বৃহস্পতিবার, ১০ Jul ২০২৫, ১২:৩২ পূর্বাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
ইছামতী নদীতে থেকে নবজাতকের লাশ উদ্ধার কিশোরগঞ্জকে গ্রীন ও ক্লিন কিশোরগঞ্জ গড়তে চাই- নবাগত ইউএনও নীলফামারীতে আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে ইমারত নির্মাণ তারাগঞ্জে একই ব্যক্তির ৬ গরু চুরি নড়াইলে এক গৃহবধূর তিন সন্তান জন্ম ধুনটে বসতভিটা অবৈধ দখল চেষ্টায় থানায় অভিযোগ আবু সাঈদের রক্তের সাথে বেইমানী করবেন না- এটিএম আজহার ফুলবাড়ীর দৌলতপুরে জমি জমার বিরোধে মারপিট ১৭ বছর পর রংপুরে জামায়াতে ইসলামীর জনসভা অগ্নিকাণ্ডে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের পাশে বিএনপি নেতা জুলাই বিপ্লবী শহীদের স্মরণে বৃক্ষরোপণ ও আলচনা ত্রিশালে নিখোঁজ ব্যক্তির লাশ মিলল পুকুরে জলঢাকায় এক শিক্ষার্থীকে বাইসাইকেল দিলেন ইউএনও কর্মীবান্ধব সংস্কারে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছেন জাহিদ হোসেন তারাগঞ্জে ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের মাঝে টিন ও চেক বিতরণ কুমিল্লায় র‌্যাবের হাতে মাদক সহ গ্রেপ্তার ২ ভারতীয় শাড়ি ও লেহেঙ্গাসহ গ্রেপ্তার ১ নির্মান কাজ শেষ হতে না হতেই ভেঙ্গেছে ব্রীজের প্রতিরক্ষা দেওয়াল রাণীশংকৈলে কৃষক মাঠ দিবস অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মাদকবিরোধী দিবসে বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা

রংপুরে পতিতাবৃত্তি ও মাদক ব্যবসায় ঝুঁকিতে গ্রামীণ শৃংঙ্খলা

হারুন-অর-রশিদ বাবু- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
রংপুরে পতিতাবৃত্তি ও মাদক ব্যবসার মাধ্যমে গ্রামের শৃংঙ্খলা নষ্টের অভিযোগ উঠেছে। ঘটনাটি রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানাধীন পীরগাছা উপজেলার কল্যাণী ইউনিয়নের হরতিকীরতল নামক এলাকায় ঘটে চলছে। একাধিক স্বামী পরিত্যক্ত বিলকিস বেগম(৩৫) ও তার কন্যা মিলে বিগত ৭ বছর যাবত পতিতাবৃত্তি ও মাদক ব্যবসা করে আসছে বলে অভিযোগ এলাকাবাসীর।

এঘটনায় গত ২০ এপ্রিল ২০২৫ইং রংপুর জেলা প্রশাসক ও রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার বরাবর গণস্বাক্ষরসহ লিখিত অভিযোগ দেয় স্থানীয়রা। এছাড়াও পীরগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানা ও কল্যাণী ইউনিয়নের প্রশাসক বরাবর অভিযোগের অনুলিপি দেয়।

অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, প্রায় ৪ বছর পূর্বে বিলকিস স্বামী পরিচয়ে ১ ব্যক্তিকে তার গৃহে থাকতে দেয়। উক্ত ব্যক্তি নিজেকে ডিআইজি পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন জনকে চাকুরী দেবার নাম করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নিত। পরে হঠাৎ একদিন মাহিগঞ্জ থানা পুলিশের একটি অভিযানিক দল এসে তাকে গ্রেফতার করে। পরে পুলিশের মাধ্যমে স্থানীয়রা জানতে পারে উক্ত ব্যক্তি ভূয়া ডিআইজি! সে একজন প্রতারক ও মাদক কারবারি। আরও জানা যায়, সন্ধ্যা হলেই বিলকিসের বাড়ির আশপাশে অচেনা পুরুষের আনাগোনা বাড়তে থাকে অনেক নামীদামি ব্রান্ডের মোটরসাইকেল ও কারে আসতে দেখা গেছে অনেককেই।

অভিযুক্ত বিলকিসের পিতা বলেন, প্রতিবেশী ও আত্মীয় স্বজনের সহযোগিতা ঢাকা থেকে এসেে এখানে বসবাস শুরুর কয়েক মাস না যেতেই, বাসায় বহিরাগত লোকজন আসা শুরু হয়। এতে গ্রামবাসীরা অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত মেয়েকে নিষেধ করলে মেয়ে ও নাতনী মিলে তাঁকে মারপিট করে হাত ভেঙ্গে দেয়। দীর্ঘদিন চিকিৎসার পরেও স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরতে পারেনি হতোভাগা পিতা। সাম্প্রতি বাড়ি পোড়ানোর মিথ্যা মামলা দিয়েছে তাঁর ছেলেদের নামে। কার পরামর্শে মেয়ে ও নাতনি অসভ্যতায় লিপ্ত হয়েছে, মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়নানি করছে তিনি জানেন না। সাংবাদিক ও প্রশাসনকে খুঁজে দেখতে বলেন তিনি।

প্রতিবেশী লাভলী বেগম বলেন, সে নারী নামে কলঙ্ক! বিলকিসের অনৈতিক কাজে বাধা দেয়ার কারণে সে তার বৃদ্ধ বাবার হাত ভেঙ্গে দিছে, এছাড়াও বাপ ভাইয়ের নামে কয়েকটা মামলা করেছে।

স্থানীয় শ্রী স্বপন চন্দ্র, সুশান্ত চন্দ্র (সুজিত), মো. তারিফ মিয়া বলেন, আমাদের তিনজনকে স্বাক্ষী করে বিলকিস তার বাপ ভাইয়ের নামে গত ২৪/০৩/২০২৫ ইং রংপুর মেট্রোপলিটন মাহিগঞ্জ থানায় একটি মিথ্যা মামলা দায়ের করেন। যাহার মামলা নং-০৬। মামলা হয়েছে ঠিকই, কিন্তু আমরা ঘটনার কিছুই জানতাম না। শুনেছি বিলকিস তার ভাই ভাবী ভাতিজাদের নামেও মিথ্যা মামলা দিয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে বিলকিস বেগম বলেন, আমার নামে পতিতাবৃত্তি ও মাদকের অভিযোগ যারা দিয়েছে, তারা অভিযোগ প্রমাণ করতে না পারলে আমি অভিযোগ পত্রে গণস্বাক্ষরকারী সকলের নামে মানহানীর মামলা করবো। কত লাখ টাকা যায় যাবে তবুও আমি কাউকে ছাড় দিবোনা। তার দায়েরকৃত মামলার স্বাক্ষীদের এভিডেভিড করার বিষয় বিলকিস বেগম বলেন, ভয় দেখানোসহ আসামিরা স্বাক্ষীকে টাকা খাওয়ায় এভিডেভিড করে নিয়েছে। স্বাক্ষীরা আমাকে বলছে যে টাকা বেশী দিবে আমরা স্বাক্ষী তার পক্ষে দিবো।

স্থানীয় ইউপি সদস্য মনির হোসেন বলেন, আমরা কয়েকজন মেম্বার ও স্থানীয় মান্যগণ্য ব্যক্তিবর্গ নিয়ে বিলকিসের বিষয় আপোষ মিমাংসা করে দিয়েছি। কিন্তু বিলকিসের অবস্থা হলো বিচার মানি তালগাছ আমার। বর্তমানে বিলকিসের একাধিক মামলা করেছে, তার কারণে গ্রামের পরিবেশ নষ্ট হচ্ছে।

এবিষয়ে জানতে চাইলে রংপুর জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রবিউল ফয়সাল বলেন, সিরাজুল ইসলাম নামের একটি অভিযোগ পেয়েছি বিষয়টি তদন্ত চলছে, তদন্ত শেষে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার আব্দুল মজিদ।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com