শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:৪০ অপরাহ্ন
মুন্না শরীফ- মাদারীপুর জেলা প্রতিনিধিঃ
মাদারীপুরে কোটি কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মাণ করা হয়েছে ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেনকোলোজি’র বহুতল ভবন। আছে দামি দামি আসবাবপত্র ও সরঞ্জামাদি।
কিন্তু জনবল না থাকায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী উদ্বোধনের দুই বছর পেরিয়ে গেলেও আজও চালু করা যাচ্ছে না এর কার্যক্রম। এতে দক্ষ জনবল তৈরী না হওয়ায় মানসম্মত সেবা থেকে বঞ্চিত মাদারীপুর জেলাবাসী। আর এদিকে প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব থাকা তিনজনের আসেন না কেউ অফিসে। ফলে মাদক সেবী আর বখাটেদের আড্ডা এখন আই,এইচ,টি ভবন।
জানা যায়, ৩২ কোটি ৮২ লাখ ব্যয়ে মাদারীপুর পৌরসভার ৪নং ওয়ার্ডের সৈয়দারবালী মৌজায় ৮তলা বিশিষ্ট ভবনটি নির্মাণ করে স্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর। পরে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক ২০২০ইং সালের ১৪ই ফেব্রয়ারী ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেনকোলোজি’র এই ভবনটি উদ্বোধন করেন। উদ্বোধনের আড়াই বছর পেরুলেও আজও শুরু হয়নি এর কার্যক্রম। প্রতিষ্ঠানটির দামি দামি আসবাবপত্র ও মূল্যবান যন্ত্রপাতি অযতœ আর অবহেলায় নষ্ট হচ্ছে।
লোকজনের সমাগম না থাকায় ভবনটির ভেতরে বাড়ছে মাদকসেবি আর বখাটের আড্ডা। এদিকে ভবনে থাকেন না কেউ। নেই তেমন কোন অফিসের কার্যক্রম, অথচ ৯ লাখ টাকা বিদ্যুৎবিল বকেয়া থাকায় বিচ্ছিন্ন করে দেয়া হয়েছে সংযোগ। এটি চালু হলে ৪ বছর মেয়াদী কোর্সে প্যাথলোজিস্ট, মেডিকেল ল্যাব নেকটিশিয়ান, ডেন্টাল, ফিজিওথেরাপী, স্বাস্থ্য পরিদর্শকসহ বিভিন্ন শাখায় প্রতিবছর সাড়ে ৩‘শ শিক্ষার্থী ভর্তি হতে পারবে। এতে কর্মসংস্থান বাড়বে বলে মত বিশেষজ্ঞদের। এদিকে আগামী জানুয়ারিতে ক্লাস চালুর লক্ষ্যে একজন ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষসহ তিনজনকে অস্থায়ীভাবে দায়িত্ব দেয়া হলেও অফিস করেন না কেউ।
একটি বেসরকারি হাসপাতালের মেডিকেল ল্যাব নেকটিশিয়ান জানান- এটি চালু না হওয়ায় দুরের অন্যজেলায় গিয়ে প্রশিক্ষণ ও বিভিন্ন কোর্সে শির্ক্ষাথীদের ভর্তি হতে হচ্ছে। এতে অনেক খরচও হয়। মাদারীপুরের এই আইএইচটি ভবনে দ্রæত কার্যক্রম চালু হবে এটা সবার প্রত্যাশা।
মাদারীপুর সিভিল সার্জণ কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার জানান, প্রতিষ্ঠানটিতে একাডেমিক ভবন, আবাসিক হোস্টেল, অধ্যক্ষকের বাসভবন, গাড়ি পার্কিংসহ একাধিক স্থাপনা রয়েছে। এর কার্যক্রম পূর্ণাঙ্গ চালু করা গেলে দক্ষ মেডিকেল ল্যাব নেকটিশিয়ান ও স্বাস্থ্য সহকারী তৈরী হবে। এতে মাদারীপুর জেলাবাসী আরো উন্নত স্বাস্থ্যসেবা পাবেন।
ইনস্টিটিউট অব হেলথ টেনকোলোজি (আইএইচটি) মাদারীপুরের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ডা. হাবিবুর রহমান বলেন- ওইখানে বিদ্যুৎ সংযোগ নেই। কারা কিভাবে ৯ লাখ টাকার বিদ্যুৎ ব্যবহার করেছে আমার জানা নেই। থাকার কোন পরিবেশও নেই। জরুরী কাজ হলে আমি প্রতিষ্ঠানে যাই। আমি আমার বাসা শরিয়তপুর থেকে এসে-গিয়ে সপ্তাহে দুই-তিনদিন অফিস করতাম। এখন কোন কাজ নেই, তাই বর্তমানে আমি আমার ঢাকার বাসায় আছি। আগামী জানুয়ারিতে ক্লাস শুরু হবে, এজন্য সকল প্রস্ততি নেয়া হয়েছে। এরইমধ্যে বিভিন্ন শাখায় শিক্ষার্থীদের ভর্তিও করানো হয়েছে।