বৃহস্পতিবার, ০৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন
মোঃ নুরুন্নবী- পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ
পাবনায় দেড় লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত আসামিকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগে উঠেছে এএসআই জাহিদুলের বিরুদ্ধে। এই ঘটনায় ভাঙ্গুড়া থানার সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) জাহিদুল ইসলামকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
গতকাল মঙ্গলবার রাতে তাঁকে প্রত্যাহার করে পাবনার পুলিশ লাইনসে নেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন ভাঙ্গুড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রাশিদুল ইসলাম।
তিনি বলেন- গতকাল রাতে অভিযুক্ত সহকারী উপপরিদর্শককে পাবনা পুলিশ লাইনে ক্লোজ করা হয়েছে। ঘটনাটি তদন্ত করে দেখছে পুলিশ।
এএসআই জাহিদুলের বিরুদ্ধে গত সোমবার দুপুরে পাবনার পুলিশ সুপারের কাছে লিখিত অভিযোগ করেন জমিসংক্রান্ত মামলার আসামি হাজি জামাত আলীর স্ত্রী আসমা খাতুন(৫৫)।
তিনি বলেন- গত রোববার ৬ই নভেম্বর রাত সাড়ে ১০টার দিকে জামাত আলীকে তাঁর বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করেন এএসআই জাহিদুল। তখন এক পুলিশ সদস্য ও স্থানীয় কাউন্সিলর জহুরুল ইসলাম তাঁর সঙ্গে ছিলেন। গ্রেপ্তারের পর আসামিকে থানায় না নিয়ে ‘পারভাঙ্গুড়া নির্জন স্থানে’ নিয়ে যাওয় হয়। সেখানে ‘ভয়ভীতি দেখিয়ে তাঁর কাছে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন এএস আই জাহিদুল। পরে কাউন্সিলর জহুরুলের মধ্যস্থতায় দেড় লাখ টাকা দিতে রাজি হন জামাত আলী।
পরে জহুরুল জামাতের বাড়ি গিয়ে মোবাইল ফোনে তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলিয়ে দেন এবং জামাতের স্ত্রীর কাছ থেকে নগদ ৬০ হাজার টাকা ও অগ্রণী ব্যাংক বড়াল ব্রিজ শাখার ৯০ হাজার টাকার একটি চেক এনে এএসআই জাহিদুলকে দেন। তারপর জামাত আলীকে ছেড়ে দেওয়া হয়। তখন থেকে তিনি আত্মগোপনে রয়েছেন।
এএসআই জাহিদুল এর সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে, ঘুষ নিয়ে জামাতা আলীকে ছেড়ে দেয়া কথা অস্বীকার করেন। বলেন ভাই, আমি খুব ব্যস্ত আছি। এরপর তিনি কল কেটে দেন।
এ ঘটনায় জড়িত অভিযোগ ওঠে ওয়ার্ড কাউন্সিলর জহুরুল ইসলামের বিরুদ্ধেও। জামাতকে গ্রেপ্তারের সময় জহুরুল ইসলাম পুলিশের সঙ্গে থাকার কথা স্বীকার করলেও টাকা নেওয়ার ঘটনায় নিজের সম্পৃক্ততার কথা অস্বীকার করেন।
তিনি বলেন- তারা কখন কি করেছে সেটা আমি জানি না। তারা তো আমার সামনে কিছু করেনি। আমি কীভাবে জানবো।