বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১০ অপরাহ্ন
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিঃ
র্যাব প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে সমাজের বিভিন্ন অপরাধের উৎস উদঘাটন, অপরাধীদের গ্রেফতার, আইন-শৃঙ্খলার সামগ্রিক উন্নয়নে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বিভিন্ন অপরাধীদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনার জন্য র্যাব ফোর্সেস নিয়মিত ভাবে অভিযান পরিচালনা করে থাকে। জঙ্গি, অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী, ডাকাত, মাদক ব্যবসায়ী সহ বিভিন্ন অপরাধীকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে র্যাব-১১, সিপিসি-২ নিয়মিত অভিযান পরিচালনা করে আসছে।
গত ২৪ ডিসেম্বর ২০২৩ইং কুমিল্লার দেবিদ্বারে ১২ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বর্ণিত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে দেবিদ্বার থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ০১টি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং-১৮, তারিখ-৩০/১২/২০২৩। এরই ধারাবাহিকতায় র্যাব-১১ এর বিশেষ অভিযানে গত (৩০ মে) ২০২৪ইং রাতে কুমিল্লা জেলার সদর দক্ষিণ মডেল থানাধীন ই.পি.জেড এলাকা হতে ধর্ষক মোঃ দুলাল (৫০), পিতা-মৃত আব্দুল বারেক, সাং-বিহারমন্ডল (খাঁ বাড়ী) পোঃ ফুলতলী, থানা-দেবীদ্বার, জেলা-কুমিল্লা’কে গ্রেফতার করা হয়।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভিকটিমের পিতা বিদেশ প্রবাসী এবং তার মা একজন গৃহিনী। ভিকটিম স্থানীয় একটি স্কুলে তৃতীয় শ্রেণীতে অধ্যায়নরত ছিল। ঘটনার দিন ভিকটিম তার বাড়ির পাশের বিলে ছাগল চরাতে গেলে গ্রেফতারকৃত আসামী ভিকটিমকে ২০০০ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে তাকে পাশের একটি পানের বরজে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ভিকটিমকে খুঁজতে বিলে উপস্থিত হয়ে তার মেয়েকে খুজে না পেয়ে একসময় পান বরজের দিকে অগ্রসর হয়।
এসময় ভিকটিমের মা পানের বরজের কাছে এসে তার মেয়ের নাম ধরে ডাক দিলে ভিকটিম পান বরজের ভিতর থেকে কাঁদতে কাঁদতে বের হয়ে আসে এবং ভিকটিমের কান্না শুনে ঘটনাস্থলে উপস্থিত জনৈক ব্যক্তি ভিকটিমের মাকে জানায়, সে আসামী মোঃ দুলালকে পানের বরজ হতে দৌড়ে পালিয়ে যেতে দেখেন। পরবর্তীতে ভিকটিমের মা ভিকটিমকে উদ্ধার করে বাড়ি নিয়ে আসে এবং ভিকটিমের শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তাকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করেন।
গ্রেফতারকৃত আসামীকে জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায়, ভিকটিম গ্রেফতারকৃত আসামীর প্রতিবেশীর মেয়ে এবং পূর্ব পরিচিত। এই সুযোগ কাজে লাগিয়ে গ্রেফতারকৃত আসামী দুলাল তার অসৎ কামনা চরিতার্থ করার উদ্দেশ্যে গত (২৪ ডিসেম্বর) ২০২৩ইং সন্ধ্যায় আনুমানিক ১৯২০ ঘটিকায় ভিকটিমকে ২০০০ টাকা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে পানের বরজে নিয়ে গিয়ে তাকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে এবং ভিকটিম চিৎকার করার চেষ্টা করলে আসামী দুলাল তার মুখ চেপে ধরে। একপর্যায়ে ভিকটিমের মা কর্তৃক ভিকটিমের নাম ধরে ডাক শুনতে পেয়ে আসামী দুলাল ভিকটিমকে সেখানে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। উক্ত ঘটনায় ভিকটিমের মা বাদী হয়ে মামলা দায়ের করলে গ্রেফতারকৃত আসামী আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর গ্রেফতার এড়াতে আত্মগোপনে চলে যায়। উক্ত বিষয়ে গ্রেফতারকৃত আসামীকে কুমিল্লা জেলার দেবিদ্বার থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।