বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৭:১৯ পূর্বাহ্ন
৭১সংবাদ২৪.কম- ডেস্কঃ
রংপুরের তারাগঞ্জে শারদীয়া দুর্গাপূজার আয়োজন সম্পন্ন হয়েছে। প্রহর গুনছেন সনাতন ধর্মাবলম্বীরা তাদের প্রধান ধর্মীয় উৎসব শুরু করার। বুধবার ভোর থেকেই ষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হবে আসন্ন শারদীয়া দুর্গাপূজা। পূজাকে উৎসব আনন্দমুখর এবং নির্বিঘ্ন করার জন্য উপজেলা প্রশাসন ও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী পুলিশ, র্যাব, সেনাবাহিনী, আনসার ও গ্রাম পুলিশ ব্যাপক প্রস্তুতি নিয়েছে।
বুধবার (৯ অক্টোবর) ষষ্ঠীর মাধ্যমে শুরু হচ্ছে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের প্রধান উৎসব শারদীয়া দুর্গাপূজা। এবার তারাগঞ্জে ৫৫টি পূজামণ্ডপে পূজা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। বেশকিছু মণ্ডব ঘুরে দেখা যায়, নানা রঙ্গে রঙ্গানো প্রতিমা গুলো পর্দা দিয়ে ঢেকে রাখা হয়েছে। সনাতন ধর্মাবলম্বীরা প্রহর গুনছে উৎসব মুখর শারদীয় দুর্গাপূজার শুভ সূচনার মধ্যদিয়ে আনন্দে মেতে উঠতে।
উপজেলার আলমপুর ইউপি চেয়ারম্যান রবিউল ইসলাম রাসেল বলেন, আমরা চেয়ারম্যানগণ এবং সদস্যদের নিয়ে আলোচনা করে পূজা উদযাপনে প্রশাসনের পাশাপাশি পরিদর্শনে থাকবো। আর্থিক ভাবে সরকারি বরাদ্দের পাশাপাশি চেয়ারম্যান হিসেবে দাওয়াত পাওয়ায় আমরা ব্যক্তিগত ভাবে সাধ্যমত সহযোগীতা ও সম্প্রীতির মধ্যদিয়ে আসন্ন দুর্গাপূজাকে সফল করতে বদ্ধ পরিকর আছি।
তারাগঞ্জ উপজেলা পূজা উদযাপন কমিটির সা. সম্পাদক পাপন দত্ত বলেন, আমাদের পূজা আয়োজন শেষ পর্যায়ে। বাংলাদেশ প্রশাসনে কর্মরত তারাগঞ্জ উপজেলায় নিয়োজিত সকল শ্রেণি ও পেশার লোকজন আমাদের দুর্গা পূজা উদযাপনে সার্বিক ভাবে সহযোগীতা করছে। পূজা সফল ও স্বার্থক করতে বিভিন্ন রাজনৈতিক ও স্বেচ্ছাসেবীগণ যোগাযোগ রাখছে। আইন শৃঙ্খলা সর্বোত্তম সেবা ও পূজা সব মণ্ডপ সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় রয়েছে, আমাদের মধ্যে পূজা উদযাপনে কোন রকম ভয় কিংবা দ্বি-ধা দ্বন্দ্ব নেই। আশা করি পূজা পরবর্তীও আমাদের এই সম্প্রীতি বজায় থাকবে।
তারাগঞ্জ থানা অফিসার ইনচার্জ মো. আবু বক্কর সিদ্দিক বলেন, পুলিশ পূজা উদযাপনকে কেন্দ্র করে ব্যাপক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়েছে। পাঁচ ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত তারাগঞ্জ থানাধীন আসন্ন পূজায় নিরাপত্তায় ১২ ঘন্টা করে দুই শিফটে পুলিশের ভ্রাম্যমাণ দুইটি স্পেশাল টীম, ৫টি কিলো ডিউটি, সাধারণ মোবাইল ডিউটি ৫টি রাখা হয়েছে। ২৪টি গুরুত্বপূর্ণ পূজা মণ্ডবে ৮ জন আনসার সদস্য ও কম গুরুত্বপূর্ণ ৩১টি পূজা মণ্ডবে ৬ জন করে আনসার সদস্য গতকাল থেকেই নিযুক্ত আছে। এছাড়াও পলাশবাড়ী ও পুরাতন চৌপথি সার্বজনীন পূজা মণ্ডবে ২ জন করে পুলিশ সদস্য পূজা চলাকালিন ৬ দিন সার্বক্ষনিক আইন শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকবে।
তিনি বলেন, উপজেলা প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবী, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও র্যাবের সাথে সমন্বয় করে আমরা কাজ করছি। আশা করছি নির্বিঘ্নে আনন্দ মুখরিত পরিবেশে পূজা অনুষ্ঠিত হবে।
তারাগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা রুবেল রানা বলেন, তারাগঞ্জের পূজা মণ্ডপগুলোতে ৫০০ কেজি করে চাল দেওয়া হয়েছে। পূজা উদযাপন নিরাপদ ও সফল করতে সবগুলো পূজা মণ্ডবে সিসি টিভি ক্যামেরা লাগানো হয়েছে। আইন শৃঙ্খলা সমুন্নত রাখতে মাঠ পর্য়ায়ে সেনাবাহিনী, র্যাব, পুলিশ, ইউনিয়ন পরিষদের জনপ্রতিনিধি, উপজেলার দপ্তরভিত্তিক মনিটরিং কমিটি, মণ্ডপ কমিটি, পাশাপাশি স্বেচ্ছাসেবক কমিটি রয়েছে।
পূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিটি ইউনিয়নে সেনাবাহিনী ও র্যাব টহলে থাকবে সার্বক্ষণিক। পূজাকে উৎসবমুখর করার জন্য উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ১টি কন্ট্রল রুম রাখাসহ সার্বিক প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে।