বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর ২০২৪, ০১:৫৩ অপরাহ্ন
মোঃ নূরুন্নবী- পাবনা জেলা প্রতিনিধিঃ
বৃহস্পতিবার (২৮ সেপ্টেম্বর) ১২ রবিউল আউয়াল। ৫৭০ সালের এই দিনে মানবজাতির কল্যানের জন্য রহমত হিসেবে প্রেরিত মহানবী হযরত মুহম্মদ (সাঃ) এর শুভ আবির্ভাবের দিন। এ দিনটি মুসলিম উম্মাহর কাছে পবিত্র ঈদ-এ মিলাদুন্নবী (সাঃ) নামে পরিচিত। ৫৭০ সালের এই দিনে আরবের মক্কা নগরীর সভ্রান্ত কুরাইশ বংশে মা আমিনার কোল আলো করে জন্ম নিয়েছিলেন বিশ্বনবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)।
এক সময় গোটা আরব অন্ধকারে নিমজ্জিত ছিল। তারা আল্লাহকে ভুলে গিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত হয়ে পড়েছিল। আরবের সর্বত্র দেখা দিয়েছিল অরাজকতা ও বিশৃঙ্খলা। এ যুগকে বলা হতো আইয়ামে জাহেলিয়াত যুগ। তখন মানুষে মানুষে হানাহানি ও কাটাকাটিতে লিপ্ত ছিল এবং মূর্তিপূজা করত। এই অন্ধকার যুগ থেকে মানব জাতির মুক্তিসহ তাদের আলোর পথ দেখাতে মহান আল্লাহতাআলা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) প্রেরণ করেন।
মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) অতি অল্প বয়সেই আল্লাহর প্রেম অনুরক্ত হয়ে পড়েন এবং প্রায়ই তিনি হেরা পর্বতের গুহায় ধ্যানমগ্ন থাকতেন। ২৫ বছর বয়সে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ) মক্কা ধনাঢ্য ব্যক্তি ৪০ বছরের বিবি খাদিজার সঙ্গে বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হন। মাত্র ৪০ বছর বয়সে তিনি নবুয়ত পাপ্ত হয়ে আল্লাহতাআলার নৈকট্য লাভ করেন।
পবিত্র কোরআনে বর্ণিত আছে, মহানবীকে সৃষ্টি না করলে আল্লাহ রাব্বুল আলামিন পৃথিবীই সৃষ্টি করতেন না। এসব কারণে এবং তৎকালীন আরব জাহানের বাস্তবতায় এ দিনের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অনেক বেশি। বাংলাদেশসহ বিশ্ব মুসলিম সম্প্রদায় এ দিনটি ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) হিসেবে উদযাপন করে থাকে।
ঈদে মিলাদুন্নবী (সাঃ) উপলক্ষে বুধবার রতে পাবনার বিভিন্ন মসজিদে মসজিদে ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে যথাযথ মর্যাদায় পবিত্র ঈদে মিলাদুন্নবী উদযাপন করছে। মসজিদে মসজিদে মহানবী হযরত মুহাম্মদ (সাঃ)-এর জীবনের ওপর আলোচনা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হচ্ছে।