শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্কঃ
রংপুর জেলার তারাগঞ্জ উপজেলায় “গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন” তারাগঞ্জ ও পাগলাপীর শাখা সহযোগীতায় এ অঞ্চলের গরীব অসহায় ও ক্ষুদ্র খামারীদের জীবন মান উন্নয়নের লক্ষ্যে মুরগীর বাচ্চা, হাঁসের বাচ্চা, গবাদি প্রাণি মোটাতাজা করনের জন্য ব্যয় সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে গো-খাদ্য প্রস্তুত প্রশিক্ষণ ও খাদ্য প্রস্তুতির বিভিন্ন উপকরণ বিতরণ করা হয়।
আজ (৩০ মে) ২০২৪ইং বৃহস্পতিবার সকাল ৯টায় উপজেলার কুর্শা ইউনিয়নে ক্ষুদ্র খামারীদের নিয়ে “গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন” এর যৌথ উদ্যোগে আর্থিক ও কারিগরি সহযোগীতায় উক্ত প্রশিক্ষণ ও উপকরণ সামগ্রী বিতরণ কার্যক্রমের আয়োজন করা হয়।
জানা গেছে, দেশের কৃষি ও প্রাণি সম্পদ উন্নয়নের লক্ষে “মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশিত” কর্মসূচির অংশ হিসেবে ব্যয় সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে গাভী পালন ও গরু মোটা তাজাকরণের লক্ষে “গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র” তারাগঞ্জ শাখার সদস্যদেরকে বাসাবড়িতে দানাদার খাদ্যের মিশ্রণ তৈরির উপায় শেখানো সহ বিভিন্ন সময় সাইলেজ তৈরি, টিএমআর, ইউরিয়ামোলাসেস, ইউটিএস তৈরির প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকেন।
আমিষের চাহিদা পুরণের লক্ষে প্রধানমন্ত্রীর এমন যুগোপযোগী নির্দেশনা বাস্তবায়নের লক্ষ্যে “গ্রাম বিকাশ কেন্দ্র ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশন” এর যৌথ ব্যয়ে সাশ্রয়ী পদ্ধতিতে গো-খাদ্য তৈরির প্রশিক্ষণ বাস্তবায়ন করে চলেছে।
তথ্য মতে, গরুর খাদ্য হিসেবে আমাদের দেশে শুকনা খড়ের ব্যাপক ব্যবহার লক্ষণীয়। কিন্তু এতে প্রয়োজনীয় পরিমাণে আমিষ, শর্করা বা খনিজ উপাদান না থাকায় এবং ক্রমান্বয়ে গো-খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় ক্ষুদ্র খামারীরা পরে যায় সঙ্কটে। এছাড়াও রোগ-ব্যাধির প্রকোপ ঋতু পরিবর্তনে বেড়েই চলে। তাই লাভজনক ভাবে গবাদিপশু পালন ও খামারীদের আর্থিক লাভবান করার লক্ষেই আমাদের গো-খাদ্য প্রস্তুত প্রশিক্ষণ ও খাদ্য প্রস্তুতির বিভিন্ন উপকরণ বিতরণী এ কার্যক্রম।
আমিষের উৎস হিসেবে ইউরিয়া, শর্করা ও খনিজের উৎস হিসেবে মোলাসেসের (চিটা গুড়), ইউরিয়া মোলাসেস স্ট্র গরু সাধারণত আগ্রহের সাথে খেয়ে থাকে। এতে ওজন ও উৎপাদন উভয়ই বৃদ্ধি পায়। সর্বোপরি এটি লাভজনক ও সহজ পদ্ধতি। এতে কম খরচে বেশি মাংস বৃদ্ধির ফলে খামারীরা লাভবান হওয়ার পাশাপাশি দ্রারিতামুক্ত অর্থনৈতিক সমৃদ্ধ হচ্ছে বাংলাদেশ।