শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৮:২৩ অপরাহ্ন
আনোয়ার হোসেন- কিশোরগঞ্জ(নীলফামারী) প্রতিনিধিঃ
নদীর তীরবর্তী এলাকার শত শত ভূমিহীন কৃষক কয়েকমাসের খাদ্যের সংস্থানের আশায় প্রতিবছর শুষ্ক মৌসুমে নদীর তলদেশে বোরো চাষাবাদ করেন। অল্প খরচে ভালো ফলনও পেয়ে থাকেন তারা। কিন্তু গত মঙ্গলবার রাতে আকস্মিকভাবে হালকা ঝড়ো হাওয়ার সাথে ভারি বৃষ্টিপাত হয়।
এ বৃষ্টিপাতসহ উজানের ঢলে নীলফামারীর কিশোরগঞ্জে চাড়াল কাটা ও ধাইজান নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পায়। এতে নদীর তলদেশ আবাদকৃত শত শত হেক্টর পাকা-আধাপাকা বোরো ধান তলিয়ে ব্যাপক ক্ষতির আংশকা দেখা দিয়েছে।এমন পরিস্থিতিতে ভূমিহীন কৃষকরা কষ্টের ফসল হারিয়ে তাদের মুখে এখন বোবা কান্নার আহাজারি।
বুধবার সকালে সরেজমিনে নদী অববাহিকার বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে দেখা যায়- ওই নদী দু‘টির পানি হঠাৎ বেড়ে যাওয়ায় বোরো ধান তলিয়ে গেছে। এতে নদীর তলদেশের চাষাবাদকৃত ভুমিহীন কৃষকের কপাল পুড়েছে। এসময় স্থানীয়রা জানান- নদীর তলদেশ সোনালী সবুজের আভায় বিস্তীর্ণ মাঠে ভরে উঠেছিল। বর্তমানে সেই নদীতে পানি থৈ থৈ করছে।
সদর ইউপির কেশবা পীর পাড়া গ্রামের বোরো চাষী আফজালুল জানান,তার ৩বিঘা জমির পাকা ধান পানিতে তলিয়ে গেছে। আর কয়েক দিন গেলে ধান ঘরে তোলা যেতে।এতে খরচও হয়েছে ১৮ হাজার টাকা।ফসল হারিয়ে তিনি নির্বাক হয়ে পড়েন।
উঃ দুরাকুটি ময়দান পাড়া গ্রামের বোরো চাষী চটকু জানান- তিনি শুকনো মৌসুমী ৬০ শতাংশ পরিমান নদীর তলদেশে ধান চাষ করেছিলেন। শেষ চৈত্রের পানিতে আধা পাকা ধান সব তলিয়ে গেছে। সারা বছর কি খাবেন তা নিয়ে তিনি চিন্তিত বলে জানান।
উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন- নদীর তলদেশের বোরো চাষাবাদ লক্ষ্যমাত্রার হিসেবে ধরা হয়না। অনেকে সুযোগ পেলে নদীর তলদেশে বোরো চাষাবাদ করেন। ইতিমধ্য কৃষকদেরকে দেরি না করে তাড়াতাড়ি ধান কেটে নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে।