বৃহস্পতিবার, ০২ জানুয়ারী ২০২৫, ০৭:৩৪ অপরাহ্ন
শাহজাহান ইসলাম লেলিন- শিক্ষানবিশ প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্নস্থানে আগাম আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কৃষকেরা।
কৃষি চাষাবাদে ৬০ থেকে ৬৫ দিনের মধ্যে ঘরে তুলতে পারবেন এ আলু। এমনটাই স্বপ্ন বুনছেন কিশোরগঞ্জের কৃষকেরা। কিশোরগঞ্জের নিতাই, পুটিমারী, মাগুড়া, কেশবা, উওর দুরাকুটি, কালিকাপুর, গাড়া গ্রাম, চাদঁখানার, এলাকা ঘুরে দেখা যায় আগাম ধানের কাটাই মাড়াই শেষে জমিতে আগাম আলুর বীজ বুনছেন কিশোরগঞ্জের কৃষকেরা চারিকিকে যেনো আলু উৎপাদনের উৎসব চলছে।
মাগুড়ার কৃষক সাবের আলী জানান- জমিতে সেভেন জাতের আলু লাগানো হচ্ছে। পাঁচ বিঘা জমিতে তিনি এবারে আলু লাগাচ্ছেন। এ বছর ডিজেল বীজ ও শ্রমিকের পারিশ্রমিক অনেকটা বেশি।
উপজেলার রনচন্ডি ইউনিয়নের কুটিপাড়া এলাকার কৃষক মোজাম্মেল হক বলেন- এ বছর ৫বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপন করেছি। এবং আশা করতেছি যে ফসল ভালো হবে।
একই এলাকার রফিকুল ইসলামেও আগাম আলু চাষ করেছেন ৫বিঘা জমিতে। তিনি বলেন- আমাদের এদিকের ডাঙা জমি গুলো একদম উঁচু এবং বালু মিশ্রিত। ভারী বৃষ্টি পাত হলেও তেমন কোন ভয় থাকেনা। তাই আগে ভাগে দ্বিগুন লাভের আশায় আগাম আলু চাষ করেছি।
কৃষক রা জানায়- এক সময় এ অঞ্চলে আশ্বিন কার্তিক অভাবের মাস হিসেবে পরিচিত ছিল। হাজার হাজার কৃষক ও কর্মজীবী মানুষকে চরম অভাব এর মধ্যে পড়তে হয়েছিল এ মাস গুলোতে।সেই দিন এখন আর নেই ফসলের বহুমুখীকরণ আগাম ফসল উৎপাদনে কৃষি বিপ্লবী কৃষকের ভাগ্য পরিবর্তন হয়েছে। কিন্তু সমস্যা হল বর্তমান কৃষি উপকরণ এবং পণ্যের দাম অনেক বেশি যা কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন- চলতি বছরে ৪ হাজার ৫০০ হেক্টর জমিতে আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। যা গত বছরের চেয়ে ১০০ হেক্টরের বেশি। এবছর আগাম আমন ধানের রেকর্ড পরিমাণ ফলন আলু চাষে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন। বর্তমান আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় উঁচু জমিতে আলু চাষে কৃষকদের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। নিচু জমিতে আবহাওয়া দেখে রুপনের কথা বলা হচ্ছে। আশা করছি ভাল ফলন ও ছড়া বাজারমূল্য পেয়ে কৃষক পরিবারের সমৃদ্ধি বয়ে আনবে।