শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৪৬ অপরাহ্ন
রুহুল আমীন খন্দকার- বিশেষ প্রতিনিধিঃ
দেশের বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রতিষ্ঠাকালীন সময় থেকেই দেশের সার্বিক আইন শৃংখলা পরিস্থিতিকে সমুন্নত রাখার লক্ষ্যে সব ধরণের অপরাধীকে আইনের আওতায় নিয়ে আসার ক্ষেত্রে অগ্রণী ভূমিকা পালন করে আসছে। তারা নিয়মিত ভাবে সফলতার সহিত জঙ্গী, সস্ত্রাসী, সংঘবদ্ধ অপরাধী, মাদক, অস্ত্রধারী অপরাধী, ভেজাল পণ্য, ছিনতাইকারী, পর্নোগ্রাফি, প্রতারক, হ্যাকার, ছিনতাইকারীসহ কালোবাজারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে আসছে।
এরই ধারাবাহিকতায় নওগাঁর মান্দায় পাচারকারী চক্রের দুই সদস্যের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে কষ্টিপাথরের দু‘টি শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল বুধবার সন্ধ্যায় মূর্তি দুটি উদ্ধার করে নওগাঁ বিজিবি-১৬ এর একটি অভিযানিক দল। এ সময় বিজিবির উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায় পাচারকারী চক্রের সদস্যরা। পাচারকারী চক্রের পলাতক সদস্যরা হলো- মান্দা উপজেলার কুসুম্বা ইউনিয়নের কির্তলী গ্রামের ইব্রাহীম হোসেন ও আব্দুল কাদের।
অভিযানটিতে নেতৃত্ব দেন নওগাঁ বিজিবি-১৬ এর অধিনায়ক লেঃ কর্নেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান ও মান্দার সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাকির মুন্সি। এ সময় মান্দা থানার উপ-পরিদর্শক ফজলে এলাহী তাঁদের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। উদ্ধার হওয়া মূর্তি দুটির ওজন ১৬৬ কেজি বলে জানিয়েছে বিজিবি‘র সদস্যরা।
বিজিবি-১৬ (নওগাঁ) ব্যাটালিয়নের এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি সূত্রে জানা যায়- গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি জানতে পারে কষ্টিপাথরের দু‘টি মূর্তি পাচারের উদ্দেশ্যে ইব্রাহীম হোসেন ও আব্দুল কাদেরের বাড়িতে রাখা হয়েছে। এমন তথ্যেও ভিত্তিতে বুধবার বিকেলে অভিযান চালিয়ে ইব্রাহীম হোসেনের রান্নাঘর থেকে ১১০ কেজি ও কাদেরের বাড়ি থেকে ৫৬ কেজি ওজনের দুটি মূর্তি উদ্ধার করা হয়।
অভিযান পরিচালনার সময় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেয়ে পাচারকারীরা কষ্টিপাথরের মূর্তিগুলো ফেলে পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি বলে প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়েছে। উদ্ধার হওয়া মূর্তি দুটির আনুমানিক মূল্য এক কোটি ৬৬ লাখ টাকা।
লে. কর্নেল মোহাম্মদ আসাদুজ্জামান আরও জানান- উদ্ধারকৃত কষ্টিপাথরের শ্রীকৃষ্ণ মূর্তি দুটি দেশের বাইরে পাচারের উদ্দেশ্যে রাখা হয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এ রিপোর্ট লিখা পর্যন্ত সর্বশেষ খবরে এ বিষয়ে নওগাঁ মান্দা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শাহিনুর রহমানের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান- ঘটনাটি আমরা শুনেছি মূর্তি উদ্ধারের ব্যাপারে এখনো থানায় মামলা দায়ের করেনি বিজিবি।