শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:২০ অপরাহ্ন
নাদিরুজ্জামান মিয়া- ফুলবাড়ী(কুড়িগ্রাম) প্রতিনিধিঃ
কুড়িগ্রামের ফুলবাড়ীতে সংস্কারের অভাবে প্রায় সাড়ে ৪ কিলোমিটার ব্যস্ততম সড়ক যেন মরণফাঁদে পরিনিত হয়েছে। তবুও ঝুঁকি নিয়ে মানুষজন চলাচল করছে। দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়া রাস্তায় ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে ছোট-বড় যানবাহন। ফলে প্রায় সময় দূঘর্টনার কবলে পড়ছে পথচারী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, উপজেলার নাওডাঙ্গা ইউনিয়নের বালারহাট থেকে গোরকমন্ডল আবাসন পর্যন্ত সাড়ে ৪ কিলোমিটার সড়কটি ভঙ্গরদশা। প্রতিদিন স্কুল-কলেজের শতশত শিক্ষার্থী, বিজিবি ক্যাম্পের সদস্যরাসহ বিভিন্ন চাকুরি জীবি, কৃষক, ব্যবসায়ীসহ সর্বস্তরের হাজার হাজার মানুষের একমাত্র যোগাযোগের ব্যবস্থা এই সড়কটি। সড়কটি দীর্ঘদিন থেকে সংস্থার না করায় কার্পেটিং উঠে গিয়ে বড় বড় খানাখন্দে পরিনিত হওয়ায় চলাচলের অযোগ্য পড়েছে।
সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন গড়ে তিন শতাধিক ব্যাটারি চালিত অটোরিকসাসহ শতাধিক ছোট-বড় যানবহন চরম ঝুঁকি নিয়ে চলাচল করছে। এ দূর্ভোগ নিত্য দিনের সঙ্গী, যেন দেখার কেউ নেই। সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবী স্থানীয়দের।
স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক জানান, প্রায় দেড় বছর ধরে সড়কটি চলাচল অনুপোযোগী। চরম ঝুঁকি নিয়েই মানুষ চলাচল করছে। শুনেছি সড়কটির বাজেট হয়েছে, কিন্তু কাজ শুরু না হওয়ায় ভাঙা চুরা সড়কটির দ্রুত মেরামতের দাবী সকলের।
শিক্ষার্থীরা জানায়, সড়কটি চলাচলের যেন মরণফাঁদে পরিনিত হয়েছে। এই ব্যস্ততম সড়কে যান চলাচল করে প্রতিটি মানুষকে জীবনের ঝুঁকি। অতি দ্রুত ভাঙাচুরা সড়কটি মেরামতের জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সু-দৃষ্টি কামনা করে।
অটোরিকশা চালক বলেন, ভাঙ্গাচুরা সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন ঝুঁকি নিয়ে আমরা অটোরিকশা চালাই। ট্রলি মাইক্রোবাস, ছোট-বড় ট্রাক, সিএনজি ও মোটরসাইকেল চলাচল করে। অনেক সময় বড় ধরনের দূঘর্টনার ঘটনাও ঘটছে। প্রায় দিনেই কোন কোন অটোরিকশা উল্টে যাওয়ার ঘটনাও আছে।
প্রধান শিক্ষক আজিজার রহমান জানান, ভাঙাচুরা সড়কের ওপর চলাচল করতে গিয়ে ভুল সাইড হলেও সবাই ভালো অংশ দিয়ে গাড়ি চালিয়ে নিতে চায়। ফলে প্রায় সময় দূর্ঘটনা ঘটে। মেরামত যোগ্য সড়কটি দ্রুত সংস্কারের জন্য দাবী জানান তিনি।
এ প্রসঙ্গে উপজেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী আসিফ ইকবাল রাজীব জানান, ইতোমধ্যে সড়কটির টেন্ডার হয়েছে। আশাকরি তিন-চার
মাসের মধ্যে রাস্তার কাজ শুরু হবে, এবং চলাচলের ঝুঁকি কেঁটে যাবে।