শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৯:১১ অপরাহ্ন
সিরাজুল ইসলাম- ভ্রাম্যমাণ প্রতিনিধিঃ
‘স্কুল মিল’ বাস্তবায়নে শিক্ষকদের না জড়ানোর সুপারিশ দেশের ১৫০টি উপজেলায় ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচি চালু করছে সরকার। আর এ লক্ষ্যে উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা (ডিপিপি) তৈরি করছে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। সরকারের এই উদ্যোগকে সাধুবাদ জানিয়ে ‘স্কুল মিল’ বাস্তবায়নে শিক্ষকদের সম্পৃক্ত না করাসহ ১৩ দফা সুপারিশ করে গণসাক্ষরতা অভিযান শুরু হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪শে আগস্ট-২৩ইং) রাজধানীর বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে (বিআইসিসি) ‘কনসালটেশন অন স্কুল মিল উইথ স্টেকহোল্ডার ইনক্লুডিং মিডিয়া’ শীর্ষক অভিজ্ঞতা বিনিময় সভায় এমন সুপারিশ তুলে ধরা হয়।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন, সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা গণসাক্ষরতা অভিযানের নির্বাহী পরিচালক রাশেদা কে. চৌধূরী। বিশেষ অতিথি ছিলেন জাতীয় শিক্ষানীতি প্রণয়ন কমিটির সদস্য অধ্যক্ষ কাজী ফারুক আহমেদ এবং এডুকেশন ওয়াচের সদস্য মোহম্মদ মহসীন।
অনুষ্ঠানে স্কুল ফিডিং প্রোগ্রাম বাস্তবায়নের অভিজ্ঞতা উপস্থাপন করেন ব্র্যাক, ঢাকা আহ্ছানিয়া মিশন, এফআইভিডিবি, আরআরএফ, ইএসডিও এবং সুশীলনের প্রতিনিধিরা।
আলোচনায় আরও অংশ নেন ইউনিসেফ, ইউনেস্কো, গ্লোবাল এলায়েন্স ফর ইম্প্রুভড নিউট্রিশন, হাঙ্গার ফ্রি ওয়ার্ল্ড, এডুকো, বেইসসহ অন্যান্য সংস্থার প্রতিনিধিরা।
বিগত সময়ের অভিজ্ঞতা তুলে ধরে অনুষ্ঠানে জানানো হয়, ‘স্কুল ফিডিং’ কর্মসূচি বাস্তবায়নে শিশুদের বিদ্যালয়ের প্রতি মনোযোগ ও আকর্ষণ বৃদ্ধি করে। শিক্ষার্থীরা ঝরে পড়া রোধ, পাঠদানে আনন্দ ও মনোযোগ বৃদ্ধি, মিলে মিশে চলার প্রবণতা তৈরি, সামাজিক ও মানসিকভাবে চলার দক্ষতা অর্জন, শারীরিক ও মানসিক বিকাশের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পুষ্টিকর খাবারের ভূমিকা সম্পর্কে জানা। পাশাপাশি প্রান্তিক পর্যায়ের শিশুদের জন্য পুষ্টিকর খাবারের উল্লেখযোগ্য ব্যবহার শেখে শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানে ১৩ দফা সুপারিশ উঠে এসেছে। স্কুল মিল ব্যবস্থাপনায় শিক্ষকদের দায়বদ্ধতা থেকে মুক্ত রাখা এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থীর জন্য একই খাবারের ব্যবস্থা করার সুপারিশ করা হয়। এছাড়া মাদ্রাসা, এনজিও ও বিভিন্ন বেসরকারি বিদ্যালয় গুলোতেও একই উদ্যোগ নেওয়ার সুপারিশ করা হয়। কোনও শিশুর মৌলিক অধিকার যেনও খর্ব না হয় সেদিকে মনোযোগ দেওয়া, খাবারের গুণগত মান এবং মানসম্মত খাবার দেওয়া, নারী ক্ষমতায়নে প্রসার বাড়ানো ও জনপ্রতিনিধিদের সঙ্গে সমন্বয় সাধন করার সুপারিশ করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে স্কুল মিল বাস্তবায়নের নানা চ্যালেঞ্জের কথা তুলে ধরা হয়। ডিপিপিতে সেসব চ্যালেঞ্জ মোকাবিলার ব্যবস্থা যাতে থাকে সে ব্যবস্থা নেওয়ার আহ্বান জানানো হয় সরকারের কাছে।