শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:৩৫ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
র্যাব ও এর সাবেক এবং বর্তমান কর্মকর্তাদের ওপরে আরোপিত যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য দীর্ঘ প্রক্রিয়া পার হতে হবে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন।
তিনি বলেন- দায়িত্ব পালনকালে মানবাধিকার লঙ্ঘনের ঘটনায় র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) জবাবদিহি নিশ্চিত করার ওপর জোর দিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। যুক্তরাষ্ট্রের কিছু প্রসেস রয়েছে, সেটা আমাদের কমপ্লিট করতে হবে। র্যাবের নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সুইচ অন-অফের মতো নয়।
বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের কূটনৈতিক সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উপলক্ষে সোমবার ৪ঠা এপ্রিল ২০২২ইং ওয়াশিংটনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ব্লিঙ্কেনের সঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডঃ এ কে আব্দুল মোমেনের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হয়। বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তরে এ কথা জানান মন্ত্রী। বৈঠকে দ্বিপক্ষীয় নানা বিষয়ে আলোচনা হয়। সেখানে র্যাব গঠন এবং নিষেধাজ্ঞা পরবর্তী চার মাসে এই এলিট ফোর্সের কাজের অগ্রগতি তুলে ধরেন মোমেন।
বৈঠক শেষে তিনি বলেন- ‘আমি বললাম, র্যাব আমাদের দেশে এমন সময়ে তৈরি হয়েছিল, যখন দেশে সন্ত্রাস, জিহাদি- এগুলোর উৎপাত খুব বেশি ছিল। একদিনে ৪৯৫টা বোমাবাজি হয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্ত্রাসবিরোধী সমাবেশে গ্রেনেড হামলা হয়, যার ফলে ২৪ জন লোক মারা যায়, ৩৭০ জন আহত হয়। সারাদেশে মানুষের মধ্যে একটা আতঙ্ক ছিল, ওই সময়ে তৈরি হয়েছিল র্যাব।
সাংবাদিকদের প্রশ্নে তিনি বলেন- নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারে ওদের প্রসেস আছে। এটা আমাদের কমপ্লিট করতে হবে। এ দেশে প্রায় জিনিসেরই দেওয়ার আর মেনি প্রসেসেস। সুইচের মতো না যে এক দিনে অন আর অফ করতে পারবে। বাংলাদেশে অনেক কিছু ‘সহজে’ করা গেলেও যুক্তরাষ্ট্রে সেভাবে করা যায় না মন্তব্য করে মোমেন বলেন, আমাদের দেশের সরকার ইয়েস বললে ইয়েস হয়ে গেল। এখানে অনেক সময় চাইলেও পারে না।
ওয়াশিংটনের কূটনৈতিক ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র জানা যায়- বৈঠকে বাংলাদেশের অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের তাগিদ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন। সে সময় ড. মোমেন বলেন, অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলের অংশ নেওয়ার মানসিকতা থাকা প্রয়োজন। সে কারণে বিএনপিকেও নির্বাচনে অংশ নেওয়া প্রয়োজন। বিএনপিকে নির্বাচনমুখী করতে যুক্তরাষ্ট্রের সাহায্যও চান তিনি।