মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ১০:৫৯ অপরাহ্ন
নাসির উদ্দিন শাহ্- নীলফামারী জেলা প্রতিনিধিঃ
নীলফামারী বনবিভাগের চড়াইখোলা ইউনিয়নের শেখ পাড়ার ক্যানেলের নিলামে ক্রয়কৃত গাছ কাটতে গিয়ে স্থানীয় প্রভাবশালীর দ্বারা বাধার সম্মুখীন হয়েছে নিলামগ্রহীতা। পঞ্চাশ হাজার টাকা চাঁদা না দিলে গাছ কাটতে দিবে না বলে অভিযোগ করেন ভূক্তভোগী নিলাম গ্রহীতা মোঃ রাশিকুল হক মোল্লা বাবু। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে গাছ কাটতে গেলে নিলামগ্রহীতার শ্রমিকদের মারধোর করে বলে অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী। এঘটনায় অভিযুক্তরা হলেন শেখ পাড়া এলাকার মুশু শেখ, জাহিদুল ইসলাম, শাহিনুর ইসলাম ও জুয়েল শেখ।
জানা যায়- চড়াইখোলা ইউনিয়নের শেখ পাড়া ১নং ওয়ার্ডের গাছের ক্যানেলের লট নং-৩১/নীলফামারী/৩১/সদর অব ২০২২-২৩ (বাধ বাগান) এর গাছ কর্তনের লট ক্রয় করেন রাশিকুল হক মোল্লা বাবু। রংপুর সামাজিক বন বিভাগের স্বারক নং-২২.০১.০০০০.২৮১.১৭.০১৪.২৩/৫২২ তারিখ ৫/৩/২০২৩ এর স্বারকে গাছ কাটার কার্যাদেশ প্রদান করেন রংপুর বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মোল্লা মোহাম্মদ মিজানুর রহমান। সেই কার্যাদেশ নিয়ে গত ২৮ই মার্চ সকাল ১০টায় নিলামগ্রহীতা গাছ কাটতে গেলে অভিযুক্তরা গাছ কাটতে বাধা প্রদান করেন এবং গাছ কাটার শ্রমিকদের মারধোর করেন।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা জানান- নিলামগ্রহীতা গাছ কাটতে গেলে মুশু শেখ, জাহিদুল ইসলাম, শাহিনুর ইসলাম ও জুয়েল শেখ গাছ কাটার শ্রমিকদের মারধোর করে। রাশিকুল হক মোল্লার কাছে টাকা দাবি করছিল। এসময় মোল্লা ৫ হাজার টাকাও প্রদান করেন অভিযুক্ত মুশু শেখকে। কিন্তু টাকা নেওয়ার পরও গাছ কাটতে দেয়নি।
অভিযোগ করে ভুক্তভোগী রাশিকুল হক মোল্লা বাবু বলেন- গাছ কাটার কার্যাদেশ নিয়ে আমি গাছ কাটতে যাই। কিন্তু তারা (অভিযুক্তরা) আমার কাছে ৫০ হাজার টাকা চাদা দাবি করে। এসময় আমার গাছ কাটার শ্রমিকরা প্রতিবাদ করতে গেলে তাদের মারধোর করে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে। চাদার টাকা না দিলে তারা আমাদের গাছ কাটতে দিবে না এবং হুমকি প্রদান করে কেউ গাছ কাটতে আসলে তাদের ওইখানেই মেরে ফেলবে। আমি এ ঘটনায় থানায় অভিযোগও দিয়েছি।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত মুশু শেখের সাথে কথা বলতে গেলে তার কাজ আছে জানিয়ে সংবাদকর্মীদের এড়িয়ে চলে যান। ঘটনার বিষয়ে সদর থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মোক্তারুল ইসলাম বলেন- অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত চলছে। তদন্ত সম্পন্ন হওয়ার পর প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।