রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৫:১৭ অপরাহ্ন
আনোয়ার হোসেন- কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে বোরো ধানের ফসলের মাঠে ক্ষতিকারক পোকা দমনে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে পার্চিং পদ্ধতি।যখন পোকামাকড় দমনে মাত্রাহীন পরিমানে কীটনাশক ব্যবহারে জীব-বৈচিত্র, পরিবেশ ও মানুষের উপর বিরুপ প্রভাব ফেলেছে।
তখন এ উপজেলার কৃষকরা কীটনাশকের ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বোরো ধান রক্ষা করতে,পরিবেশবান্ধব পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে ঝুঁকে পড়েছে। এতে একদিকে কৃষক আর্থিকভাবে লাভবান হচ্ছে।
অপরদিকে ক্ষতিকর কীটনাশক থেকে জীব-বৈচিত্র পরিবেশ রক্ষা পাচ্ছে।
সরেজমিনে বৃহস্পতিবার উপজেলার ৯টি ইউনিয়নের বিভিন্ন ব্লকে দেখা যায়- কৃর্ষি অফিসের পরামর্শে কৃষকরা বোরো ফসলের জমিতে নির্দিষ্ঠ দূরত্বে শাখা-প্রশাখা সংযুক্ত গাছের মরা ডাল, বাঁশের কঞ্চি, আগালী, ত্রিকোণাকৃতির বাঁশের বাতা পুতে পাখি বসার জায়গা করেছেন।
এর উপর নানা ধরণের পাখি বসে দৃষ্টি সীমার মধ্যে ক্ষতিকর পোকা ধরে খাচ্ছে। এভাবেই কীটনাশক ছাড়াই সহজেই দমন হচ্ছে পোকা। ধান উৎপাদন খরচও কমে আসছে।
এছাড়াও অতি দ্রুত এণ্টিবায়েটিক ড্রাগ হিসেবে কাজ করা প্রাচীন পদ্ধতি ব্যবহারে বিষমুক্ত ও নিরাপদ ফসল ঘরে উঠবে। চাঁদখানা ইউপি’র সরঞ্জাবাড়ি গ্রামে রানা সরকার চলতি বছর ৮ বিঘা জমিতে বোরো ধান রোপণ করেছেন।
তিনি বলেন- ক্ষেতে মাজরা পোকা, পামড়ি পোকা, পাতা মোড়ানো পোকা ও ঘাষ ফড়িংসহ বিভিন্ন পোকা দমনে কীটনাশক প্রয়োগ করলে অনেক সময় তা মরে না। ফসল উৎপাদন খরচ বেড়ে যায়। পার্চিং পদ্ধতির ফলে পাখি ডালে বসে ধান ক্ষেতের পোকা খেয়ে ফেলছে। এতে খরচও নেই। ফলে ধান উৎপাদন খরচ কমছে। বিনা খরচে অধিক লাভজনক পরিবেশবান্ধব একটি পদ্ধতি।
উপজেলা কৃর্ষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান- চলতি বছর ১১ হাজার ১’শ হেক্টর জমিতে বোরো ধান চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের অযাচিত কীটনাশকের খরচ কমাতে পার্চিং পদ্ধতি ব্যবহারে উৎসাহী করা হচ্ছে। এতে কৃষকরা আগ্রহী হয়ে ধানের জমিতে গাছের মরা ডাল, বাঁশের কঞ্চি, আগালি, পুঁতি দিয়ে তার উপর পাখি বসার জায়গা করায় পোকার মথ, ডিম, বাচ্চা খেয়ে ফেলছে।
ফলে ধান উৎপাদনে খরচ কমছে পাশাপাশি পরিবেশ দূষণ রোধ হচ্ছে। স্প্রেকারীরাও মানবদেহের নানা রোগব্যধি থেকে রক্ষা পাচ্ছে।