রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:৩৩ অপরাহ্ন
নুর হোসেন- চট্টগ্রাম জেলা প্রতিনিধিঃ
মিরসরাইয়ে ৫ দিন ব্যাপী পারিবারিক খামার স্থাপন ও সম্প্রসারণ বায়োগ্যাস প্রযুক্তি বিষয়ক প্রশিক্ষণের উদ্বোধন করা হয়েছে। সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১১টায় উপজেলার ঐতিয্যবাহী আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের হলরুমে উপজেলা যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের উদ্যোগে ও উপজেলার অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন হিতকরী’র ব্যবস্থাপনায় ৫ দিন ব্যাপী এই প্রশিক্ষণ কর্মসূচীর আয়োজন করা হয়।
অনুষ্ঠানে যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ তাজাম্মল হোসেনের সভাপতিত্বে ও হিতকরীর সাবেক যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক নুরুচ্ছাপা নিলয়ের সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, উপজেলা আওয়ামীলীগের অর্থ সম্পাদক ও আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি আবুল হোসেন বাবুল, আবুতোরাব উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মর্জিনা আক্তার, মঘাদিয়া ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান শাহীনুল কাদের চৌধুরী, চট্টগ্রাম যুব উন্নয়ন অধিদপ্তরের ক্রেডিট এন্ড মার্কেটিং এক্সিকিউটিভ মতলবুর রহমান, এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার নিয়াজ হোসেন, বায়োগ্যাস সাব এসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার চলন্ত প্রসাদ ত্রিপুরা, কমিউনিটি সুপারভাইজার মোঃ মফিজ উল্লাহ, হিতকরীর নির্বাহী কমিটির সভাপতি শহিদুল ইসলাম রয়েল, সাবেক সভাপতি নিয়াজুল ইসলাম নয়ন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ মাহমুদ, অর্থ সম্পাদক জহির উদ্দিন রনি প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপজেলা নির্বাহী অফিসার মাহফুজা জেরিন বলেন, তরুণদের কর্মমুখী প্রশিক্ষণের আওতায় আনতে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিস বিভিন্ন পরিকল্পনা হাতে নিয়েছেন। এটি তার অংশ। বর্তমান যে বৈশ্বিক সংকট চলছে, ডিজেল সমস্যা, গ্যাসের সমস্যা, এগুলোর প্রভাব বিদ্যুৎ উৎপাদনের ওপর পড়ে। এখানে কিছুটা সাশ্রয় করা সম্ভব বায়োগ্যাস প্ল্যান্টের মাধ্যমে। আমাদের সরকার বায়োগ্যাসের জোর দিচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
সভাপতির বক্তব্যে উপজেলা যুব উন্নয়ন অফিসার মোঃ তাজাম্মল হোসেন বলেন, জৈব পদার্থ পচনের ফলে যে গ্যাস পাওয়া যায় তার মিশ্রিত রূপ হলো বায়োগ্যাস। জৈব সার, পৌর বর্জ্য, নর্দমার আবর্জনা, খাদ্যবর্জ্যের কাঁচামাল থেকে বায়োগ্যাস তৈরি করা যায়। যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের অধীন ‘যুব উন্নয়ন অধিদপ্তর’ দেশের ৬৪ জেলায় বায়োগ্যাস প্লান্ট স্থাপনের এই কাজের উদ্যোগ নিয়েছে। অনুষ্ঠানে জনসাধারনের আর্থিক সহযোগিতায় সংগৃহিত অর্থ দুজন দরিদ্র কন্যার বিয়ের জন্য তাঁদের অভিভাবকের হাতে তুলে দেয়া হয়।