বুধবার, ০৯ Jul ২০২৫, ১২:১৭ পূর্বাহ্ন
নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারীতে জমি সংক্রান্ত বিরোধ নিয়ে মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানীর অভিযোগ উঠেছে।
এতে করে বিপাকে পড়েছে সদর উপজেলার সংগলশী ইউনিয়নের ঢেলাপীর হাট সংলগ্ন কাদিখোল গ্রামের গোলাম মোস্তফা, মোঃ কাশেম আলী, হাসেন আলী, মো মজিদ, মানিক, মোঃ শরিফুল।
একই এলাকার আব্দুল হান্নান চৌধুরীর মেয়ে হাসনা হেনা চৌধুরী(২৯) তাদের নামে মিথ্যা শ্লীলতাহানির মামলা দিয়ে হয়রানী করছে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী প্রধান অভিযুক্ত গোলাম মোস্তফা।
ভুক্তভোগী মোস্তফা সহ অভিযুক্ত অধিকাংশ আসামিরা দরিদ্র। থানা পুলিশের ভয়ে তারা স্বাভাবিকভাকে কাজকর্মও করতে পারছেন না বলে জানা গেছে।
সরেজমিনে জানা যায়- ওই এলাকার আব্দুল হান্নান চৌধুরীর পরিবারের সাথে গোলাম মোস্তফার জমির সিমানা নির্ধারণ নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে তা নিয়ে বিজ্ঞ অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে একটি মামলা চলমান রয়েছে।
জমির ওই এলাকায় আদালত শান্তি শৃংখলা রক্ষার জন্য ফৌজদারি কার্যবিধির ১৪৪ ধারা জারি করে।
কিন্তু আদালতের ১৪৪ ধারা উপেক্ষা করে আব্দুল হান্নান চৌধুরী ও তার পরিবারের লোকজন ওই জমিতে থাকা নালা মাটি দিয়ে ভরাট করে দিতে থাকলে সেখানে ভুক্তভোগীর মোস্তফার পরিবারের লোকজন বাধা দিতে গেলে উভয়পক্ষের মধ্যে বাক বিতন্ডের ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় আব্দুল হান্নান চৌধুরীর মেয়ে হাসনাহেনা চৌধুরী বাদী হয়ে থানায় একটি শ্লীলতাহানির মামলা দেয়। সদর থানার মামলা নং-১৬ তারিখ-১৬/০৮/২০২২।
মামলার প্রধান আসামী ভুক্তভোগী গোলাম মোস্তফা বলেন- জমির সিমানা দিয়ে তাদের সাথে আমাদের বিরোধ চলছে। একাধিকবার জমির মাপার জন্য সার্ভেয়ার নিয়ে এসে জমি মাপা হলেও তারা নির্ধারিত সিমানা সেই সিমানা নির্ধারন মেনে নেয় না।
এ নিয়ে আদালতে তাদের করা একটি মামলা চলমান রয়েছে এবং বিজ্ঞ আদালত ওই জমিতে ১৪৪ ধারা জারি করলেও তারা ১৪৪ ধারা অমান্য করে ওই জমিতে থাকা আমার পানির নালা বন্ধ করে দিতে থাকে।
আমরা প্রতিবাদ করতে গেলে তারা আমাদের মাড়তে এসেই আবার আমাদের নামেই মিথ্যা শ্লীলতাহানির মামলা দেয়। এতে আমরা অনেক হয়রানীর শিকার হচ্ছি। আমরা এই মিথ্যা মামলা থেকে পরিত্রান চাই।
তিনি বলেন- এই জমির বিরোধ নিয়ে তারা আমাদের যাতায়াতের রাস্তা বন্ধ করে দিয়ে। এতে আমাদের এলাকার প্রায় দুইশত মানুষের চলাচলে চরম দূর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। তারা কোনো চেয়ারম্যান, মেম্বার, গণ্যমান্য ব্যক্তির কথা শুনে না। যার উদাহরণ হলো আদালতের ১৪৪ধারা ভঙ্গ করেছে তারা।
রাস্তা বন্ধের বিষয়ে হাসনাহেনার চৌধুরীর চাচা হাসানুর রহমান চৌধুরী বলেন- জমিদারি আমল থেকেই সেটি ছিল চলাচলের রাস্তা এবং যারা জমিদাতা ছিল তারাও যখন জমি বিক্রি করে তখন দলিলে ওই রাস্তাটি চলাচলের রাস্তা বলে উল্লেখ করে দেয়।
কিন্তু হঠাৎ করে কি হলো জানি না। আমি এ বিষয়ে তাদের কিছু বলতে গেলেই তারা এখন আবার আমাকে তাদের (হাসনাহেনা চৌধুরীদের) প্রতিপক্ষ মনে করবে। তাই আমি কিছু বলি না তাদের।
মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগের বিষয়ে শ্লীলতাহানির মামলা দেওয়ার বাদি হাসনাহেনা চৌধুরী বলেন- তাদের সাথে যে জমি নিয়ে বিরোধ রয়েছে ওই জমি পশ্চিম দিক দিয়ে মাপ দিলে পুর্ব দিকে যায়, পূর্ব দিক দিয়ে মাপ দিলে পশ্চিম দিকে যায়।
তাই এলাকাবাসী উভয়ই মাঝখানে সিমানা নির্ধারণ করে দেয়। আমরা সে অনুযায়ী সীমানা প্রাচীর দিয়েছে। আর মামলার বিষয়ে মিথ্যার কিছুই নেই। সেদিন আমি শশুর বাড়ী থেকে বাপের বাড়ি এসে দেখি তারা আমার মাকে মাড়তেছে। আমি মাকে বাঁচাতে গেলে আমার উপরও তারা আক্রমন করে।
তখন আমরা ৯৯৯ ফোন দেই পুলিশ এসে পরিস্থিতি শান্ত করে। যা ঘটেছে সেটার উপর ভিত্তি করেই এজাহার দিয়েছি। এখানে মিথ্যের কিছু নেই।