শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৫, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
মাজেদুর রহমান- রাজশাহী বিভাগীয় ব্যুরোচীফঃ
পুুঠিয়ায় সুদ কারবারিদের নিকট এলাকাবাসী জিম্মি হয়ে পড়ছে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকার মানুষ সুদ কারবারীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে সর্বশান্ত হচ্ছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
সুদ নেওয়া ব্যক্তিরা, লোকলজ্জায় এবং সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হওয়ার ভয়ে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট অভিযোগ করেননা।
এসব সুদ কারবারিদের কাছ থেকে উপজেলার সাধারণ মানুষসহ ব্যবসায়ীরা টাকা নিয়ে থাকেন। সুদের টাকা সঠিক সময়ে দিতে না পাড়ায় সুদ কারবারীদের হুমকিধমকিতে বাধ্য হয়ে অনেকেই এলাকা ছাড়ছেন। ব্যবাসয়ীরা তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে পালিয়ে বেড়াতে বাধ্য হচ্ছেন।
উপজেলার বড় বড় হাটগুলোতে রয়েছে একধিক সুদি ব্যবসায়ি। তারা বিভিন্ন সমিতির নামে এ ধরনের কারবার চালিয়ে যাচ্ছে। তাৎক্ষনিক কোনো ব্যক্তি বেশি টাকার প্রয়োজনে কিংবা কেউ বিপদে পড়লে মাসে লাখে বিশ থেকে ত্রিরিশ হাটার টাকা সুদে টাকা নিতে হয়।
উপজেলার ঝলমলিয়া বাজারের রয়েছে ছোট বড় একাধিক সুদি কারবারী। এদের প্রধান হিসেবে কাজ করে ওই এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যবসায়ীগণ। এলাকাবাসীর অভিযোগ, যাদের কিছই ছিল না, তারা সুদ কারবারি করে কোটি কোটি টাকার সম্পদ গড়ে তুলেছেন। এছাড়াও পুঠিয়া বাজারে জুয়েলারি ব্যবসার পাশাপাশি সোনার গহনা বন্ধকের ব্যবসা করে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছেন অনেকেই।
সুদি ব্যবসা করে তারা কোটি কোটি টাকার মালিক বনে যান। এসব সুদি ও বন্ধকি ব্যবসার ফাঁদে পড়ে এলাকার মানুষ সর্বশান্ত হচ্ছে। সুদ কারবারিদের কারবার চলে, উপজেলার বানেশ্বর বাজার, ধোপাপাড়া বাজার, পুঠিয়া রাজবাড়ি বাজার, কানাইপাড়াসহ ছোট বড় সকল হাটবাজার এলাকায়।
অনেক সময়ে সুদ কারবারিরা তাদের সুদের টাকা পেতে বিভিন্ন কৌশ অবলম্বল করে। সুদ কারবারিরা টাকা দেওয়ার সময় ব্যাংকের ফাঁকা চেক বা ফাঁকা স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর করে টাকা দিয়ে থাকে। চুক্তি মোতাবেক টাকা দিতে না পরলে অনেক সময় ইচ্ছে মত ফাঁকা চেকে অংক বসানো হয় এবং ফাঁকা স্টেম্পে ধারে টাকা নেয়ার কথা লিখে সুদ সমেদ টাকার অংক দ্বিগুণ থেকে তিনগুণ লিখে হয়রারনি করা হয়।
এসময় ভুক্তভোগিরা এসব হয়রানি থেকে বাঁচতে তাদের জমিজমা থেকে শুরু করে ঘরবাড়ি বিক্রি করে সুদের টাকা পরিশোধ করে থাকেন। ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, থানায় সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ দিলে সঠিক বিচার পাওয়া যায় না। সুদ কারবারিদের ক্ষমতার দাপট অনেক বেশি।
এছাড়াও সামাজিক মর্যাদা ক্ষুন্ন হওয়ার ভয়ে বেশিরভাগ মানুষ আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নিকট অভিযোগ করেননা। এ ব্যাপারে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি সোহরাওয়ার্দী হোসেন বলেন,সুদ নেওয়া ভুক্তভোগী ব্যক্তিরা আমাদের নিকট অভিযোগ নিয়ে আসেন না। আসলে সুদ কারবারিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।