মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০২ পূর্বাহ্ন
মোঃ নুরুন্নবী- পাবনা জেলা প্রতিনিধি.
জাঁকজমকপূর্ণ ও আনন্দঘন পরিবেশে পাবনায় দেশের জনপ্রিয় ও পাঠকনন্দিত পত্রিকা দৈনিক নয়া দিগন্তের দুই দশকপূর্তি তথা ২০তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হয়েছে।
রোববার (২৭ অক্টোবর) সন্ধা সাড়ে ৭ টার দিকে শহরের অন্নদা গোবিন্দ পাবলিক লাইব্রেরি মিলনায়তনে কেক কাটা ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের শুরুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নিহতদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে এক মিনিট নিরবতা পালন করা হয়। নয়াদিগন্তের প্রাক্তন পাবনা জেলা প্রতিনিধি মরহুম আব্দুল মজিদ দুদুর স্বরণে বিশেষ দোয়া করা হয়।
পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ প্রফেসর শিবজিত নাগের সভাপতিত্বে ও পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহ. সভাপতি কামাল আহমেদ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় সম্মানিত অতিথি ছিলেন, পাবনা জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যাপক আবু তালেব মন্ডল, জেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারি প্রিন্সিপাল হাফেজ মাওলানা মো. ইকবাল হোসাইন, পাবনার অতিরিক্ত জেলা মেজিষ্ট্রেট আব্দুল্লাহ আল মামুন, বুলবুল কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর মো. বাহেজ উদ্দীন, পাবনা ইসলামীয়া ডিগ্রি কলেজের অধ্যক্ষ আব্দুল খালেক, ইসলামী ব্যাংক পাবনা শাখার ভাইস প্রেসিডেন্ট শাহজাহান আলী, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবসা ও পরিসংখ্যান বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর কামরুজ্জামান, পূজা উদযাপন পরিষদের সভাপতি প্রভাষ চন্দ্র ভদ্র, পাবনা পদ্মা কলেজের অধ্যাপক আব্দুল গাফ্ফার খান প্রমুখ। শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেন নয়া দিগন্তের পাবনা প্রতিনিধি এসএম আলাউদ্দিন।
এসময় শুভেচ্ছা বক্তব্যে দেন, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক আখিনূর ইসলাম রেমন, দৈনিক জীবন কথার সম্পাদক আবু সালেহ মো. আব্দুল্লাহ, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সম্পাদক আহমেদ উল হক রানা, পাবনা প্রেসক্লাবের সাবেক সিনিয়র সহসভাপতি আখতারুজ্জামান আখতার, প্রয়াত সাংবাদিক মরহুম আব্দুল মজিদ দুদুর ভাই এসএস সোহেল, পাবনা প্রেসক্লাবের সদস্য আবু বকর সিদ্দিকী,নয়া দিগন্ত ঈশ্বরদী সংবাদদাতা শহীদুল্লাহ খান, ভাঙ্গুড়া সংবাদদাতা বদরুল আলম, চাটমোহর সংবাদদাতা নুরুল ইসলামসহ পাবনায় কর্মরত ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সংবাদকর্মীবৃন্দ।
বক্তব্যে অধ্যাপক আবু তালেব মন্বডল বলেন, দেশের উন্নয়ন ও সার্বিক মুল্যবোধ প্রতিষ্ঠা করতে প্রতিষ্ঠা হয়েছিল দৈনিক নয়াদিগন্ত। যিনি প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মীর কাশেম আলী মিন্টু। তিনি অর্থনৈতিক দৈন্যতা বিমোচন করতে ইসলামী ব্যাংক তৈরি করে গেছেন। স্বাস্থ্য সেবা উন্নত করতে ইবনেসিনা হাসপাতাল ও ট্রাষ্ট তৈরি করেছিলেন। গণ মানুষের কথা তুলে ধরতে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন মিডিয়া। স্বৈরাচার সরকার তাকে মিথ্যা মামলায় জুডিশিয়াল ক্লিংয়ের মাধ্যমে হত্যা করেছে।
অনেক জুলুম নির্যাতনের মধ্য দিয়ে ধারাবাহিকতা ধরে রেখেছে পত্রিকাটি। ২০১৩ সালের (৫ মে) শাপলা চত্বরের সংবাদ কাভার করায় স্বৈরাচার হাসিনা সরকার দিগন্ত টিভিকে বন্ধ করে দিয়েছিল। নয়া দিগন্ত সাদাকে সাদা বলবে কালোকে কালো বলবে। দেশ গঠনে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে মিডিয়াগুলো। সাংবাদিকরা সমাজের দর্পণ, সেজন্য মিডিয়াকে নজরে নিয়ে আসতে হবে। একটি শৃঙ্খলাবদ্ধ করতে হবে। সংবাদকর্মীর অধিকার আদায়ে সোচ্চার হতে হবে। সমাজের সবচেয়ে যারা সাহসী মানুষ তারাই মূলত এ পেশায় আসেন। সমাজের অজানা কথা সবার মাঝে উপস্থাপন করতে হবে। দেশ ও জাতি গঠনে কাজ করতে হবে।
বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে নিহতদের কথা স্বরণ করে বক্তাগ বলেন, যারা শহীদ হয়েছে তাদের তাদেরকে যথাযথ সম্মান ও শ্রদ্ধাবোধ করতে হবে। যারা হত্যায় জড়িত তাদের কঠোর আইনের আওতায় আনতে হবে। পাবনার ইতিহাসে মরহুম সাংবাদিক আব্দুল মজিদ দুদুর কথা আজীবন মানুষ স্বরণ করবে।