শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী ২০২৫, ০৮:২২ অপরাহ্ন

সর্বশেষ সংবাদঃ
অনলাইন ভিত্তিক গণমাধ্যম “৭১সংবাদ২৪.কম” এ প্রতিনিধি আহ্বান করা হয়েছে। আগ্রহীগণ জিবনবৃত্তান্ত পাঠাতে 71sangbad24.com@gmail.com -এ মেইল করুন
সংবাদ শিরোনামঃ
পীরগঞ্জে কালের কন্ঠের ১৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উৎযাপন রাজশাহীতে তিনদিনব্যাপী লোকনাট্য উৎসব শুরু রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটি রাজশাহী জেলা ইউনিটের কম্বল বিতরণ পুঠিয়ায় উপজেলা ও পৌর ছাত্রদলের ৪৬তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালিত অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে এক জনকে জেল লাখ টাকা দণ্ড পীরগঞ্জে তারুণ্যের উৎসব পালিত পীরগঞ্জে অভিযোগকারী পরিবারের ৩ জনকে পিটিয়ে আহত টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কোল্ড ষ্টোর কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে মানববন্ধন পাবনায় জামায়াতে ইসলামীর উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ কিশোরগঞ্জে সাবেক মেম্বারের বাড়ী থেকে ১২ জুয়ারী আটক পাবনায় বিজ্ঞান মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক নড়াইলে ইয়াবা ট্যাবলেটসহ গ্রেফতার- ১ ধুনটে জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মেলা উপলক্ষে আলোচনা সভা বিরামপুরে নিরাপরাধ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের জলঢাকায় উপজেলা পর্যায়ে প্রাথমিক গোল্ডকাপ টুর্নামেন্ট উদ্বোধন চরে ব্রাইট লাইফ ভলান্টিয়ার্সের স্বাস্থ্যসেবা ক্যাম্প আদর্শ শিক্ষক ফেডারেশনের উদ্যোগে শীতবস্ত্র বিতরণ ধুনটে চিকাশী ৩দিনব্যাপী ঐতিহ্যবাহী ঘোড়দৌড় মেলা মিথ্যে মামলায় ফাঁসানোর প্রতিবাদে লক্ষ্মীপুরে মানববন্ধন প্রশিক্ষণ নারীদের কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়ক হবে- নির্বাহি কর্মকর্তা

দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নিরঞ্জন গান গেয়েই ঘুরে বেড়ান

তিমির বনিক- মৌলভীবাজার জেলা প্রতিনিধিঃ
দৃষ্টি প্রতিবন্ধী নিরঞ্জন ‘আমি কি করিবো রে প্রাণনাথ/ তুমি বিনে… ‘কোন মেস্তরি নাও বানাইল, কেমন দেখা যায়… ‘আমি অন্ধগো মানুষ, দেখার শক্তি নাই; সবাইরে দিছে চক্ষু, আমায় দেয় নাই দয়াল’ -এমন অসংখ্য গানই দৃষ্টিহীন নিরঞ্জন বুনার্জির (২০) জীবিকার একমাত্র অবলম্বন।

খালি গলায় গাওয়া তার এসব গান শুনে মুগ্ধ হন মৌলভীবাজারের বড়লেখার মাধবকুণ্ড ইকোপার্কে আসা দর্শনার্থীরা। যে যার মত করে দেন যার যার সামর্থ্য মতো করে টাকা। এ টাকায়ই ঘোরে তার জীবিকার চাকা। নিরঞ্জন বুনার্জি বড়লেখা উপজেলার দক্ষিণভাগ দক্ষিণ ইউনিয়নের পাথারিয়া চা বাগানের চা শ্রমিক মেঘনাথ বুনার্জির ছেলে। জন্ম থেকেই তার দুই চোখে আলো নেই।

তবে স্রষ্টা যেন তার কণ্ঠে সব সুর ঢেলে দিয়েছেন। নিরঞ্জনের মনের জোরের কাছে হার মেনেছে দৃষ্টির সীমাবদ্ধতা। তাই জীবনের প্রয়োজনে গানকে বেঁচে নিয়েছেন। গত বুধবার বিকেলে মাধবকুণ্ড ইকোপার্ক এলাকায় কথা হয় নিরঞ্জন বুনার্জির সাথে।

তিনি বলেন- আমি জন্ম থেকেই অন্ধ। বাবা-মা চা শ্রমিক। তারা আমাকে কষ্ট করে বড় করেছেন। পাঁচ ভাই-বোনের মধ্যে আমি সবার বড়। আমার ছোট বোনের বিয়ে হয়েছে। বাকি ভাই-বোনেরা লেখাপড়া করছে। নিরঞ্জন বলেন, লেখাপড়ার ইচ্ছা ছিলো। কিন্তু চোঁখে দেখি না। তাই আর লেখাপড়া করতে পারিনি। কাজও করতে পারি না। একটু গান গাইতে পারি। ২০১০ইং সাল থেকেই গান গেয়ে আয়-রোজগার করি। তাই বাবা আমাকে প্রায় মাধবকুণ্ডে দিয়ে যান। বিকেলে আবার এসে নিয়েও যান।

মাধবকুণ্ডে ঘুরতে আসা পর্যটকদের গান গেয়ে শোনাই। নিজের লেখা একটি গানের পাশাপাশি বিভিন্ন শিল্পীদের গান গেয়ে শোনাই মানুষকে। গান শুনে তারা খুশি হয়ে যা টাকা দেন, তাতে কোনোমতে চলে। কোনো কোনো দিন ১৫০-২০০ টাকা আয় হয়। মানুষ বেশি থাকলে কখনো ৩০০ টাকাও আয় হয়। গান গেয়ে আয় করা সব টাকা বাবার হাতে তুলে দিই। আমার টাকাটাই পরিবারের বড় আয়।

নিরঞ্জন আরও বলেন- দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হিসেবে সরকার ভাতা দিচ্ছে। সরকারি একটা ঘরও পেয়েছি। কিন্তু কারেন্ট (বিদ্যুৎ সংযোগ) পাইনি। কারেন্ট পেলে মনে অনেক আনন্দ পেতাম।

জীবনে কোনো স্বপ্ন আছে কিনা জানতে চাইলে নিরঞ্জন বলেন- বড় কোনো স্বপ্ন নেই। আপনারা আমার গান শুনে যে টাকা দেন তাও তো অনেক বেশি পাওয়া।নানা কথা শেষে নিরঞ্জন আবারো গান ধরলেন ‘তুমি দুঃখের বেলা সুখের গান শোনাইও… তার কণ্ঠের জাদুতে মুগ্ধ অনেকেই আশপাশে ভিড় জমান, নিরঞ্জন গেয়ে চলেন… একের এক সুরেলা কন্ঠের যাদুতে।

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

সংবাদটি শেয়ার করুনঃ

©2019 copy right. All rights reserved 71sangbad24.com
Design & Developed BY Hostitbd.Com