শুক্রবার, ০৭ মার্চ ২০২৫, ০৪:০৭ পূর্বাহ্ন
রবিন চৌধুরী- রংপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ইট ভাটায় মোবাইল কোর্ট, জরিমানা বন্ধসহ সাত(৭) দফা দাবীতে রংপুরে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন ও জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাসহ উপদেষ্টা, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয় বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে।
বুধবার (৫ মার্চ) সকালে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি রংপুর জেলা শাখার আয়োজনে রংপুর জিলা স্কুলে সমবেত হয়ে সেখান হতে রংপুর নগরীর মূল-মূল সড়কে বিক্ষোভ মিছিল প্রদক্ষিণ শেষে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সামনে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেন পরে জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট উপদেষ্টা ও দপ্তর বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়। এ সময় রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল স্মারকলিপি গ্রহন করেন।
স্মারকলিপি গ্রহনকালে জেলা প্রশাসক আন্দোলনকারীদের আশ্বস্ত করে বলেন, আপনাদের দেয়া স্মারকলিপি প্রধান উপদেষ্টাসহ সংশ্লিষ্ট সকলের কাছে পৌছে দেয়া হবে। পাশাপাশি আপনাদের কথা প্রধান উপদেষ্টা মহোদয়কে জানানো হবে।
আন্দোলনকারীদের দাবী সমূহ হলো, ২০১৩ সালে ইটভাটা নিয়ন্ত্রণ আইনের জিগজাগ ভাটা বৈধ পদ্ধতির উল্লেখ থাকলেও উক্ত আইনের ৮(৩) (ঙ) এবং ৮(৩) (খ) উপ-ধারার “দুরুত্ব নিদিষ্ট” করণের কারণে দেশের কিছু জিগজাগ ইটভাটার মালিকগণ ছাড়পত্র ও লাইসেন্স পাচ্ছেন না। ইতোমধ্যে পরিবেশ অধিদপ্তর হাইব্রীড কিলন এবং ট্যানেল কিলন এর ক্ষেত্রে নিষিদ্ধ এলাকার দুরুত্ব ১০০০ মিটারের পরিবর্তে ৪০০ মিটার নির্ধারণ করেছে। সুতারাং আমাদের জিগজাগ ভাটার জন্য আইনের ৮(৩) (ঙ) ধারায় নিষিদ্ধ এলাকার দুরত্ব ৪০০ মিটার এবং আইনের ৮(৩) (খ) এ বনের দুরত্ব ৭০০ মিটার করে লাইসেন্স ও ছাড়পত্র পাওয়ার জন্য মন্ত্রণালয় কর্তৃক পরিপত্র জারীর মাধ্যমে পরিচালনা করার সুযোগ প্রদানের আবেদন জানাচ্ছি।
জিগজাগ ইটভাটায় কোন প্রকার হয়রানী বা মোবাইল কোর্ট করা যাবে না, তাহা না হলে আমরা ভ্যাট-ট্যাক্স দেয়া বন্ধ করে দিতে বাধ্য হবো। কোন ইট ভাটা বন্ধ করতে হলে সরকারীভাবে আর্থিক ক্ষতিপূরণ দিয়ে বন্ধ করতে হবে। মাটি কাটার জন্য ডিসির প্রত্যায়নপত্র নেয়ার বিধান বাতিল করতে হবে। পরিবেশগত ছাড়পত্র, ডিসি লাইসেন্স, ফায়ার সার্ভিস লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্সসহ অন্যান্য কাগজপত্রাদি ইস্যূ/নবায়নের সময় কেন্দ্রীয় ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতির প্রত্যয়ন পত্র বাধ্যতামূলকভাবে জমা দেয়ার বিধান করার প্রয়োজনীয় উদ্যোগ নেয়ার অনুরোধ করছি। ইট ভাটাকে শিল্প হিসেবে ঘোষনা দেয়ার দাবি করছি। ইটভাটা পরিচালনায় দীর্ঘ মেয়াদী নীতিমালা প্রণয়ন করতে হবে।
এ সময় আন্দোলনকারীরা বলেন আমাদের দাবীসমূহ নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ আমাদের সাথে আলোচনায় না বসলে ঈদের পরে ঢাকায় মহাসমাবেশ, প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয় পর্যন্ত পদযাত্রাসহ কঠোর কর্মসূচি পালন করা হবে। বিক্ষোভ কর্মসূচি ও স্মারকলিপি প্রদানকালে বাংলাদেশ ইট প্রস্তুতকারী মালিক সমিতি রংপুর জেলা শাখার নেতৃবৃন্দ ও ইটভাটায় কর্মরত সকল শ্রমিকরা উপস্থিত ছিলেন।