আজকে, আমাদের সমাজের সর্বজন শ্রদ্ধেয় মরহুম সালাম মাস্টারের মতো একজন গুণীব্যক্তির মৃত্যুর পর তার বিধবা স্ত্রী ও এতিম ছেলেটার প্রতি চরম অন্যায় অবিচার করছে।

সালাম মাস্টার মারা গেছেন আজ প্রায় ৯ বছর। খুব অল্প বয়সেই চলে গেছেন লোকটা, মৃত্যু ব্যক্তির নামে মিথ্যা বলা উচিৎ নয়, তবে তিনি অল্প বয়সেই মানুষের জন্য এবং নিজের পরিবারের জন্য যা করেছেন সেটা অবশ্যই প্রসংশার দাবী রাখে।

কিন্তু তার হঠাৎ চলে যাওয়াকে পুঁজি করে, জমি বিক্রেতাগণ একটি কুচক্রী মহলের কুপরামর্শে আজ তার পরিবারের প্রতি অনৈতিক আচরণ করছে। মরহুম আ: সালাম মাস্টারকে আমাদের এলাকার সর্বস্তরের মানুষ একজন ভালো মানুষ হিসেবে জানেন। হাছনে আরার জামাতা দিদার এই এলাকার একজন চিহ্নিত বখাটে এবং মামলাবাজ।

শৈশবকাল থেকেই বেশ বেপরোয়া জীবন যাপন করে এই দিদার, তার অপতৎপরতার আগ্রাসন থেকে রেহাই পায়নি তার জন্মদাতা মা-বাবা এবং আপন বড় ভাই বাশার ও তালেব। ইতিপূর্বে এই দিদার তার বাবা মাকে নানাবিধ হয়রানি করেছেন। যার ফলে দিদারের পিতা তার জীবনের শেষ প্রান্তে এসে নিজ বাড়িতে পর্যন্ত থাকতে পারেনি।

এই দিদারের জ্বালায় অতিষ্ঠ হয়ে অনত্র গিয়ে বৃদ্ধ বয়সের শেষ দিনগুলো কাঁটিয়েছেন। দিদার এতোটাই বেপরোয়া ছিল, যার কারণে তার বাবা আব্দুল খালেক হুজুর গ্রামবাসীর নিকট ওসিয়ত করে যান। তিনি মারা গেলে তার ছেলে দিদার যেন তার লাশ দেখতে না পারে, এমনকি জানাযায় শরীক হওয়া এবং মাটি পর্যন্ত দিতে বারণ করেন তার বাবা।

বর্তমানে এই দিদারের কালো থাবায় উক্ত পরিবারটি চরম উৎকন্ঠায় দিনাতিপাত করছে। মরহুম আঃ সালাম মাষ্টারের বিধবা স্ত্রী রওশন আরা বেগম এতিম তিন সন্তানকে নিয়ে বেশ হতাশায় নিমজ্জিত হয়ে পড়েছেন।

তার একটাই ভয় কখন কোন সময় বিনা কারণেই তাদের নামে দায়ের হয় মিথ্যা মামলা? কখন পুলিশ এসে দাঁড়িয়ে থাকে দরজায়। এর আগে একটি মিথ্যা মামলার নোটিশ গায়েব করে রেখে ওয়ারেন্ট বের করে এই দিদার।

এলাকাবাসী অভিযোগ করে বলেন- আমাদের এলাকার শান্তিপ্রিয় মানুষ এই দিদারের অপতৎপরতাকে ভিষণ ভয় করে, কিছুদিন আগেও দিদার নিজের শরীরের বিভিন্ন যায়গায় ব্যাটারির এসিড অথবা চোত্তা পাতা লাগিয়ে দাগ করে অন্যের নামে মামলা দিয়েছে। কখন কোথায় কিভাবে কি করছে এই দিদার তার কোন ইয়ত্বা নেই, তাই এলাকাবাসী বড়ই হতবাক, দিদারের এই কর্মকান্ডে।

এলাকাবাসী চায় এই মামলাবাজ দিদারের হাত থেকে ওই পরিবারটির উপর যেন এ ধরনের মিথ্যা মামলা না হয়, এবং অত্র এলাকায় সাধারণ মানুষের মাঝে শান্তি ফিরে আসুক এবং ওই পরিবারের যাবতীয় মিথ্যা মামলা থেকে মুক্তি পেয়ে তাদের ক্রয়কৃত সম্পত্তির উপর বেআইনি হস্তক্ষেপ বন্ধ হোক।

বিস্তারিত থাকছে পরবর্তী পর্বে…

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com