মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪২ অপরাহ্ন
মুন্না শরীফ- মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরে একটি সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষকের বিরুদ্ধে ছাত্রীকে যৌন হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি জানাজানির পর বিচার না পেয়ে লোকলজ্জার ভয়ে আবাসিক হোস্টেল ছেড়ে বাড়ি চলে গেছে নির্যাতিতা। এ ঘটনায় অন্য ছাত্রীদের মাঝে বিরাজ করছে চাপাখোফ। সুষ্ঠু বিচার দাবি করেছে তারা। এর আগেও এমন অপকর্মের কারনে সাময়িক বহিস্কৃত হন অভিযুক্ত শিক্ষক। এরইমধ্যে কলেজ থেকে অভিযুক্ত শিক্ষককে কারণ দর্শানোর নোটিশও দেয়া হয়েছে।
সরেজমিন ঘুরে জানা যায়- মাদারীপুরে প্রত্যন্ত্ম এলাকা ডাসার উপজেলার দক্ষিণ ডাসারে অবস্থিত সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি এ্যান্ড উইমেন্স কলেজ। যেখানে ৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী লেখাপড়া করে। এরমধ্যে বিভিন্ন জেলার ৮‘শ শিক্ষার্থী পড়ালেখার সুবাধে আবাসিক হোস্টেলে থাকে। তাদের মতো বেগম রোকেয়া ছাত্রীনিবাসে থেকে দ্বাদশ শ্রেণির ওই শিক্ষার্থী পড়ালেখা করতো। গত ২৪শে জুলাই একা প্রাইভেট পড়ানোর কথা বলে ওই শিক্ষার্থীকে ডেকে আনে হিসাববিজ্ঞান বিভাগের প্রভাষক আবদুস সামাদ তালুকদার। পরে কলেজের ২০৪ নম্বর রুমের ভেতর যৌন হয়ারনী করে বলে অভিযোগ নির্যাতিতার। ওই ছাত্রীর চিৎকারে পাশে থাকা অন্য শিক্ষক ও ছাত্রীরা চলে আসলে রেহাই পায় মেয়েটি।
বিষয়টি কলেজের অধ্যক্ষ বরাবর বিচার চেয়ে লিখিত অভিযোগ দেয় উক্ত শিক্ষার্থী। ঘটনার দেড়মাসেও বিচার না পাওয়ায় হোস্টেল ছেড়ে বাড়ি চলে গেছে নির্যাতিতা। এ ঘটনায় অন্য শিক্ষার্থীদের মাঝে বিচার করছে আতঙ্ক। বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করায় কলেজের কম্পিউটার অপারেটরকেও হুমকি দিয়ে থানায় সাধারণ ডায়েরি করেছে অভিযুক্ত শিক্ষক। এই ঘটনার বিচার দাবি করেছে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা।
নির্যাতিতা শিক্ষার্থী অভিযোগ করে বলেন- ঘটনা কাউকে যেন না বলি, সেজন্য স্যার আমার কাছে ক্ষমা চাইছে। আমি অধ্যক্ষ ম্যাডামের কাছে বিচার চাইছি, দেড়মাসেও কোন সুরহা পাইনি। ভবিষ্যতে এমন কোন ঘটনা যে না ঘটে, এর সুষ্ঠু বিচার চাই।
মাদারীপুরের ডাসারের সরকারি শেখ হাসিনা একাডেমি এ্যান্ড উইমেন্স কলেজের কম্পিউটার অপারেটর হাফিজুর রহমান বলেন- বিষয়টি আমি অধ্যক্ষকে জানালাম। পরে সামাদ স্যার এতে আমার উপর ক্ষেপে যায়। এতে তিনি আমার নামে হত্যার হুমকির অভিযোগ এনে ডাসার থানায় একটি সাধারণ ডায়েরিও করেছেন। বিষয়টি তদন্ত করে বিচার দাবী করছি। যাতে কলেজের সব মেয়েরা ঠিকঠাক পড়ালেখা করতে পারে, কারো কোন অসুবিধা না হয়।
মাদারীপুরের ডাসার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোঃ হাসানুজ্জামান জানান- শিক্ষকের জিডির বিষয়টি বিজ্ঞ আদালতকে অবহিত করা হয়েছে। আদালত থেকে নির্দেশনা আসলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।