মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৯ পূর্বাহ্ন
৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্কঃ
নারির টানে বাড়ি ফেরা, এই কথাকে মনে প্রানে ধারন করে ঈদ যাত্রায় ঘর মুখি লাক্ষ মানুষ কিন্তু তাদের এই যাত্রার প্রধান বাধা হচ্চে যানজট। সরকারী সিদ্ধান্ত অনুযায়ী মোটরসাইকেল মহাসড়কে চলাচলে বিধিনিষেধ আরোপ করায় মানুষ পাবলিক পরিবহনের দিকে মানুষ ঝুকে পরেছে। গত ঈদ-উল-ফিতরে প্রায় ২৭ লক্ষ মোটরসাইকেল রাস্তায় ছিল কিন্তু এবার তার ছিটেফোঁটাও চোখে পরছেনা। যানজটের কারনে দূর্ভিসহ হয়ে উটছে ঘরমুখো মানুষের জীবন।
আমিন বাজার থেকে চন্দ্রা, মির্জাপুর থেকে টাঙ্গাইল, যমুনা সেতু টোল প্লাজা, সিরাজগঞ্জ, বগুড়া ও গোবিন্দগঞ্জে দফায় দফায় যানজটের মুখে যাত্রী বাধ্য হয়ে অনেকে হাটা পথে রওনা হচ্ছে গন্তব্যের দিকে। তাতে সময় ও আর্থিক ব্যায় দুটোই বাড়ছে তবু যেতে হবে বাড়ী। তবুও পরিবার পরিজনের সাথে মিলিত হবার জন্য লক্ষ লক্ষ মানুষ গন্তবের দিকে ছুটে চলেছে। তাদের এই যাত্রায় প্রধান বাধা হচ্ছে যানজট।
যানজটের কারনে ঘন্টার পর ঘন্ট একজায়গায় বসে থাকতে হচ্চে, গাড়ী নরাচরাও করছে না মনে হচ্ছে গাড়ি ঘুমিয়ে পরেছে, ড্রাইভাররাও স্ট্যাট বন্ধ করে তাদের সিটেই ঘুমিয়ে আছে, অনেকে বিরক্ত হয়ে রাস্তায় হাটাহাটি করছে, ক্ষুদা ও তৃষ্ণায় কাদছে ছোটছোট বাচ্চারা। তবুও পরিবার পরিজনের সাথে মিলিত হয়ে ঈদের আনন্দ ভাগাভাগি করতে ছুটে চলা বাড়ির উদ্দেশ্যে, তাতে যদি উক্ত যানজটের ক্লান্তি দুর হয়। এভাবে পরিবার,পরিজন, বন্ধু-বান্ধব, আত্নীয় -সজন সবার সাথে একত্রিত হওয়া হয় ঈদে। সহজে কেউ হাতছাড়া করতে চায়না এই সুযোগ, তাই শত ব্যাস্ততা ও যানজট ঠেলে গন্তব্যের দিকে লাখ মানুষ।
ঈদে বাড়ী ফেরা কয়েকজন যাত্রীর সাথে আমাদের প্রতিনিধির কথা হলে তারা তাদের দূর্ভিসহ যাত্রার কথা আমাদেরকে বলেন। এস.এম নাজমুল হাসান নামের একজন যাত্রী তার যাত্রার কথা আমাদের বলতে গিয়ে বলেন, ভাই ঈদের জন্য বাসায় যাচ্চি পরিবারের সাথে ঈদ করার জন্য, অফিস ছুটি মাত্র ৫ দিন রাস্তাতে প্রায় দুই দিন শেষ হয়ে যাচ্চে। গতকাল রাত্রী ১০.০০টার সময় বাসে উটেছি ১৫ ঘন্টা অতিক্রম হয়ে গেলেও মাত্র তারটিয়া, টাঙ্গাইল আসতে পেরেছি। পঞ্চগড় মনে হয় না আজ পৌঁছাতে পারব। এরপরতো টিকিট নিয়ে ঝামেলা আছে।
শারমীন আক্তার দীপা নামের আরও এক জন যাত্রীর সাথে কথা হলে তিনি জানান, মহিলা মানুষের আনেক সমস্যা। রাত ২টা থেকে টাঙ্গাইল এ রয়েছি এখন সকাল ১০.০০টা বাজে, ৮ ঘন্টায় ২ কিলোমিটার রাস্তা পার হতে পারি নাই। রাস্তায় লাখও মানুষ প্রকিতির ঢাকে সাড়া দেয়ারও কোনো উপায় নাই।
জেমিউল বাসির নামে আর একজন বলেন- সেতাবগঞ্জ যাব। গত ঈদে মোটরসাইকেলে ১০ ঘন্টয় বাসা পৌঁছাতে পেরেছিলাম এক বন্ধু সহ। এবারও চিন্তা করেছিলাম মোটরসাইকেলে যাব, কিন্তু হটাৎ করে মোটরসাইকেল বন্ধ করে দেয়াতে বাধ্য হয়ে নাবিল এসি বাসের টিকিট করেছি। এইরকম জ্যাম পাব বুঝতে পারি নাই। মোটরসাইকেলে হলে এত সময়ের মধ্যে বাসায় পৌঁছে যেতাম।
রাত ১১ টায় বাসে উঠে ১০টা পর্যন্ত এখনও টাঙ্গাইলে। প্রশাসনের ও কোন পদক্ষেপ দেখছিনা। মোটরসাইকেল যখন বন্ধ তাহলে রাস্তায় পুলিশ সদস্য মোতায়েন করা দরকার ছিল। তাতে যদি যানজট কিছুটা কমতো। রমজান ঈদে ট্রাফিক পুলিশে সক্রিয় ভূমিকা পালন করলে এবার তাদের এরকম কোন পদক্ষেপ দেখছিনা।
উক্ত ঈদ যাত্রায় যাত্রীরা যানজটের প্রধান কারন মনে করছে গাড়ী চালকেরা ট্রাফিক সিগনাল মানছেনা ঠিকমতো পাশাপাশি রাস্তার পাশে গরু-ছাগলের হাট, এক্সিডেন্টে ও প্রসাশনের নীরবতা। তারা আরও মনে করছেযে, মোটরসাইকেল চলতে দিলে যানজট কিছুটা হলেও কমতো কারন তখন গাড়ীর উপর চাপ কম থাকত।
সকলেই যেন সুস্থ ও সুন্দর ভাবে বাসায় ফিরতে পারে, যানজট যেন তারাতাড়ি নিরসন হয়ে যায় নিজ নিজ গন্তবে সকলে যেন তারাতাড়ি পৌঁছাতে পারে এই কামনায় করছি।