শনিবার, ১০ মে ২০২৫, ০১:০৩ অপরাহ্ন
আনোয়ার হোসেন- কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে ভরা বর্ষায় শ্রাবণের বাতাসে যেন আগুন ঢেলে দিচ্ছে। তাকানো যাচ্ছেনা রোদের দিকে। টানা তিন সপ্তাহ ধরে চলছে খরতাপ।
জানা যায়- গত কয়েক দিন ধরে ৩৬ ডিগ্রি থেকে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত তাপমাত্রা ওঠানামা করেছে। বৃষ্টির ছিটেফোঁটাও নেই। আগাম আমন খেতে আগাছায় ভরে উঠেছে। এতে বিপাকে পড়েছে কৃষক। প্রচণ্ড রোদে ছাতা মাথায় জমিতে নিড়ানি দিচ্ছেন কয়েকজন নারী কৃষি শ্রমিক।
রবিবার সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র চোখে পড়ে। শ্রমজীবী মানুষের সংখ্যা আগের থেকে অনেক কমে গেছে।
এসব মানুষের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়- বেশ কয়েক দিন ধরে প্রচণ্ড গরমের কারণে মাঠে কাজ করতে গেলে বেশিক্ষণ টিকে থাকা যাচ্ছে না। তারপরও অনেকেই কাজ করছেন। অসুস্থও হয়ে পড়ছেন। তাই খেটে খাওয়া মানুষ অনেকে কাজে আসছেন না। বাড়িতে বসে কাটাচ্ছেন। সদর ইউপির কেশবা গুচ্ছগ্রাম এলাকায় আমনের মাঠে কাজ করতে আসা নারী কৃষি শ্রমিক ফুলমতি, নেলো বালা জানান- পেটে খায় তাই পিঠে সয়। তাই এ রোদোত কামোত এসেছি।
বাহাগিলী ইউপির উত্তর দুরাকুটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আমন চাষি আব্দুল জব্বার বলেন- অনাবৃষ্টির কারণে এবছর খেতে রেকর্ড ভঙ্গ আগাছা জন্মেছে। এক বিঘা জমিতে যেখানে নিড়ানি বাবদ শ্রমিক লাগতো ৩ থেকে ৪ জন। এখন লাগছে ৭ থেকে ৮ আট জন। এই রোদে কাজ না করায় শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। বর্তমানে যা পরিস্থিতি আমনে উৎপাদন খরচ উঠবে না।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন- অনাবৃষ্টির হাত থেকে আমন খেত রক্ষার জন্য মাঠ পর্যায়ে কৃষকদের সেচ ও নিড়ানি দেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।