বুধবার, ১৯ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১২:৪৯ অপরাহ্ন
হাবিবুর রহমান- পীরগঞ্জ(রংপুর) প্রতিনিধি.
রংপুরের পীরগঞ্জে মাথাবিহীন লাশের খন্ডিত মাথা অবশেষে উদ্ধার করেছে পুলিশ। গতকাল শনিবার বিকেলে চতরা ইউপি’র করতোয়া নদীর তীরে পাকার মাথা টোংরারদহ নামক স্থান থেকে খন্ডিত মাথা উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় চতরা ইউনিয়নের বড় বদনাপাড়া গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে আতিকুর রহমান মন্ডলকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
বিকেলে প্রেস ব্রিফিং-এ রংপুর পুলিশ সুপার আবু সাঈম জানান, শুক্রবার সকালে চতরা ইউপি’র বড় বদনাপাড়ায় শাহারুলের স্ত্রী রওশনারা বেগম মরিচ উঠাতে মরিচ ক্ষেতে মাথা বিহীন এক নারীর লাশ পড়ে থাকতে দেখে চিৎকার দেয়।
স্থানীয় লোকজন ঘটনাস্থলে ছুটে আসে, এবং পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে মাথাবিহীন লাশটি উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। সিআইডি ক্রাইম সিন টিম ঘটনাস্থলে পৌঁছে ফিংগার প্রিন্টের মাধ্যমে পরিচয় ও ঠিকানা সনাক্ত করে। তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে ওই নারীর নাম দেলোয়ারা বেগম(৩১) জানা সম্ভব হয়।
সে গাইবান্দার গোবিন্দগঞ্জের দিলালপুর গ্রামের রেজাউল করিমের স্ত্রী ও নীলফামারি জলঢাকার পশ্চিম গোরমুক্তা গ্রামের ফকিরপাড়ার রবিউল ইসলামের মেয়ে।
তিনি জানান, সহকারি পুলিশ সুপার আছিফা আফরোজা আদরি, ওসি এমএ ফারুকসহ পুলিশের চৌকস টিম ধৃত আতিকুল ইসলামের বসতবাড়িতে তল্লাশির পর কলাবাগান থেকে বস্তা ও ব্যাগে ভর্তি ছবি, সীম কার্ড, কাগজে লিখিত কয়েকটি মোবাইল নম্বর মিললে তথ্য-প্রযুক্তির মাধ্যমে মৃত্যের সঠিক পরিচয় জানা যায় এবং আতিকুলের গতিবিধিতে নজর রাখে পুলিশ।
শনিবার সকালে পালিয়ে যাবার পথে কাবিলপুর ইউপি’র ঘণশ্যামপুর সড়ক থেকে আতিকুলকে আটক করে থানায় আনা হয়। পরে আতিকুলের স্বীকারোক্তিতে কাটা মাথার সন্ধান মিললে উদ্ধারে ঘটনাস্থলে যায় পুলিশ। হত্যাকান্ডের প্রকৃত রহস্য এবং ব্যবহৃত অস্ত্র উদ্ধারে তদন্ত চলছে বলেও তিনি জানান। তবে ধৃত আতিকুল ইসলাম কৃখ্যাত জুয়াড়ি হিসেবে এলাকায় পরিচিত। এদিকে মাথা উদ্ধারে পুলিশের পাশাপাশি র্যাব-১৩ সিপিএসসির গোয়েন্দা সদস্যরা মাঠে কাজ করছিল। এ ব্যাপারে পুলিশ বাদী হয়ে থানায় হত্যা মামলা রুজু করেছে।