শুক্রবার, ৩১ জানুয়ারী ২০২৫, ০৯:৪৬ অপরাহ্ন
হারুন-অর-রশিদ বাবু- বিশেষ প্রতিনিধি.
সমাজসেবা অধিদপ্তরের নিবন্ধনের শর্ত ভঙ্গ করে বিভিন্ন অনিয়ম দুর্নীতি এবং ফ্যাসিবাদি নিয়মকানুন করে মাত্র ৩২ জন নিয়ে পরিচালনার বিরুদ্ধে রংপুরে কর্মরত প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক্স, মিডিয়া ও সরকার অনুমোদিত অনলাইনে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীদের অব্যাহত দাবির মুখে অবশেষে রংপুর প্রেসক্লাবের কমিটি বিলুপ্ত করে উম্মুক্ত করে দেয়া হয়েছে। প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা) মো. ময়নুল হক।
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় রংপুরে কর্মরত অন্তত দেড় শতাধিক গণমাধ্যমকর্মীর উপস্থিতিতে তিনি দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এছাড়াও ক্লাবের বিদ্যমান সবকিছু সিজারলিষ্ট তৈরি করে ক্লাব পরিচালনার দায়িত্ব নেন। এসময় রংপুর থেকে প্রকাশিত বিভিন্ন দৈনিকের সম্পাদক, নির্বাহী সম্পাদক, বার্তা সম্পাদক, রংপুর সম্মিলিত সাংবাদিক সমাজ, রংপুর সাংবাদিক ইউনিয়ন-আরপিইউজে, রংপুর রিপোর্টার্স ক্লাব, সিটি প্রেসক্লাব, রিপোর্টার্স ক্লাব রংপুর, রংপুর রির্পোার্টা ইফনিটি, টেলিভিশন ক্যামেরা জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, বাংলাদেশ ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, রংপুর ফটো জার্নালিষ্ট এসোসিয়েশন, রংপুর অনলাইন রিপোর্টার্স ফোরাম, বৈষম্য বিরোধী সাংবাদিক আন্দোলনের নেতৃবৃন্দ, সদস্য ছাড়াও রংপুরে কর্মরত দেড় শতাধিক সাংবাদিক উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের রংপুর মহানগর ও জেলা নেতৃবৃন্দ সেখানে উপস্থিত হন।
এর আগে প্রশাসক চিঠি দিয়ে রংপুরে বিদ্যমান সকল সাংবাদিক সংগঠন, স্থানীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকার সম্পাদকদেও দায়িত্ব গ্রহণ অনুষ্ঠান অবহিত করতে চিঠি দিয়ে আমন্ত্রণ জানান।
এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়েছেন রংপুরে কর্মরত গণমাধ্যমকর্মীরা। রংপুর অনলাইন রিপোর্টার্স এসোসিয়েশনের সভাপতি এটিএন নিউজের প্রতিনিধি শাহরিয়ার মিম জানান, এটি ঐতিহাসিক উাদ্যোগ। রংপুরে কর্মরত সাংবাদিকদের জন্য প্রেসক্লাবে সরকার জায়গা দিলেও তারা নানা কালা নিয়মকানুন করে গণমাধ্যমকর্মীদের বঞ্চিত করেছে। ওনলাইনের সাংবাদিকরা প্রেসক্লাবে আবেদন করারই সুযোগ রাখা হয় নি। এটি বৈষম্যের বড় উদাহরণ। অনলাইনের সাংবাদিকদেরও সদস্য অন্তর্ভুক্তি করতে হবে।