বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ০৬:২৫ পূর্বাহ্ন
আনোয়ার হোসেন- কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে গত ১ সপ্তাহের অধিক সময় ধরে রাতে অবিরাম বৃষ্টিপাত আর জেঁকে বসা কালবৈশাখীর দমকা হাওয়ায় পাকা-আধা পাকা ধান নেতিয়ে পড়ে হাবুডুবু খাচ্ছে।পাশাপাশি বিঘার পর বিঘা জমির পরিপক্ক ভুট্টাও মাটিতে নেতিয়ে পড়ে চারা গজাচ্ছে।
এতে ভুট্টা চাষিরাও পড়েছেন চরম বিপাকে।তলিয়ে গেছে নিম্নাঞ্চলের পাট, কাঁচা মরিচসহ বিভিন্ন শাকসবজি। বিশেষ করে টানা এ বৈরী আবহাওয়া শ্রমিক সংকট, জোঁকের উপদ্রব। জোঁকের দলের রক্ত শুষে নেওয়ার ভয়ে শ্রমিকরাও মাঠে নামতে অনিহা। এতে দেড়মন ধানেও মিলছেনা একজন শ্রমিক।
এমন দৈন্যদশায় পড়ে কৃষক সোনালী স্বপ্নের ফসল ঘরে তুলতে না পারায় বড় মসীবতে পড়েছেন।এতে কৃষকের আগামীর বাঁচার স্বপ্ন কুড়ে কুড়ে খাচ্ছে কালবৈশাখীর রুদ্রমূর্তি।
আর ইতিমধ্যে যেসব কৃষক ধান কাটা মাড়াই করে ঘরে তুলেছেন রোদের অভাবে শুকাতে না পেরে ধান ঘোলিয়ে যাওয়াসহ চারা গজাচ্ছে। সেই সাথে উঠোন বাড়ি, সড়কে, সেচ ক্যানেলের ধারে ধান, খড় নিয়ে কৃষান- কৃষাণীরা কাঁদা মাটিতে খাচ্ছে গড়াগড়ি।
কৃষি অফিস সূত্র জানায়- চলতি মৌসুমে উপজেলায় ১১ হাজার ১৬০ হেক্টর জমিতে বোরো ধানের আবাদ হয়েছে
এ পর্যন্ত কৃষক ৬০ ভাগ জমির ধান ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
শনিবার সরেজমিনে দেখা যায়- নিত্যদিনের বৃষ্টিপাতের বিভিন্ন নিম্নাঞ্চলের ধানি বিলে হুহু করে বাড়ছে পানি।এতে জমিতে পচছে পাকা ধান। ফলে শত শত কৃষক দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।
চাঁদখানা ইউনিয়নের নগরবন এলাকার বোরো চাষি শাহাজাহান সিরাজ জানান- একেই তো বৈরি আবহাওয়া, অন্যদিকে এক সাথে সবার জমির ধান পাকায় কাটার চাপও অধিক।এতে মজুরি বেড়ে শ্রমিক সংকট তৈরি হয়েছে।
খরচও হয়েছে বিঘাতে ১০ হাজার টাকার মত। যেখানে কাটা-মাড়াই শ্রমিক খরচ হত ৩০ হাজার টাকা। এখন বিঘায় খরচ হচ্ছে ৮ হাজার টাকারও বেশি।এত ধান চাষে লোকসান গুনতে হবে।
সদর ইউনিয়নের কেশবা গ্রামের কৃষক জাহাঙ্গীর জানান- তার ৭ বিঘা জমির ধান পানিতে হাবুডুবু খাচ্ছে।শ্রমিক সংকটে ধান ঘরে তুলতে পারছেন না। আর জোঁকের ভয়ে শ্রমিকরা মাঠে কাজ করতে অনিহা।
এতে গুনতে হচ্ছে অতিরিক্ত টাকা।বাজারে ধানের দামও কম। এত কষ্ট করে ধান আবাদ কর লোকসান গুনতে হবে। এ যেন মরার ওপর খাঁড়ার ঘাঁ।
উঃ দুরাকুটি পশ্চিম পাড়া গ্রামের কৃষক আব্দুল জব্বার বলেন- এ বছরের মতো এমন বৈরী আবহাওয়া জীবনে আর কখনো দেখিনি। দিনেও বৃষ্টি, রাত হলে শুরু হয় ভারি বৃষ্টিপাতসহ দমকা হাওয়া।
ধান কাটা ও শুকানো নিয়ে অন্তহীন দূর্ভোগে পড়েছি।উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন- ইতিমধ্যে অধিকাংশ জমির ধান কৃষক ঘরে তুলতে সক্ষম হয়েছে।
আর যেসব জমির ধান কৃষকরা কাটছেন তাদেরকে প্রাথমিকভাবে বাতাস দিয়ে সংরক্ষন করতে বলা হচ্ছে। আর রোদ হলে পুরোপুরি সংরক্ষণ করা যাবে।
অনলাইন ভিত্তিক 71sangbad24.com গণমাধ্যমটি
বাংলাদেশ অনলাইন নিউজ পোর্টাল এসোসিয়েশনে নিবন্ধিত, (আই ডি নং-364)।
বাংলাদেশ তথ্য মন্ত্রনালয়ে জাতীয় নিবন্ধন প্রক্রিয়াধীন।
আগ্রহীগণ সিভি পাঠাতে ই-মেইল করুনঃ info71sangbad24.com@gmail.com