বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ০৬:৫৪ অপরাহ্ন
মাসুদ রানা- সিরাজগঞ্জ জেলা প্রতিনিধিঃ
সুপ্রিম কোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটির চেয়ারম্যান ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন- সাক্ষীর জন্য মামলা অনেক পিছিয়ে যায়। বাটোয়ারা মামলা তো শেষই হয় না।
দেখা যায়- একটি পরিবারে চার ছেলে। তাদের একেক জন একেক যায়গায় কর্মরত থাকেন। এ গুলো সাক্ষীর জন্য কিন্তু বসে থাকতে হয়। কবে সাক্ষী আসবে? এসব ক্ষেত্রে জজ সাহেব ও আইনজীবীদের দোষ দিয়ে থাকে কিন্তু এদের দোষ দিয়ে লাভ নেই।
শুক্রবার ৯ই জুন দুপুর ১২টায় সিরাজগঞ্জ জজ আদালতের শহীদ সোহেল আহম্মেদ ও জগন্নাথ পাড়ে সম্মেলন কক্ষে বিচারাধীন পুরাতন দেওয়ানি ও ফৌজদারি মামলা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দ্রুত নিষ্পত্তি বিষয়ক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা জানান ।
তিনি জানান- ছোট ছোট ট্রাইব্যুনাল আছে, সেগুলোতে না গিয়ে যদি হাইকোর্টে চলে যায়, তাহলে দেখা যায়, হাইকোর্টেই চলে যায় ৮/১০ বছর। কেন হাইকোর্টে মামলা শুনানি করা হবে না, মর্মে যদি একটি রুল দেওয়া হয়, সেই রুলটার শুনানি হতেই ৫/৬ বছর লেগে থাকে।
সিরাজগঞ্জ আদালতের মামলা নিষ্পত্তির পরিসংখ্যানে সন্তোষ প্রকাশ করে বিচারপতি নাইমা হায়দার বলেন, এখানে কোনো মামলা ৫১৪ শতাংশেরও বেশি, আবার কোথাও ২৮, ৮২ ও ১২৫ শতাংশ নিষ্পত্তি হয়েছে। মামলা জট মামলা জট বলা হলেও সিরাজগঞ্জের পরিসংখ্যান বেশ ভালো।
সিরাজগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ ফজলে খোদা মোঃ নাজিরের সভাপতিত্বে সভায় আরও বক্তব্য দেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) শেখ মোঃ নাসিরুল হক, নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) সালমা খাতুন, অতিরিক্ত চিফ জুডিসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মোহাম্মদ রাশেদ তালুকদার, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ- ১ম আদালতের বিচারক মোহাম্মদ এরফান উল্লাহ্, অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ-২য় আদালতের বিচারক মোঃ আবুল বাশার, অতিরিক্ত জেলা জজ ও দায়রা জজ ৩য় আদালতের বিচারক কানিজ ফাতেমা ও জজ ইনচার্জ সিনিয়র সহকারী জজ (সদর) মোঃ আহসান হাবিব।
এসময় বিচারকবৃন্দ, আদালতের কর্মকর্তা, আইনজীবী, পিপি, জিপি ও বিভিন্ন প্রিন্ট এবং ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে দূরদূরান্ত থেকে আসা বিচারপ্রার্থীদের বিশ্রামের জন্য আদালত প্রাঙ্গণে “ন্যায়কুঞ্জ” নির্মাণের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন বিচারপতি নাইমা হায়দার।
বিচারের জন্য আসা বিচারপ্রার্থীদের দীর্ঘদিনের ভোগান্তি লাঘবে দেশের প্রত্যেক জেলার মতো সিরাজগঞ্জেও ন্যায়কুঞ্জ গড়ে তোলা হচ্ছে। এখানে থাকছে নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা ইউনিট। ব্রেস্টফিডিংয়ের জন্য মায়েদের আলাদা কক্ষ, প্রত্যেক ইউনিটে দু‘টি করে টয়লেট। সুপেয় পানির ব্যবস্থা ও একটি স্টেশনারি দোকান।