মঙ্গলবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০২৩, ০৯:৫৩ অপরাহ্ন
এন.সি জুয়েল- কুমিল্লা জেলা প্রতিনিধিঃ
কুমিল্লায় শ্বশুর বাড়ি থেকে ডেকে নিয়ে এক যুবককে হত্যার ঘটনায় মূল দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। উদ্ধার করা হয়েছে হত্যায় ব্যবহৃত ছুরিটি। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে, কুমিল্লা শহরের শুভপুর এলাকার মৃতঃ মালু মিয়ার পুত্র সোহাগ মিয়া(৩১) এবং একই এলাকার আলী হোসেনের পুত্র মামুন(৪২)।
শুক্রবার ২৬শে মে দুপুরে দুই আসামিকে গ্রেফতারের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন কুমিল্লার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (ক্রাইম) খন্দকার আশফাকুজ্জামান। গ্রেফতার আসামিদের প্রাথমিক স্বীকারোক্তির বরাতে পুলিশ বলছে- খুন হওয়া আব্দুল কুদ্দুসের কাছে ১০ হাজার টাকা পাওনা ছিলো প্রধান আসামি সোহাগ।
সেই পাওনা টাকা নিয়ে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে সোহাগের ছুরিকাঘাতে মারা যান আবদুল কুদ্দুস।এর আগে গত বুধবার ২৪শে মে রাত সাড়ে ৯টার দিকে নগরীর টিক্কারচর এলাকায় শ্বশুরবাড়ি থেকে ডেকে এনে ছুরিকাঘাতে আবদুল কুদ্দুসকে (৩৫) হত্যা করা হয়। নিহত কুদ্দুস কুমিল্লা সদর উপজেলার নিশ্চিন্তপুর গ্রামের আব্দুস সালামের ছেলে।
তিনি সিএনজিচালিত অটোরিকশাচালক। তিন বছর বয়সী তার একটি কন্যা শিশু রয়েছে।স্থানীয়রা জানায়, বুধবার সন্ধ্যায় কুদ্দুস কুমিল্লা নগরীর দক্ষিণ চর্থায় তার শ্বশুরবাড়িতে ছিলেন। এ সময় শুভপুরের সোহাগ নামের এক ছেলে শ্বশুরবাড়ি থেকে কুদ্দুসকে ডেকে আনে। পরে কুদ্দুস, সোহাগ ও সাগরসহ তিনজন দোকানে চা পান করতে করতে সোহাগ কুদ্দুসের কাছে তার পাওনা ১০ হাজার টাকা চায়। এ সময় কুদ্দুস সোহাগকে ২০০ টাকা দেয়।
কিন্তু টাকার পরিমাণ কম হওয়ায় তাদের মধ্যে বাকবিতণ্ডা হয়। এক পর্যায়ে সোহাগ তার সাথে থাকা ছুরি দিয়ে কুদ্দুসকে আঘাত করে। এরপর স্থানীয়রা কুদ্দুসকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরে কর্তব্যরত চিকিৎসক কুদ্দুসকে মৃত ঘোষণা করেন।এ ঘটনায় নিহত কুদ্দুসের স্ত্রী রুমা আক্তার অভিযুক্ত সোহাগ ও মামুনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ২/৩ জনের বিরুদ্ধে কুমিল্লা কোতয়ালী মডেল থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে কোতয়ালী থানা ও জেলা গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ বিভিন্ন সূত্রে প্রাপ্ত তথ্য এবং প্রযুক্তির সহায়তায় ২৫শে মে রাতে জেলার দেবিদ্বার উপজেলার বারেরা এলাকা থেকে সোহাগ মিয়া এবং মামুনকে গ্রেফতার করে। পরে তাদের তথ্যমতে হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ছুরিটি টিক্কারচর ঈদগাহ মাঠের উত্তর-পশ্চিম কোণে গোমতী নদীর পাড়ে ঝোপঝাড়ের ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে, গ্রেফতার সোহাগ মিয়ার বিরুদ্ধে ৮টি এবং মামুনের বিরুদ্ধে তিনটি মামলা আদালতে বিচারাধীন আছে।